নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ডহীন বললেন জয়নুল আবদিন ফারুক

মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারদলীয় ক্যাডারকে মেয়র বানানোর চেষ্টায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, সিইসি সরকারের কাছে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করে যখন পাননি, ওই মুহূর্তেই সিইসির পদত্যাগ করা উচিত ছিল।গতকাল রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডক্টরস অ্যাসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন জয়নুল আবদিন ফারুক।


চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র আবিদুর রহমান আবিদের হত্যাকারীদের বিচার, মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে ডক্টরস অ্যাসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ এর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ড্যাব সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ কে এম আজিজুল হক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডা. আশরাফ হোসেন, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. হারুন অর রশীদ, ডা. সিরাজউদ্দীন, ডা. আবদুস সালাম, ডা. রফিকুল আলম, ডা. আবদুল কুদ্দুস, জিয়া সেনা সংগঠনের সেক্রেটারি মঞ্জুর হোসেন, আবির হোসেন, সাইফুদ্দিন তুষার প্রমুখ।
মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র আবিদের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বর্তমান সরকার শুধু ছাত্রদেরই নয়, ক্ষমতায় আসার পর গত তিন বছরে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। এরা সাংবাদিকদের কলম বন্ধ করে দিয়েছে। ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ভর্তিবাণিজ্য করছে। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। এ সরকার দেশের জন্য কোনো কাজ করছে না। তাই এখন আর প্রতিবাদ করার সময় নেই। প্রতিশোধের সময় এসেছে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে অনেক চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচার সকাল থেকে বেশ কিছু সময় বন্ধ ছিল। আমি তথ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই এসব চ্যানেল কেনো সম্প্রচার করতে পারেনি। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশন ১৬ তারিখ সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি। দেশের ১৬ কোটি মানুষ আশা করেছিল সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর তাঁরা তিনজনই পদত্যাগ করবেন। কিন্তু তাঁরা কেনো পদত্যাগ করলেন না?
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এই দলীয় সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেওয়ার পর তারা যদি জাতীয় নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী চায় সরকার তা দেবে না। সেজন্য সবার মতামত
নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে। চলতি অধিবেশনেই ১৬তম সংশোধনী এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে।

No comments

Powered by Blogger.