স্থগিত হলে ইস্যু সৃষ্টির সুযোগ হতো : সিইসি-এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাইলফলক
'নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় পরম করুণাময়ের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এ নির্বাচন স্থগিত না করা সংক্রান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা প্রমাণ করেছেন, জনগণ চাইলে সঠিকভাবে ভোট দেওয়া সম্ভব। এই নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাইলফলক হয়ে থাকবে।'প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ টি এম শামসুল হুদা গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সব রকম প্রক্রিয়াসম্পন্ন হওয়ার পর নির্বাচনের মাত্র এক দিন আগে এ নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেলে কারো জন্য একটি ইস্যু সৃষ্টির সুযোগ হতো।
সিইসি বলেন, 'অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে (নির্বাচনের সময়) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই নির্বাচনে ভালো পারফরমেন্স দেখিয়েছে। এই নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী র্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের এ জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।'
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, যার যে কাজ তাকেই তা করতে দেওয়া উচিত। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে গড়ে উঠতে পারে না। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার।
শামসুল হুদা বলেন, 'নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন না হওয়া নিয়ে গত দুই দিন কমিশনের যে সমালোচনা হয়েছে তাতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার কথা। তাঁদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি ও উদ্দীপনার অভাব দেখা দেওয়ার কথা। কিন্তু আমরা মনোবল হারাইনি। মাঠপর্যায়ে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদেরকে মনোবল না হারানোর জন্য বলেছি।'
সিইসি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। কিন্তু রাজনৈতিক আবহের মধ্যেই কমিশনকে কাজ করতে হয়। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। গত শুক্রবার আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা সঠিক ছিল। আপনাদের মনে আছে, আমি ওই দিনও সেনাবাহিনী মোতায়েন না হওয়ায় বলেছিলাম যে আমাদের কাছে দুটি অপসন রয়েছে। একটি হচ্ছে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া, আর অন্যটি হলো নির্বাচনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমি আবারও পুনর্ব্যক্ত করতে চাই যে, আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।'
শামসুল হুদা বলেন, 'বলা হচ্ছে, কমিশনের পদত্যাগ করা উচিত। কিন্তু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থেকে এভাবে পদত্যাগ করা যায় না। এই অর্গানাইজেশনকে পরিচালনার জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না রেখে চলে যাওয়া যায় না। প্রতিস্থাপনের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। আমরা এভাবে চলে যেতে পারি না। চলে যাওয়াটা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় হবে।'
ড. হুদা বলেন, সরকার কেন সেনাবাহিনী দেয়নি সে তথ্য এখনো আমাদের কাছে নেই। আগেও আমি বলেছি, নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে এ বিষয়ে আমাদের বোঝাপড়া করতে হবে। সরকারের ব্যাখ্যা পেলে বুঝতে পারব, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করা হয়েছে কি না। এ ধরনের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। পুরনো ফাইল ঘেঁটে দেখেছি, ২০০৩ সালে (ইউপি নির্বাচনে) নির্বাচন কমিশন লিখিতভাবে সেনাবাহিনী চেয়েও পায়নি। ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এটা একটা রাজনৈতিক সমস্যা। সব সরকার আমলেই এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এখন যাঁরা বিরোধী দলে, তাঁরা যখন সরকারে ছিলেন তখন তাঁরাও নির্বাচন কমিশনের এ চাহিদা পূরণ করেননি। এই সমস্যার সমাধানে কী করা যায় তা চিন্তাভাবনা করে দেখতে হবে।'
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমান নির্বাচনে কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের যে অভিযোগ এনেছেন সে সম্পর্কে সিইসি বলেন, 'আমাদের কাছে লিখিত ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না করলে তা আমলে নেওয়া হবে না।' বিএনপি সমির্থত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের নির্বাচন বর্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত। কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয় নির্বাচন নয়।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, যার যে কাজ তাকেই তা করতে দেওয়া উচিত। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে গড়ে উঠতে পারে না। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার।
শামসুল হুদা বলেন, 'নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন না হওয়া নিয়ে গত দুই দিন কমিশনের যে সমালোচনা হয়েছে তাতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার কথা। তাঁদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি ও উদ্দীপনার অভাব দেখা দেওয়ার কথা। কিন্তু আমরা মনোবল হারাইনি। মাঠপর্যায়ে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদেরকে মনোবল না হারানোর জন্য বলেছি।'
সিইসি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। কিন্তু রাজনৈতিক আবহের মধ্যেই কমিশনকে কাজ করতে হয়। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। গত শুক্রবার আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা সঠিক ছিল। আপনাদের মনে আছে, আমি ওই দিনও সেনাবাহিনী মোতায়েন না হওয়ায় বলেছিলাম যে আমাদের কাছে দুটি অপসন রয়েছে। একটি হচ্ছে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া, আর অন্যটি হলো নির্বাচনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমি আবারও পুনর্ব্যক্ত করতে চাই যে, আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।'
শামসুল হুদা বলেন, 'বলা হচ্ছে, কমিশনের পদত্যাগ করা উচিত। কিন্তু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থেকে এভাবে পদত্যাগ করা যায় না। এই অর্গানাইজেশনকে পরিচালনার জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না রেখে চলে যাওয়া যায় না। প্রতিস্থাপনের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। আমরা এভাবে চলে যেতে পারি না। চলে যাওয়াটা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় হবে।'
ড. হুদা বলেন, সরকার কেন সেনাবাহিনী দেয়নি সে তথ্য এখনো আমাদের কাছে নেই। আগেও আমি বলেছি, নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে এ বিষয়ে আমাদের বোঝাপড়া করতে হবে। সরকারের ব্যাখ্যা পেলে বুঝতে পারব, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করা হয়েছে কি না। এ ধরনের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। পুরনো ফাইল ঘেঁটে দেখেছি, ২০০৩ সালে (ইউপি নির্বাচনে) নির্বাচন কমিশন লিখিতভাবে সেনাবাহিনী চেয়েও পায়নি। ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এটা একটা রাজনৈতিক সমস্যা। সব সরকার আমলেই এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এখন যাঁরা বিরোধী দলে, তাঁরা যখন সরকারে ছিলেন তখন তাঁরাও নির্বাচন কমিশনের এ চাহিদা পূরণ করেননি। এই সমস্যার সমাধানে কী করা যায় তা চিন্তাভাবনা করে দেখতে হবে।'
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমান নির্বাচনে কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের যে অভিযোগ এনেছেন সে সম্পর্কে সিইসি বলেন, 'আমাদের কাছে লিখিত ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না করলে তা আমলে নেওয়া হবে না।' বিএনপি সমির্থত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের নির্বাচন বর্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত। কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয় নির্বাচন নয়।
No comments