মাহজাবিনের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থানায় যাচ্ছে আজ
ডা. শামারুখ মাহজাবিন সুমির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পাচ্ছে পুলিশ। এটি হাতে পেলে মাহজাবিনের মৃত্যুরহস্য বেরিয়ে আসবে বলে পুলিশ মনে করছে। যদিও ওই রিপোর্ট প্রভাবিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মাহজাবিনের পিতা। মাহজাবিনের শ্বশুর সাবেক এমপি টিপু সুলতান ও তার পরিবারের সদস্যরা মাহজাবিনের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও এর পেছনে গ্রহণযোগ্য কোন কারণ পাওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা হলে তা প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়ে মাহজাবিনের পিতা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, আমি আগেই বলেছি প্রভাব খাটিয়ে হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি হিসেবে টিপু সুলতান অত্যন্ত প্রভাবশালী উল্লেখ করে তিনি জানান, এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে পুনঃতদন্ত চাইবেন তিনি।
নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার মেয়ে মাহজাবিনকে টিপু সুলতান ও তার স্ত্রী, পুত্র মিলে হত্যা করেছে। যে কারণে আত্মহত্যার কোন আলামত পায়নি পুলিশ। তিনি বলেন, মাহজাবিনের মৃত্যুর পর পরকীয়ার অভিযোগ করা হলো অথচ তদন্তে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ডে সাদাব পুলিশকে জানিয়েছে, কারও সঙ্গে মাহজাবিনের পরকীয়া ছিল না। সে যাকে সন্দেহ করেছিল সেই ছেলেটির নাম প্রত্যয় বিশ্বাস। সে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক, মাহজাবিনের জুনিয়র। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গিয়েই তার সঙ্গে মাহজাবিনের পরিচয়। ঘটনার দিন মাহজাবিনের ফোনে যে কল আসে এবং যে কল নিয়ে মাহজাবিন ও সাদাবের মধ্যে মনোমালিন্যের কথা বলা হয়েছে ওই কল প্রত্যয়ই দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই দিনই বিষয়টি যদি সাদাব ও মাহজাবিনের মধ্যে সমাধান হয়ে থাকে তাহলে কি কারণে মাহজাবিন আত্মহত্যা করবে? প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমার মা (কন্যা) আত্মহত্যা করতে পারে না। নিহত মাহজাবিনের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শনিবার ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে আসবে। প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। গত ১৩ই নভেম্বর দুপুরে ধানমন্ডির ৬ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়িতে সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের পুত্রবধূ ডা. শামারুখ মাহজাবিন সুমির রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মাহজাবিনের শ্বশুর খান টিপু সুলতান ও তার স্বামী সুলতান সাদাব ও শ্বাশুড়ি ডা. জেসমিন আরা বেগমকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা নুরুল ইসলাম।
নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার মেয়ে মাহজাবিনকে টিপু সুলতান ও তার স্ত্রী, পুত্র মিলে হত্যা করেছে। যে কারণে আত্মহত্যার কোন আলামত পায়নি পুলিশ। তিনি বলেন, মাহজাবিনের মৃত্যুর পর পরকীয়ার অভিযোগ করা হলো অথচ তদন্তে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ডে সাদাব পুলিশকে জানিয়েছে, কারও সঙ্গে মাহজাবিনের পরকীয়া ছিল না। সে যাকে সন্দেহ করেছিল সেই ছেলেটির নাম প্রত্যয় বিশ্বাস। সে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক, মাহজাবিনের জুনিয়র। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গিয়েই তার সঙ্গে মাহজাবিনের পরিচয়। ঘটনার দিন মাহজাবিনের ফোনে যে কল আসে এবং যে কল নিয়ে মাহজাবিন ও সাদাবের মধ্যে মনোমালিন্যের কথা বলা হয়েছে ওই কল প্রত্যয়ই দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই দিনই বিষয়টি যদি সাদাব ও মাহজাবিনের মধ্যে সমাধান হয়ে থাকে তাহলে কি কারণে মাহজাবিন আত্মহত্যা করবে? প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমার মা (কন্যা) আত্মহত্যা করতে পারে না। নিহত মাহজাবিনের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শনিবার ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে আসবে। প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। গত ১৩ই নভেম্বর দুপুরে ধানমন্ডির ৬ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়িতে সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের পুত্রবধূ ডা. শামারুখ মাহজাবিন সুমির রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মাহজাবিনের শ্বশুর খান টিপু সুলতান ও তার স্বামী সুলতান সাদাব ও শ্বাশুড়ি ডা. জেসমিন আরা বেগমকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা নুরুল ইসলাম।
No comments