তৈমূর বললেন-আমি মৃত ব্যক্তি কাউকে সমর্থন দিতে পারি না
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হওয়ায় ক্ষুব্ধ অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন। ব্যালটে মার্কাটা থাকলেও গতকাল রবিবার ভোটের দিন তিনি 'প্রার্থী' ছিলেন না। আগের দিন রাত ১টায় তাঁর দল তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলে। তিনি সরে দাঁড়ালেও দলের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। ক্ষুব্ধ তৈমূর জানান, আইভীকে জেতানোর জন্যে তাঁকে বসে যেতে হয়েছে। 'নেত্রীর' নির্দেশে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু আইভীকে তিনি সমর্থন দিয়েছেন কি না_এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি তো মৃত ব্যক্তি। মৃত ব্যক্তি কাউকে সমর্থন দিতে পারে না।'
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার
গতকাল সারাদিন নিজ বাসভবনে অলস সময় কাটিয়েছেন। ভোট দিতেও যাননি। কিছুক্ষণের জন্য সংবাদকর্মী ও ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করলেও সারাদিন তিনি অলস কাটিয়েছেন। ছোট ভাই কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করলেও তিনি তাঁকে ভোট দিতে যাননি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভোট গ্রহণের মাত্র আট ঘণ্টা আগে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পরমুহূর্ত থেকে তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন। সারাদিন বাসায় অলস সময় কাটিয়েছেন। ঘুম থেকে উঠেছেন সকাল ১১টায়। কিছুক্ষণের জন্য সংবাদকর্মী ও দুয়েকজন ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়া আর কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। সারাদিনই মন খারাপ ছিল তৈমূরের। টিভি দেখে, ঘুমিয়ে বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটিয়েছেন তিনি।
তাঁর ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু হতোদ্যম তৈমূর তাঁকে ভোট দিতে মাসদাইর আদর্শ স্কুলকেন্দ্রে যাননি।
তৈমূরের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, অনিচ্ছা সত্ত্বেও খালেদা জিয়ার নির্দেশে তিনি বসে যেতে বাধ্য হন। জামায়াতপন্থী কিছু নেতা-কর্মীর পরামর্শে আইভীকে পাশ করানোর মিশন নিয়েই তৈমূরকে বসানো হয়েছে। সূত্রের দাবি, শীর্ষ তিন প্রার্থীর মধ্যে লড়াইয়ে তৈমূরের জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর দ্বন্দ্বের কারণেই তাঁর জয় নিশ্চিত ছিল।
সকালে ও বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করার সময় তৈমূর আলম খন্দকার তাঁর সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাইনি। কিন্তু দলের চাপে সরে দাঁড়াতে হলো। সম্পত্তি বেচে নির্বাচন করতে হয়েছে। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। নির্বাচনে থেকে না সরে গেলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত ছিল। শুধু চেয়ারপারসনের নির্দেশে আমি সরে দাঁড়িয়েছি।'
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, 'এর আগেও প্রশাসক নিয়োগ করে আমাকে মেয়র হতে দেয়নি। এবারও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলে আমাকে বঞ্চিত করল বিএনপি।'
প্রসঙ্গত, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আগ পর্যন্ত তৈমূর জোর দিয়ে বলে আসছিলেন, 'কেবল মৃত্যুই আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে।'
গতকাল সারাদিন নিজ বাসভবনে অলস সময় কাটিয়েছেন। ভোট দিতেও যাননি। কিছুক্ষণের জন্য সংবাদকর্মী ও ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করলেও সারাদিন তিনি অলস কাটিয়েছেন। ছোট ভাই কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করলেও তিনি তাঁকে ভোট দিতে যাননি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভোট গ্রহণের মাত্র আট ঘণ্টা আগে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পরমুহূর্ত থেকে তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন। সারাদিন বাসায় অলস সময় কাটিয়েছেন। ঘুম থেকে উঠেছেন সকাল ১১টায়। কিছুক্ষণের জন্য সংবাদকর্মী ও দুয়েকজন ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়া আর কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। সারাদিনই মন খারাপ ছিল তৈমূরের। টিভি দেখে, ঘুমিয়ে বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটিয়েছেন তিনি।
তাঁর ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু হতোদ্যম তৈমূর তাঁকে ভোট দিতে মাসদাইর আদর্শ স্কুলকেন্দ্রে যাননি।
তৈমূরের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, অনিচ্ছা সত্ত্বেও খালেদা জিয়ার নির্দেশে তিনি বসে যেতে বাধ্য হন। জামায়াতপন্থী কিছু নেতা-কর্মীর পরামর্শে আইভীকে পাশ করানোর মিশন নিয়েই তৈমূরকে বসানো হয়েছে। সূত্রের দাবি, শীর্ষ তিন প্রার্থীর মধ্যে লড়াইয়ে তৈমূরের জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর দ্বন্দ্বের কারণেই তাঁর জয় নিশ্চিত ছিল।
সকালে ও বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করার সময় তৈমূর আলম খন্দকার তাঁর সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাইনি। কিন্তু দলের চাপে সরে দাঁড়াতে হলো। সম্পত্তি বেচে নির্বাচন করতে হয়েছে। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। নির্বাচনে থেকে না সরে গেলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত ছিল। শুধু চেয়ারপারসনের নির্দেশে আমি সরে দাঁড়িয়েছি।'
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, 'এর আগেও প্রশাসক নিয়োগ করে আমাকে মেয়র হতে দেয়নি। এবারও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলে আমাকে বঞ্চিত করল বিএনপি।'
প্রসঙ্গত, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আগ পর্যন্ত তৈমূর জোর দিয়ে বলে আসছিলেন, 'কেবল মৃত্যুই আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে।'
No comments