সশস্ত্র বাহিনীকে সুসজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে -প্রধানমন্ত্রী
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। বিকালে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনায় সমুজ্জ্বল সশস্ত্র বাহিনী জাতির জন্য গর্ব। সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে সুশৃঙ্খল, দক্ষ, আধুনিক এবং সুসজ্জিত বাহিনী হিসেবে দেখতে চায়। এজন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে। ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচএম এরশাদ, মন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী এবং কূটনীতিকবৃন্দ অংশ নেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অনুষ্ঠানে অংশ নিলেও যাননি বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। এদিকে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেউ অংশ নেননি। দলের নেতা মাহবুবুর রহমান অংশ নেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে খেতাবপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিকালে আয়োজিত সংবর্ধনায় বক্তব্য দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিক এবং অন্য অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আমরা এই বাহিনীর অব্যাহত সমৃদ্ধি চাই। আশা করি সুশৃঙ্খল ও পেশাগত দক্ষতা বজায় রেখে জাতি গঠনে সশস্ত্র বাহিনী আরও অবদান রাখবে।
সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর বীর যোদ্ধারা একত্রে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে।
সম্মিলিত আক্রমণে দখলদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে জন্ম লাভ করে। স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদেরকে এবং ত্যাগকে জাতি সব সময় স্মরণ করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অভ্যন্তরীণ সংকটে তাদের সেবাকর্মের মাধ্যমে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তারা সড়ক নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করছে। তাছাড়া তারা জাতি গঠন কার্যক্রম ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বেসামরিক প্রশাসনকেও সহায়তা করছে।
সশস্ত্র বাহিনী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
সশস্ত্র বাহিনী শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘে সর্বাধিক সংখ্যক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনকের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আঞ্চলিক সদর দপ্তরসহ ছয়টি নতুন ইউনিট গঠন ছাড়াও সিলেটে একটি পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার রামুতে একটি নতুন পদাতিক বিভাগ প্রতিষ্ঠারও অনুমোদন দিয়েছে। তাছাড়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও অপর একটি পদাতিক বিভাগ প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য মাল্টি ব্যারেল রকেট লাঞ্চার এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা হয়েছে। সরকার পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণের জন্য নোয়াখালীর হাতিয়ার জাহাজের চর এলাকার জমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে দীর্ঘমেয়াদি লিজ দিয়েছে। চর ক্যারিং এর ভূমি লিজ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বিএমএ ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণের সময় দু’বছর থেকে বাড়িয়ে তিন বছর করা হয়েছে। সৈনিকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ফাউন্ডেশন কোর্সের সময়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক, ইলেক্ট্রোনিক এবং কমুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিবিএ, পদার্থবিদ্যা এবং অর্থনীতি বিষয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ১৯৯৬-২০০১ সালের মেয়াদকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, সশস্ত্র বাহিনী প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, সশস্ত্র বাহিনী মেডিকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ পিচ সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ব্রিগেড এবং বিভিন্ন ছোট ও বড় ইউনিটের সমন্বয়ে ৫২ ইনফ্রান্ট্রি ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে।
অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে সশস্ত্র বাহিনী হাসপাতাল আরও আধুনিক করা হয়েছে। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি পূরণে মেজর পদে এফআরসিএস এবং এফসিপিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের সরাসরি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীকে আরও আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পটুয়াখালীতে একটি নতুন নৌ-ঘাঁটি উদ্বোধন করা হয়েছে। কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করা হয়েছে।
বিএনপির কোন প্রতিনিধি অংশ নেননি: সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির কোন প্রতিনিধি অংশ নেননি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি জানিয়েছেন, বিএনপির কোন নেতা ওই অনুষ্ঠানে যাননি। তবে আমি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি সাবেক সেনাপ্রধান হিসেবে। দীর্ঘ ৩৬ বছর কর্মজীবন সেনাবাহিনীতে অতিবাহিত করেছি। সেনাবাহিনীতে ওই দিবসটি একটি বিশেষ দিন। গত বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। দলীয় সূত্র জানায়, জেনারেল মাহবুবুর রহমান সাবেক সেনাপ্রধান হিসেবে দাওয়াত পেলেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের কেউই অনুষ্ঠানের দাওয়াত পাননি।
খেতাবপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা: এদিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৪ উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যবর্গ এবং বীরউত্তম, বীরবিক্রমসহ নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্তদের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। এতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিকুল হক।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক এবং সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী ও উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা হিসাবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সবার দায়িত্ব হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা। তিনি বলেন, বহু আত্মত্যাগ ও লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাই সবার দায়িত্ব হচ্ছে এই মহান অর্জনকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে সমুন্নত রাখা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অনুষ্ঠানে অংশ নিলেও যাননি বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। এদিকে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেউ অংশ নেননি। দলের নেতা মাহবুবুর রহমান অংশ নেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে খেতাবপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিকালে আয়োজিত সংবর্ধনায় বক্তব্য দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিক এবং অন্য অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আমরা এই বাহিনীর অব্যাহত সমৃদ্ধি চাই। আশা করি সুশৃঙ্খল ও পেশাগত দক্ষতা বজায় রেখে জাতি গঠনে সশস্ত্র বাহিনী আরও অবদান রাখবে।
সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর বীর যোদ্ধারা একত্রে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে।
সম্মিলিত আক্রমণে দখলদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে জন্ম লাভ করে। স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদেরকে এবং ত্যাগকে জাতি সব সময় স্মরণ করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অভ্যন্তরীণ সংকটে তাদের সেবাকর্মের মাধ্যমে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তারা সড়ক নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করছে। তাছাড়া তারা জাতি গঠন কার্যক্রম ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বেসামরিক প্রশাসনকেও সহায়তা করছে।
সশস্ত্র বাহিনী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
সশস্ত্র বাহিনী শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘে সর্বাধিক সংখ্যক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনকের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আঞ্চলিক সদর দপ্তরসহ ছয়টি নতুন ইউনিট গঠন ছাড়াও সিলেটে একটি পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার রামুতে একটি নতুন পদাতিক বিভাগ প্রতিষ্ঠারও অনুমোদন দিয়েছে। তাছাড়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও অপর একটি পদাতিক বিভাগ প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য মাল্টি ব্যারেল রকেট লাঞ্চার এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা হয়েছে। সরকার পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণের জন্য নোয়াখালীর হাতিয়ার জাহাজের চর এলাকার জমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে দীর্ঘমেয়াদি লিজ দিয়েছে। চর ক্যারিং এর ভূমি লিজ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বিএমএ ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণের সময় দু’বছর থেকে বাড়িয়ে তিন বছর করা হয়েছে। সৈনিকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ফাউন্ডেশন কোর্সের সময়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক, ইলেক্ট্রোনিক এবং কমুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিবিএ, পদার্থবিদ্যা এবং অর্থনীতি বিষয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ১৯৯৬-২০০১ সালের মেয়াদকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, সশস্ত্র বাহিনী প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, সশস্ত্র বাহিনী মেডিকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ পিচ সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ব্রিগেড এবং বিভিন্ন ছোট ও বড় ইউনিটের সমন্বয়ে ৫২ ইনফ্রান্ট্রি ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে।
অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে সশস্ত্র বাহিনী হাসপাতাল আরও আধুনিক করা হয়েছে। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি পূরণে মেজর পদে এফআরসিএস এবং এফসিপিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের সরাসরি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীকে আরও আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পটুয়াখালীতে একটি নতুন নৌ-ঘাঁটি উদ্বোধন করা হয়েছে। কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করা হয়েছে।
বিএনপির কোন প্রতিনিধি অংশ নেননি: সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির কোন প্রতিনিধি অংশ নেননি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি জানিয়েছেন, বিএনপির কোন নেতা ওই অনুষ্ঠানে যাননি। তবে আমি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি সাবেক সেনাপ্রধান হিসেবে। দীর্ঘ ৩৬ বছর কর্মজীবন সেনাবাহিনীতে অতিবাহিত করেছি। সেনাবাহিনীতে ওই দিবসটি একটি বিশেষ দিন। গত বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। দলীয় সূত্র জানায়, জেনারেল মাহবুবুর রহমান সাবেক সেনাপ্রধান হিসেবে দাওয়াত পেলেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের কেউই অনুষ্ঠানের দাওয়াত পাননি।
খেতাবপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা: এদিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৪ উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যবর্গ এবং বীরউত্তম, বীরবিক্রমসহ নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্তদের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। এতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিকুল হক।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক এবং সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী ও উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা হিসাবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সবার দায়িত্ব হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা। তিনি বলেন, বহু আত্মত্যাগ ও লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাই সবার দায়িত্ব হচ্ছে এই মহান অর্জনকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে সমুন্নত রাখা।
No comments