প্রত্যেক জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করা হবে
দেশের
৬৪টি জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা যারা দুস্থ অবস্থায়
আছেন, তাদের থাকা-খাওয়া ও বাসস্থানের ব্যবস্থা আমরা করে দেব। প্রত্যেক
জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের
উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রায় ২২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ভূমিহীন
অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ
করেন। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ
পরিবারের কল্যাণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্ট গঠন করেন। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ প্রতিষ্ঠানটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়, রুগ্ন
হয়ে পড়ে। সরকার এ ট্রাস্টকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে উদ্যোগ নিয়েছে।
ঢাকা সেনানিবাসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ৫৯
জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের হাতে সম্মানী চেক ও
উপহার তুলে দেন। বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী এ
অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ জন সদস্যকে পদকও দেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৬৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠদের ভাতা ১২ হাজার টাকা, বীর উত্তমদের জন্য দশ হাজার টাকা, বীরবিক্রমদের জন্য আট হাজার এবং বীরপ্রতীকদের জন্য ছয় হাজার টাকায় উন্নীত করার কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতার পরিমাণ ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা এখন ৯ হাজার ৭০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতার আওতায় আনার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এটা আমরা করব। তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশেই নয়, বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, সে পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন করা হবে।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবীব, বিমান বাহিনী প্রধান মোহাম্মদ ইনামুল বারী, সাবেক সেনা প্রধান মোহাম্মদ আবদুল মুবীন, সাবেক নৌবাহিনী প্রধান জহির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান শাহ মো. জিয়াউল রহমান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীসহ ১৪ জনকে বাহিনীর পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ১২ জনকে দেন ‘অসামান্য’ পদক। শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়েছি, সেভাবেই দারিদ্র্যকে জয় করব। বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারীসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৬৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠদের ভাতা ১২ হাজার টাকা, বীর উত্তমদের জন্য দশ হাজার টাকা, বীরবিক্রমদের জন্য আট হাজার এবং বীরপ্রতীকদের জন্য ছয় হাজার টাকায় উন্নীত করার কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতার পরিমাণ ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা এখন ৯ হাজার ৭০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতার আওতায় আনার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এটা আমরা করব। তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশেই নয়, বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, সে পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন করা হবে।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবীব, বিমান বাহিনী প্রধান মোহাম্মদ ইনামুল বারী, সাবেক সেনা প্রধান মোহাম্মদ আবদুল মুবীন, সাবেক নৌবাহিনী প্রধান জহির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান শাহ মো. জিয়াউল রহমান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীসহ ১৪ জনকে বাহিনীর পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ১২ জনকে দেন ‘অসামান্য’ পদক। শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়েছি, সেভাবেই দারিদ্র্যকে জয় করব। বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারীসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments