বিএনপি আরো আগেই সরে দাঁড়াতে চেয়েছিল by মোশাররফ বাবলু
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে আরো আগেই সরে দাঁড়াতে চেয়েছিল বিএনপি। তৈমূর আলম রাজি থাকলে আরো আগেই নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিত বিএনপির হাইকমান্ড। কিন্তু দলের সমর্থন পাওয়া প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার প্রথমদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি ছিলেন না। দলের সিনিয়র নেতারা তাঁর সঙ্গে অনেকবার কথা বলেও তাঁকে রাজি করাতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফোন পেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন তিনি। দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, তৈমূর নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবেন না_এটা আগেই বুঝতে পেরেছিল বিএনপির হাইকমান্ড। নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি তাঁর পক্ষে ছিল না, এমনকি এলাকায় তাঁর ভাবমূর্তি সংকটও ছিল। এসব বিষয় বিবেচনা করে গত শনিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তৈমূর আলমকে বিজয়ী করে আনাটা দলের জন্য কঠিন ছিল, কারণ এলাকায় তাঁর তেমন কোনো ইমেজ ছিল না। নির্বাচন থেকে তৈমূর আলম সরে আসায় বিএনপির মানসম্মান রক্ষা হয়েছে। কারণ নির্বাচন করে পরাজিত হলে বিএনপির মানসম্মান কিছুই থাকত না।' ওই নেতা আরো বলেন, 'তৈমূর আলম শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকলে সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচন চলাকালে সংঘাতময় ঘটনার সৃষ্টি করত। সেসব ঘটনার দায়ভার বিএনপিকে নিতে হতো। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হতো।' তাই শেষের দিকে নাটকীয়ভাবে হলেও তৈমূর আলম নির্বাচন থেকে সরে আসায় বিএনপির ইমেজ রক্ষা হয়েছে বলে মনে করেন ওই নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে তৈমূর আলম খন্দকারের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত আমাদের রাজনৈতিক। আমরা রাজনৈতিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, কারণ কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। আমরা ইভিএম পদ্ধতি বাতিলের দাবি করলেও নির্বাচন কমিশন তা আমলে নেয়নি। নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাই আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা সফল।' কিভাবে সফল হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে আন্দোলনের রূপরেখা দেখেই তা বুঝতে পারবেন।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তৈমূর আলমকে বিজয়ী করে আনাটা দলের জন্য কঠিন ছিল, কারণ এলাকায় তাঁর তেমন কোনো ইমেজ ছিল না। নির্বাচন থেকে তৈমূর আলম সরে আসায় বিএনপির মানসম্মান রক্ষা হয়েছে। কারণ নির্বাচন করে পরাজিত হলে বিএনপির মানসম্মান কিছুই থাকত না।' ওই নেতা আরো বলেন, 'তৈমূর আলম শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকলে সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচন চলাকালে সংঘাতময় ঘটনার সৃষ্টি করত। সেসব ঘটনার দায়ভার বিএনপিকে নিতে হতো। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হতো।' তাই শেষের দিকে নাটকীয়ভাবে হলেও তৈমূর আলম নির্বাচন থেকে সরে আসায় বিএনপির ইমেজ রক্ষা হয়েছে বলে মনে করেন ওই নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে তৈমূর আলম খন্দকারের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত আমাদের রাজনৈতিক। আমরা রাজনৈতিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, কারণ কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। আমরা ইভিএম পদ্ধতি বাতিলের দাবি করলেও নির্বাচন কমিশন তা আমলে নেয়নি। নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাই আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা সফল।' কিভাবে সফল হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে আন্দোলনের রূপরেখা দেখেই তা বুঝতে পারবেন।'
No comments