'ভোট ব্যাংক' ভুল ফল দিল শামীম ওসমানকে by শফিক সাফি,
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জকে শামীম ওসমানের 'ভোট ব্যাংক' মনে করা হলেও এ এলাকায় পর্যুদস্ত হয়েছেন মেয়র প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি আইলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাতখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলি উইল মডেল স্কুল, ধনকুণ্ড সরকারি হাইস্কুল, সফর আলী ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিবি মরিয়ম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সফুরা খাতুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়সহ প্রায় সব কেন্দ্রেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন শামীম ওসমান। অথচ ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই এলাকা থেকেই বেশি ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
সকালে ভোটগ্রহণ চলাকালেও কোনো কোনো ভোটার ওই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি আইলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসা আবুল কাশেম বলেন, এবার তিনি যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রের আরো কয়েকজন ভোটার বলেন, শামীম নন_নতুন কাউকে এ এলাকার অভিভাবক দেখতে চান তাঁরা।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে (সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা) সংসদ সদস্য হয়েছিলেন শামীম ওসমান। ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন এ এলাকা ভেঙে সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ নিয়ে নতুন নির্বাচনী এলাকা ঘোষণা করে। আর মনোনয়ন দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের নেতা কায়সার হাসনাতকে। কিন্তু ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের আলোকে শামীম ওসমান হয়ত ভেবেছিলেন এবারও তাঁর পুনরাবৃত্তি হবে। কিন্তু তা আর হয়নি।
দিনভর মিজমিজি, পাইনডি, টিসি রোড, সানারপাড়, হক মার্কেট, শিমরাইল, আদমজী নগর ইত্যাদি এলাকা নিয়ে গঠিত সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর অনেক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে বোঝা যায়, তাঁরা নেতৃত্বে নতুন মুখ দেখতে আগ্রহী। বিবি মরিয়ম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিয়েছেন মমিনুল হক। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, নগরপিতা হিসেবে এবার তিনি নতুন প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, নতুন ভোটারদের অনেকে তো বটেই, বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের অংশবিশেষের ভোটও যায় শামীমের বিপক্ষে, অর্থাৎ আইভীর পক্ষে।
এদিকে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট দিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জবাসী। এর মধ্যে অনেক কেন্দ্রে ব্যবহার করা হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। সিদ্ধিরগঞ্জের কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন নারী-পুরুষ উভয়েই। নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাঁদের উপস্থিতি। নারীদের দীর্ঘ লাইন ছিল। ইভিএম ব্যবহারকারী কেন্দ্রগুলোতে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সকাল সোয়া ৯টা। সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি আইলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ। প্রিসাইডিং অফিসার আবদুল করিম জানান, কোনো ঝামেলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হচ্ছে। বিকেল পৌনে ৪টায় তিনি জানান, প্রায় ৬৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। একই অবস্থা তাতখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলি উইল মডেল স্কুল, ধনকুণ্ড সরকারি হাইস্কুল, সফর আলী ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। এসব কেন্দ্রে গড়ে ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও বিবি মরিয়ম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (৭০ শতাংশ), সফুরা খাতুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়সহ (৬৮ শতাংশ) যেসব স্থানে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হয়েছে, সেখানেও ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বহু নাটকীয়তার পর শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ফলে ভোটকেন্দ্রে তাঁর পক্ষের কোনো পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি। তবে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের দেখা গেছে।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে (সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা) সংসদ সদস্য হয়েছিলেন শামীম ওসমান। ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন এ এলাকা ভেঙে সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ নিয়ে নতুন নির্বাচনী এলাকা ঘোষণা করে। আর মনোনয়ন দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের নেতা কায়সার হাসনাতকে। কিন্তু ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের আলোকে শামীম ওসমান হয়ত ভেবেছিলেন এবারও তাঁর পুনরাবৃত্তি হবে। কিন্তু তা আর হয়নি।
দিনভর মিজমিজি, পাইনডি, টিসি রোড, সানারপাড়, হক মার্কেট, শিমরাইল, আদমজী নগর ইত্যাদি এলাকা নিয়ে গঠিত সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর অনেক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে বোঝা যায়, তাঁরা নেতৃত্বে নতুন মুখ দেখতে আগ্রহী। বিবি মরিয়ম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিয়েছেন মমিনুল হক। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, নগরপিতা হিসেবে এবার তিনি নতুন প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, নতুন ভোটারদের অনেকে তো বটেই, বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের অংশবিশেষের ভোটও যায় শামীমের বিপক্ষে, অর্থাৎ আইভীর পক্ষে।
এদিকে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট দিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জবাসী। এর মধ্যে অনেক কেন্দ্রে ব্যবহার করা হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। সিদ্ধিরগঞ্জের কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন নারী-পুরুষ উভয়েই। নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাঁদের উপস্থিতি। নারীদের দীর্ঘ লাইন ছিল। ইভিএম ব্যবহারকারী কেন্দ্রগুলোতে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সকাল সোয়া ৯টা। সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি আইলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ। প্রিসাইডিং অফিসার আবদুল করিম জানান, কোনো ঝামেলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হচ্ছে। বিকেল পৌনে ৪টায় তিনি জানান, প্রায় ৬৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। একই অবস্থা তাতখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলি উইল মডেল স্কুল, ধনকুণ্ড সরকারি হাইস্কুল, সফর আলী ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। এসব কেন্দ্রে গড়ে ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও বিবি মরিয়ম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (৭০ শতাংশ), সফুরা খাতুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়সহ (৬৮ শতাংশ) যেসব স্থানে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হয়েছে, সেখানেও ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বহু নাটকীয়তার পর শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ফলে ভোটকেন্দ্রে তাঁর পক্ষের কোনো পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি। তবে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের দেখা গেছে।
No comments