জলবায়ু পরিবর্তন-নারী ও শিশুদের স্বার্থ রক্ষায় দরকার সরকারি ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ

লবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও শিশুদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারি ও আন্তর্জাতিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য সরকারি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুটি আচরণবিধি প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে 'জলবায়ু সুবিচার ও নারী গণশুনানি'-তে এ সুপারিশ করেন বিচারপতি গোলাম রাব্বানী।বিচারপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু সংরক্ষণ এবং নারীদের অধিকার রক্ষার দুঃখ-যাতনার সাক্ষ্য শোনা গেল। জলবায়ুর অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত নারীরা তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার কথা বলেন।


গ্লোবাল কল টু অ্যাকশন এগেইনেস্ট প্রোভার্টি (জিক্যাপ) এ গণশুনানির আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপারসন ড. হামিদা হোসেন, পিকেএসএফের পরিচালনা পর্ষদের বেগম তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান প্রমুখ।
ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দায়ী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তাদেরকে ক্ষতিপূরণে করা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বাধ্য করার চেষ্টা করতে হবে। উন্নত দেশগুলো তাদের দায়-দায়িত্ব স্বীকার করলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে এখনো নীরব।
জুরি বোর্ডের সদস্যরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিপূরণ পাওয়া বর্তমানে তামাশায় পরিণত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে আরো বেশি চেষ্টা করতে হবে। এতে সরকারের দায়-দায়িত্ব বেশি।

No comments

Powered by Blogger.