টোয়েন্টি টোয়েন্টি-পাঁচ বছর পর সান্ত্বনার জয়

তে পারে ইংল্যান্ড এ মুহূর্তে টেস্ট আর টোয়েন্টি টোয়েন্টির বিশ্বসেরা। তবে ভারতের মাটিতে গত পাঁচ বছরে কোনো ম্যাচেই ভারতকে হারানোর কৃতিত্ব ছিল না তাদের। সর্বশেষ ২০০৬ সালের এপ্রিলে জামশেদপুরের ওয়ানডেতে বীরেন্দর শেবাগের দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল তারা। পরের ইতিহাসটা শুধুই হতাশার। সেই হতাশাটা কাটল পরশু, ইডেনে। ধোনির দলের বিপক্ষে একমাত্র টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে তারা জিতল ৬ উইকেটে। ধীরগতির উইকেটে ভারতের ৯ উইকেটে ১২০ রানের চ্যালেঞ্জ গ্রায়েম সোয়ানের দল পেরিয়ে যায় ৬ উইকেট আর ৮ বল হাতে রেখে।


এই জয়ে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার জ্বালাটা না জুড়ালেও টোয়েন্টি টোয়েন্টির শীর্ষস্থানটা ধরে রাখা নিশ্চিত হয়েছে ইংল্যান্ডের। তার পরও দেশে ফেরার আগে ওয়ানডে সিরিজে ব্যর্থতার হতাশাই ঝরল স্টুয়ার্ট ব্রড না থাকায় ভারপ্রাপ্ত টোয়েন্টি টোয়েন্টি অধিনায়ক গ্রায়েম সোয়ানের কণ্ঠে, 'খুবই কঠিন একটা মাস কাটল আমাদের। যাচ্ছেতাই ক্রিকেট খেলেছি আমরা। তবে একটা সিরিজের ব্যর্থতা পুরো মৌসুমের চিত্রটা তুলে ধরছে না কোনোভাবেই। আমাদের এখন আরো উন্নতি করতে হবে।'
ইডেনের পঞ্চম ওয়ানডেতে জিতেও উইকেটের সমালোচনা করেছিলেন ভারতের অধিনায়ক ধোনি। টোয়েন্টি টোয়েন্টির উইকেট নিয়ে অবশ্য সে রকম অনুযোগ নেই তাঁর, '১৬০-১৭০ রানের উইকেট নয় এটা। এখানে ১৩০-১৩৫ করতে পারলেই চ্যালেঞ্জিং হতো ম্যাচটা। উইকেটটা আসলে ধীরগতির। তার পরও এটাকে খারাপ বলব না আমি।' ধীরগতির উইকেট বলেই আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে ম্যাচটা খেলতে নেমেছিল ভারত। কিন্তু ৮ বলেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে তারা। ১৬ বলে ১৫ করে বিরাট কোহলি ফেরার পর সুরেশ রায়নার ২৯ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় করা ৩৯ রানের ইনিংসের সুবাদে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল ভারত। কিন্তু ফিন তাঁকে ফেরানোর পর ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা রানের গতিটা বাড়াতে পারেননি আর। ধোনির ২৬ বলে ২১, অশ্বিনের ১১ বলে অপরাজিত ১৭ আর ইউসুফ পাঠানের ১২ বলে ১০-এ ইনিংসটা থামে ৯ উইকেটে ১২০-এ।
ভারতের ১২০ রানের জবাবে ৪০ রানে দুই ওপেনারকে হারালেও তৃতীয় উইকেটে কেভিন পিটারসেন ও সামিত প্যাটেলের ৬০ রানের জুটিতে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় চলে আসে ইংল্যান্ডের। ক্যাচ মিসের সুবাদে ১ রানে জীবন পাওয়া পিটারসেন ৩৯ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫৩ রান করে হন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। প্যাটেল করেন ২৫ বলে ২১ রান। পরপর দুই ওভারে দুজন ফিরলেও রবি বোপারা ১৬ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থেকে ৮ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটের সহজ জয়ই এনে দেন ইংল্যান্ডকে। এতে ইংল্যান্ড সান্ত্বনা পেতে পারে এই ভেবে যে ধোনির দল তাদের মাটিতে কোনো জয় না পেলেও অন্তত একটা জয় নিয়ে দেশে ফিরতে পারছেন সোয়ানরা! ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.