সহিংসতার পর ইসরায়েল ও ইসলামী জিহাদের যুদ্ধবিরতি

হামাসের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তির পর মাস না পেরোতে আবারও গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার রাফায় ওই হামলায় ইসলামী জিহাদ দলের পাঁচ সদস্য নিহত হওয়ায় পাল্টা রকেট হামলা চালায় তারা। সংঘর্ষে সব মিলিয়ে ৯ ফিলিস্তিনি ও এক ইসরায়েলি নিহত হয়। উত্তেজনাকর এ পরিস্থিতিতে মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে ইসলামী জিহাদ। গতকাল ভোর থেকেই এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। ইসরায়েলও এ ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে।


গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় গত শনিবার বিকেলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইসলামী জিহাদের পাঁচ সদস্য নিহত হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে। গত দুই মাসের মধ্যে এটাই হচ্ছে গাজায় ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এরপর ইসলামী জিহাদের সদস্যরা রকেট ছুড়তে শুরু করলে এক ইসরায়েলি নিহত হয়। ইসরায়েলও পাল্টা বিমান হামলা চালায়। এতে ইসলামী জিহাদের আরো চার কর্মী নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়।
গাজায় ক্ষমতাসীন হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্র এবং ইসলামী জিহাদ জানিয়েছে, মিসরের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামী জিহাদের একটি সূত্র জানায়, 'শান্তির জন্য মিসরের জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা যোগাযোগ শুরু করেছেন।' এ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান, তাঁরা যুদ্ধবিরতি পালন করছেন তবে ইসরায়েল হামলা চালালে এর সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, দখলদার শক্তি যতক্ষণ মানবে, ততক্ষণ ইসলামী জিহাদও এ চুক্তির ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল থাকবে। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বসবাসকারী ইসলামী জিহাদের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর মিসরের এ উদ্যোগ সফল হয় বলে তিনি জানান।
সহিংস পরিস্থিতিতে গাজা সীমান্তের ৪০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ইসরায়েলের সব স্কুল গতকাল বন্ধ রাখা হয়। পুলিশকেও সতর্ক রাখা হয়। ইসরায়েলের চিফ অব স্টাফ মিসরের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতির বিষয়টি স্বীকার করেন। পুলিশ জানায়, শনিবার থেকে ইসরায়েলের ভেতরে ৩৮ দফা রকেট হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইসলামী জিহাদের সশস্ত্র অঙ্গসংগঠন আল-কুদস ব্রিগেডের পাঁচ সদস্য নিহত হন। তাঁদের মধ্যে আহমেদ আল-শেখ খলিল নামের এক কমান্ডারও আছেন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.