খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যান গুলিবিদ্ধ, অবস্থা আশঙ্কাজনক

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক গাজী আবদুল হালিম (৫১) সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় তাঁকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালক মো. নুরুল ইসলাম গাজীও (৩৬) গুলিবিদ্ধ হন। গতকাল রবিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার গোয়ালপাড়ার স্টিলের ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলি আবদুল হালিমের মাথার ডান পাশ, চোয়াল ও কোমরে বিদ্ধ হয়। প্রথমে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে যশোর সিএমএইচে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় দিঘলিয়া এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।


ডান হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মোটরসাইকেলচালক নুরুল ইসলাম গাজী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদে বৈঠক শেষে চেয়ারম্যানকে নিয়ে রওনা দিই। এ সময় আরো একটি মোটরসাইকেলে আমাদের সঙ্গীরা ছিলেন। আমরা ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি চন্দনীমহল যাচ্ছিলাম। গোয়ালপাড়া স্টিলের ব্রিজের কাছাকাছি এসে মোটরসাইকেলের গতি কমিয়ে আনতেই সাত-আটজন মুখোশধারী ১০-১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এর মধ্যে কয়েকটি গুলি চেয়ারম্যানের ডান পাশে বিদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে আমরা দুজনই মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাই। এতে আমার ডান হাতে গুলি লাগে।' গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় চেয়ারম্যানের সমর্থক ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কাজী হামিদ আসগর বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গুরুতর আহত গাজী আবদুল হালিমকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর মাথার ডান পাশ, চোয়াল ও নিতম্বে গুলি বিদ্ধ হয়। অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ ও মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে। মোটরসাইকেলচালক নুরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হলেও তাঁর অবস্থা সংকটজনক নয়।
এদিকে গাজী আবদুল হালিমের স্ত্রী পারুল বেগম বলেন, 'আমার স্বামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। জনগণের জন্য কাজ করেন। কিন্তু দিনে-দুপুরে এমন ঘটনার কথা আমরা কখনোই ভাবতে পারিনি।'
দিঘলিয়া থানার ওসি মো. নাসিম খান জানান, বিকেল সোয়া ৩টায় ইউপি চেয়ারম্যান হালিম গাজী উপজেলা কার্যালয় থেকে চন্দনীমহল গ্রামে বাড়িতে ফিরছিলেন। গোয়ালপাড়া তেঘরি নামক স্থানে পৌঁছলে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি তাঁর মাথায় লাগে। ঘটনায় তাঁকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালক নুরুল ইসলাম গাজীও আহত হন।
ঘটনার খবর পেয়ে সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, সংসদ সদস্য মোল্লা জালাল উদ্দিন, জেলা প্রশাসক জমসের আহাম্মদ খন্দকার, জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান জামালসহ দলীয় নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী হাসপাতালে ছুটে যায়।

No comments

Powered by Blogger.