শেয়ারবাজারে ফের বড় ধস সূচক ২১ মাস আগের স্থানে
বিশেষজ্ঞরা বলে আসছিলেন, কোনো সিদ্ধান্ত বা ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শেয়ারবাজার কিছুটা চাঙ্গা হলেও মন্দাভাব দীর্ঘায়িত হবে। কিন্তু এক দিনেই সূচকের ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ বা ২৩১.৬৬ পয়েন্ট পতন হয়তো তাঁরাও ভাবেননি। সপ্তাহ শুরুর দিন গতকালের এ ব্যাপক পতন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের সূচককে নিয়ে দাঁড় করাল ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে। ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি ডিএসইর সূচক ছিল ৫০৯৫ দশমিক ২১-এ। গতকাল লেনদেন শেষে তা স্থির হয়েছে ৫০৭৭ পয়েন্টে। মাত্র সাতটি কম্পানির দাম বাড়ায় শীর্ষ দশের তালিকাও পূরণ করতে পারেনি ডিএসই। চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জে মাত্র একটি শেয়ারের দাম বেড়েছে।
এ পরিস্থিতিতে হতাশ ও বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীদের একটি দল মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে অগি্নসংযোগ করেছে। সে সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশ থেকে বাজার স্থিতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানায়, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ১২৩ পয়েন্ট পড়ে গেলে বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস থেকে নেমে আসেন। তাঁরা ডিএসইর মূল ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। এ সময় মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ডিএসইতে দিনটি শুরুই হয়েছিল দরপতন দিয়ে। ১১টা ৫৫ মিনিটে সূচক ১৫৫ পয়েন্ট কমে যায়। সারা দিন ধরে এই প্রবণতা চলে। দিনশেষে সূচক ৫০৭৭ পয়েন্টে স্থির হয়। শেয়ারবাজারে ধস নামার পর গত ২ মার্চ ও ২৫ মে ৫২৯২ পয়েন্টে নামে সূচক। আর গত ১৯ অক্টোবর নামে ৫২৫৮ পয়েন্টে।
জনতা ক্যাপিট্যাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, শেয়ারবাজারে বিদ্যমান অস্থিরতায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আতঙ্ক ছিল গতকাল শুরুতেই দরপতনে তা আরো বেড়ে যায়। ফলে অনেকে প্যানিক সেল শুরু করেন। এতে পতন আরো তীব্র হয়। এ ছাড়া ঈদের আগে গতকালই ছিল শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার শেষ দিন। হয়তো সে কারণেও অনেকে কোরবানির গরু-ছাগল কিনতে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করেছেন।
জাহাঙ্গীর মিয়া আরো বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও চামড়া কিনতে ঋণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে শেয়ার মার্কেটের বিনিয়োগ স্থগিত রেখেছে। ঈদের আগে মুদ্রা বাজারে কলমানি রেট বেশি থাকে। সে কারণেও ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কমিয়ে দেয়। তারও প্রভাব পড়ে গতকালের বাজারে।
ডিএসইতে গতকাল ২৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৭টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে মাত্র সাতটির। দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশ কম্পানির তালিকায় সব ঘর পূরণ হয়নি গতকাল। অপরিবর্তিত থেকেছে সাতটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। স্টক এঙ্চেঞ্জটিতে গতকাল ৩৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৪ কোটি টাকা কম। গতকালের বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৫৩ হাজার ৭৩১ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭১ টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৫৮৭.৫৭ পয়েন্ট কমে ১৪৫৬০.৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৬৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬০টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে মাত্র একটির আর অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো বেঙ্মিকো ফার্মা, বেঙ্মিকো, তিতাস গ্যাস, গ্রামীণফোন, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবিএল, এনবিএল, মালেক স্পিনিং ও ওয়ান ব্যাংক।
অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষে থাকা ১০টি কম্পানি হলো শমরিতা হাসপাতাল, প্রাইম টেঙ্টাইল, মেট্রো স্পিনিং, ফু-ওয়াং সিরামিকস্, মালেক স্পিনিং, ফাইন ফুডস্, সমতা লেদার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, অগি্ন সিস্টেম ও মিরাক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানায়, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ১২৩ পয়েন্ট পড়ে গেলে বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস থেকে নেমে আসেন। তাঁরা ডিএসইর মূল ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। এ সময় মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ডিএসইতে দিনটি শুরুই হয়েছিল দরপতন দিয়ে। ১১টা ৫৫ মিনিটে সূচক ১৫৫ পয়েন্ট কমে যায়। সারা দিন ধরে এই প্রবণতা চলে। দিনশেষে সূচক ৫০৭৭ পয়েন্টে স্থির হয়। শেয়ারবাজারে ধস নামার পর গত ২ মার্চ ও ২৫ মে ৫২৯২ পয়েন্টে নামে সূচক। আর গত ১৯ অক্টোবর নামে ৫২৫৮ পয়েন্টে।
জনতা ক্যাপিট্যাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, শেয়ারবাজারে বিদ্যমান অস্থিরতায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আতঙ্ক ছিল গতকাল শুরুতেই দরপতনে তা আরো বেড়ে যায়। ফলে অনেকে প্যানিক সেল শুরু করেন। এতে পতন আরো তীব্র হয়। এ ছাড়া ঈদের আগে গতকালই ছিল শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার শেষ দিন। হয়তো সে কারণেও অনেকে কোরবানির গরু-ছাগল কিনতে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করেছেন।
জাহাঙ্গীর মিয়া আরো বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও চামড়া কিনতে ঋণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে শেয়ার মার্কেটের বিনিয়োগ স্থগিত রেখেছে। ঈদের আগে মুদ্রা বাজারে কলমানি রেট বেশি থাকে। সে কারণেও ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কমিয়ে দেয়। তারও প্রভাব পড়ে গতকালের বাজারে।
ডিএসইতে গতকাল ২৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৭টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে মাত্র সাতটির। দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশ কম্পানির তালিকায় সব ঘর পূরণ হয়নি গতকাল। অপরিবর্তিত থেকেছে সাতটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। স্টক এঙ্চেঞ্জটিতে গতকাল ৩৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৪ কোটি টাকা কম। গতকালের বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৫৩ হাজার ৭৩১ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭১ টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৫৮৭.৫৭ পয়েন্ট কমে ১৪৫৬০.৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৬৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬০টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে মাত্র একটির আর অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো বেঙ্মিকো ফার্মা, বেঙ্মিকো, তিতাস গ্যাস, গ্রামীণফোন, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবিএল, এনবিএল, মালেক স্পিনিং ও ওয়ান ব্যাংক।
অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষে থাকা ১০টি কম্পানি হলো শমরিতা হাসপাতাল, প্রাইম টেঙ্টাইল, মেট্রো স্পিনিং, ফু-ওয়াং সিরামিকস্, মালেক স্পিনিং, ফাইন ফুডস্, সমতা লেদার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, অগি্ন সিস্টেম ও মিরাক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ।
No comments