ইভিএমে দ্রুত ভোট বিপত্তিও ছিল-'কালি ছাড়া টিপ দিলাম ভোট হইল ক্যামনে' by তৌফিক মারুফ ও হায়দার আলী,
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার রহিমা বেগম (৭০)। ছোট ছেলের বউ রিতা আক্তারের সঙ্গে সকাল সকাল এসেছেন ভোট দিতে। নবীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের বুথে ভোট দিতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকেন, 'কালি ছাড়া টিপ দিলাম, ভোট হইল ক্যামনে। ভোটের কাগজ দ্যান, আঙ্গুলে কালি লাগাইয়া ভোট দিমু।' বৃদ্ধার কথা শুনে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার সফিকুল ইসলাম সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেন, আগে কালি দিয়ে আঙুলের টিপের মাধ্যমে ভোট হতো, এখন মেশিনের মাধ্যমে ভোট হয়েছে।
বুঝতে পেরে মুখে কাপড় গুঁজে হাসতে থাকেন রহিমা। পরে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'আগের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে হয় নাই। খুব তাড়াতাড়ি ভোট দেওয়া হইছে।'
একই গ্রামের রাশিদা বেগম, আলেয়া বেগম ও মর্জিনা খাতুন ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার পর বের হয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, মেশিনে ভোট দেওয়ার আগে মনে কিছুটা ভয় ছিল। কিন্তু ভেতরে যাওয়ার পর খুব সহজ মনে হয়েছে। কারো কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা। নবীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৯৮ ভোটের মধ্যে দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে সাড়ে ৫০০ ভোট গ্রহণ করা হয়। পার্শ্ববর্তী ভোটকেন্দ্র নবীগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় দুপুরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভোট দেওয়া শেষ হয়ে যায়। এ কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়াতে হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে (নাসিক) ২৭টি ওয়ার্ডের ৯টিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হয়। হাতে গোনা দু-একটি বুথ ছাড়া ইভিএম পদ্ধতির প্রতিটি কেন্দ্রেই খুব দ্রুত ভোটগ্রহণ হয়েছে। পূর্বধারণা না থাকায় বয়স্ক ভোটারদের নিয়ে বিছুটা বিপাকেও পড়তে হয় নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। শহীদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার বাকের হোসেন জানান, ইভিএম পদ্ধতিতে খুব সহজেই ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন। একটু দেখিয়ে দিলেই তাঁরা খুব দ্রুত ভোট দিতে পারছেন। শহরের শহীদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ড. নুলুয়া আলিয়া মাদ্রাসা, শীতলক্ষ্যা প্রাইমারি স্কুল, বাবুরাইল বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটদানকারীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বন্দর এলাকার নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন নতুন প্রজন্মের ভোটার আইরিন সুলতানা রিনা। তোলারাম কলেজের এ ছাত্রী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, 'জীবনের প্রথম ভোট দিলাম এবং নতুন প্রযুক্তির সাক্ষী হলাম। তাই আমি খুব এঙ্াইটেড। আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। তবে অনেকের কিছুটা দেরি হয়েছে।' নির্বাচনী এজেন্ট খালেদা সুলতানা জনি বলেন, 'ইভিএম ভালোই হইছে। তবে ভোটারদের আগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে আরো ভালো হতো।' দুপুর পৌনে ১টায় এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোকতার হোসেন সিকদার বলেন, ১২টি বুথে তিন হাজার ৭৪১ ভোটারের মধ্যে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইভিএম ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, বয়স্কদের বেলায় সময় লেগেছে। আবার অপেক্ষাকৃত তরুণ ও শিক্ষিত ভোটারদের ক্ষেত্রে অনেক কম সময় লেগেছে। তিনি জানান, একটি বুথের ইভিএম মেশিনে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে প্রকৌশলী এসে সেটির ব্যাটারি পরিবর্তন করে দিয়েছেন। ফলে আর কোনো সমস্যা হয়নি।
সকাল সাড়ে ৯টা। শহরের কেন্দ্রস্থল মর্গান স্কুল কেন্দ্রের ভেতরে একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে শুরু করে দোতলার পুরো করিডরে নারী ভোটারদের ঠাসাঠাসি ভিড়। মধ্য বয়সী সুফিয়া বেগম বলেন, 'সেই ৮টা থাইক্কা দাঁড়াইয়াই আছি, ভিড় কমতাছে না, পা ব্যথা অইয়া গ্যাছেগা।' করিডরে দাঁড়িয়ে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সাধারণ ভোটাররা ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে খুব দেরি করছেন। তাঁরা সহজে বুঝতে পারছেন না।'
৬ নম্বর বুথের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার অনিতা রানী সরকার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে বলেন, 'এখন পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ২০টি। এ বুথে ভোটার সংখ্যা ৩৭৭। একেকজন ভোটারকে তিন-চারবার করে দেখিয়ে দিতে হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতে তাই সময় বেশি লাগছে। এ পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের আগে আরো বেশি সচেতন করলে এখন এ সমস্যা হতো না।' তবে ৯টা ৪০ মিনিটে একই কেন্দ্রের ৮ নম্বর বুথে দেখা যায়, মোট ২৮৯ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫৫ জন। এ বুথের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, 'শিক্ষিত ভোটাররা তুলনামূলক দ্রুত ভোট দিতে পারছেন একবার দেখিয়ে দিলেই। কিন্তু বয়স্ক ভোটারদের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।' এ কেন্দ্রের ভোটার রেণু বেগম ভোট দিয়ে বেরিয়ে কেন্দ্রের মাঠে দাঁড়িয়ে বলেন, 'তিনবার চেষ্টার পর ঠিকমতো ভোট দিলাম।' ভোটার রাশেদুল রাশেদ বলেন, 'প্রথমে বুঝতে সমস্যা হলেও দুইবারের পরে ঠিকমতো ভোট দিতে পারলাম।'
নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী উপস্থিত সংবাদকর্মীদের বলেন, 'ইভিএম নিয়ে কোনো সমস্যার কথা শুনিনি।' অবশ্য পরে নারায়ণগঞ্জ নগরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, 'কোনো কোনো কেন্দ্রে ইভিএম ঠিকভাবে কাজ করেনি। শুনেছি, একটি কেন্দ্রে একজন ভোটার আমার প্রতীকে বোতাম চেপেছেন; কিন্তু ভোট পড়েছে অন্য প্রার্থীর প্রতীকে।'
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনে মোট ১৬৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৮টিতে ইভিএম যন্ত্রে ভোট নেওয়া হয়।
'ভোটটা তো পানিতে ফালাইছ' : নারায়গণঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার মর্গান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটার মাঈনউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিজের ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে হাসতে হাসতে বলেন, 'অহন আর কাগজ আর কালির কাম নাই। মেশিনে জায়গামতো টিপ দিলেই ভোট হইয়া যায়।' ভোট দিয়ে পাশ দিয়েই বেরিয়ে যাচ্ছিলেন সখিনা বিবি নামের একজন ভোটার। তাঁর পথ আগলে একজনের প্রশ্ন, 'খালা, আনারস মার্কায় ভোট দাও নাই তো?' উত্তরে সখিনা বিবি বলেন, 'আমি তো আনারসেই ভোট দিছি।' যুবকটি মাথায় হাত দিয়ে চেঁচিয়ে বলতে থাকেন, 'হায় হায় ভোটটা তো পানিতে ফালাইছ, আনারস মার্কার লোক (তৈমূর আলম খন্দকার) নির্বাচনে বইয়া পড়ছে।'
একই গ্রামের রাশিদা বেগম, আলেয়া বেগম ও মর্জিনা খাতুন ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার পর বের হয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, মেশিনে ভোট দেওয়ার আগে মনে কিছুটা ভয় ছিল। কিন্তু ভেতরে যাওয়ার পর খুব সহজ মনে হয়েছে। কারো কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা। নবীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৯৮ ভোটের মধ্যে দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে সাড়ে ৫০০ ভোট গ্রহণ করা হয়। পার্শ্ববর্তী ভোটকেন্দ্র নবীগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় দুপুরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভোট দেওয়া শেষ হয়ে যায়। এ কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়াতে হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে (নাসিক) ২৭টি ওয়ার্ডের ৯টিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হয়। হাতে গোনা দু-একটি বুথ ছাড়া ইভিএম পদ্ধতির প্রতিটি কেন্দ্রেই খুব দ্রুত ভোটগ্রহণ হয়েছে। পূর্বধারণা না থাকায় বয়স্ক ভোটারদের নিয়ে বিছুটা বিপাকেও পড়তে হয় নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। শহীদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার বাকের হোসেন জানান, ইভিএম পদ্ধতিতে খুব সহজেই ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন। একটু দেখিয়ে দিলেই তাঁরা খুব দ্রুত ভোট দিতে পারছেন। শহরের শহীদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ড. নুলুয়া আলিয়া মাদ্রাসা, শীতলক্ষ্যা প্রাইমারি স্কুল, বাবুরাইল বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটদানকারীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বন্দর এলাকার নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন নতুন প্রজন্মের ভোটার আইরিন সুলতানা রিনা। তোলারাম কলেজের এ ছাত্রী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, 'জীবনের প্রথম ভোট দিলাম এবং নতুন প্রযুক্তির সাক্ষী হলাম। তাই আমি খুব এঙ্াইটেড। আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। তবে অনেকের কিছুটা দেরি হয়েছে।' নির্বাচনী এজেন্ট খালেদা সুলতানা জনি বলেন, 'ইভিএম ভালোই হইছে। তবে ভোটারদের আগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে আরো ভালো হতো।' দুপুর পৌনে ১টায় এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোকতার হোসেন সিকদার বলেন, ১২টি বুথে তিন হাজার ৭৪১ ভোটারের মধ্যে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইভিএম ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, বয়স্কদের বেলায় সময় লেগেছে। আবার অপেক্ষাকৃত তরুণ ও শিক্ষিত ভোটারদের ক্ষেত্রে অনেক কম সময় লেগেছে। তিনি জানান, একটি বুথের ইভিএম মেশিনে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে প্রকৌশলী এসে সেটির ব্যাটারি পরিবর্তন করে দিয়েছেন। ফলে আর কোনো সমস্যা হয়নি।
সকাল সাড়ে ৯টা। শহরের কেন্দ্রস্থল মর্গান স্কুল কেন্দ্রের ভেতরে একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে শুরু করে দোতলার পুরো করিডরে নারী ভোটারদের ঠাসাঠাসি ভিড়। মধ্য বয়সী সুফিয়া বেগম বলেন, 'সেই ৮টা থাইক্কা দাঁড়াইয়াই আছি, ভিড় কমতাছে না, পা ব্যথা অইয়া গ্যাছেগা।' করিডরে দাঁড়িয়ে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সাধারণ ভোটাররা ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে খুব দেরি করছেন। তাঁরা সহজে বুঝতে পারছেন না।'
৬ নম্বর বুথের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার অনিতা রানী সরকার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে বলেন, 'এখন পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ২০টি। এ বুথে ভোটার সংখ্যা ৩৭৭। একেকজন ভোটারকে তিন-চারবার করে দেখিয়ে দিতে হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতে তাই সময় বেশি লাগছে। এ পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের আগে আরো বেশি সচেতন করলে এখন এ সমস্যা হতো না।' তবে ৯টা ৪০ মিনিটে একই কেন্দ্রের ৮ নম্বর বুথে দেখা যায়, মোট ২৮৯ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫৫ জন। এ বুথের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, 'শিক্ষিত ভোটাররা তুলনামূলক দ্রুত ভোট দিতে পারছেন একবার দেখিয়ে দিলেই। কিন্তু বয়স্ক ভোটারদের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।' এ কেন্দ্রের ভোটার রেণু বেগম ভোট দিয়ে বেরিয়ে কেন্দ্রের মাঠে দাঁড়িয়ে বলেন, 'তিনবার চেষ্টার পর ঠিকমতো ভোট দিলাম।' ভোটার রাশেদুল রাশেদ বলেন, 'প্রথমে বুঝতে সমস্যা হলেও দুইবারের পরে ঠিকমতো ভোট দিতে পারলাম।'
নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী উপস্থিত সংবাদকর্মীদের বলেন, 'ইভিএম নিয়ে কোনো সমস্যার কথা শুনিনি।' অবশ্য পরে নারায়ণগঞ্জ নগরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, 'কোনো কোনো কেন্দ্রে ইভিএম ঠিকভাবে কাজ করেনি। শুনেছি, একটি কেন্দ্রে একজন ভোটার আমার প্রতীকে বোতাম চেপেছেন; কিন্তু ভোট পড়েছে অন্য প্রার্থীর প্রতীকে।'
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনে মোট ১৬৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৮টিতে ইভিএম যন্ত্রে ভোট নেওয়া হয়।
'ভোটটা তো পানিতে ফালাইছ' : নারায়গণঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার মর্গান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটার মাঈনউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিজের ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে হাসতে হাসতে বলেন, 'অহন আর কাগজ আর কালির কাম নাই। মেশিনে জায়গামতো টিপ দিলেই ভোট হইয়া যায়।' ভোট দিয়ে পাশ দিয়েই বেরিয়ে যাচ্ছিলেন সখিনা বিবি নামের একজন ভোটার। তাঁর পথ আগলে একজনের প্রশ্ন, 'খালা, আনারস মার্কায় ভোট দাও নাই তো?' উত্তরে সখিনা বিবি বলেন, 'আমি তো আনারসেই ভোট দিছি।' যুবকটি মাথায় হাত দিয়ে চেঁচিয়ে বলতে থাকেন, 'হায় হায় ভোটটা তো পানিতে ফালাইছ, আনারস মার্কার লোক (তৈমূর আলম খন্দকার) নির্বাচনে বইয়া পড়ছে।'
No comments