নেপথ্যে টেন্ডারবাজি নিয়োগ-বাণিজ্য
ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বারবার
রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আধিপত্য
বিস্তারের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখল ও
নিয়োগ-বাণিজ্যে সুযোগ নিতেই বিভিন্ন সময়ে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সংঘর্ষে
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ক্যাম্পাসে আনা হচ্ছে বহিরাগত ক্যাডারদের। আর এই
শক্তি দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। সর্বশেষ
বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে প্রাণ হারায় সিলেট
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সুমন চন্দ্র দাস।
শাবিতে এখন ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ। আর এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হামলায় আহত হয়ে পঙ্গু জীবনযাপন করছেন কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা। প্রতিটি গ্রুপ নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে এবং বিভিন্ন সংঘর্ষের আগে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতে জেলার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহিরাগত ক্যাডার ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে থাকেন। এক সময় সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ, মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিধান কুমার সাহা ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পীযূষকান্তি দে’র মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন। পরে নিজেদের মধ্যে কোন্দল দেখা দিলে টেন্ডার-বাণিজ্যে জগদীশের নিয়ন্ত্রণ কমে আসে। এখন টেন্ডার ও নিয়োগ-বাণিজ্যেও সুযোগ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রঞ্জিত সরকার ও পীযূষকান্তি দে’র অনুসারীরা। শাবিতে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্র“পকে কাজে লাগিয়ে তারা টেন্ডার-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবন নির্মাণের সময় শাবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্র“পকে কাজে লাগিয়ে সিলেটের আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সমঝোতা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্টার নির্মাণের সময় টেন্ডারবাজির অভিযোগে তখনকার ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঠিকাদার হাবিব মালিথা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিটোরিয়ামের কাজ নিয়েও টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আইসিটি ভবনের আসবাবপত্র ও কম্পিউটার সরবরাহের কাজ পেতে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ নেতা বিধান কুমার সাহার বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে হলে ফাও থাকা-খাওয়া সুবিধা চালু রেখেছে।
গত বছরের ৮ মে শাবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পর কমিটিতে স্থান পাওয়া ও পদবঞ্চিতরা ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারে বেপরোয়া হয়ে উঠে। ফলে ক্যাম্পাসের অবস্থা দিন দিন অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। কমিটির গঠনের পর শাবি ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক শামসুজ্জামান চৌধুরী সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন। ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা উত্তম এখনও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উত্তম গ্রুপের কর্মীরা এ হামলার জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নাঈম হাসান ও সহ-সম্পাদক শামসুজ্জামান চৌধুরী সুমনকে দায়ী করেছেন। একইভাবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সুমন চন্দ্র দাস।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, শাবিতে সংঘর্ষের আগে বুধবার রাতে নগরীর তেলিহাওর গ্রুপের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পার্থ-ইমরান গ্র“পের কর্মীদের গোপন বৈঠক হয়।
শাবিতে এখন ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ। আর এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হামলায় আহত হয়ে পঙ্গু জীবনযাপন করছেন কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা। প্রতিটি গ্রুপ নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে এবং বিভিন্ন সংঘর্ষের আগে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতে জেলার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহিরাগত ক্যাডার ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে থাকেন। এক সময় সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ, মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিধান কুমার সাহা ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পীযূষকান্তি দে’র মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন। পরে নিজেদের মধ্যে কোন্দল দেখা দিলে টেন্ডার-বাণিজ্যে জগদীশের নিয়ন্ত্রণ কমে আসে। এখন টেন্ডার ও নিয়োগ-বাণিজ্যেও সুযোগ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রঞ্জিত সরকার ও পীযূষকান্তি দে’র অনুসারীরা। শাবিতে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্র“পকে কাজে লাগিয়ে তারা টেন্ডার-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবন নির্মাণের সময় শাবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্র“পকে কাজে লাগিয়ে সিলেটের আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সমঝোতা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্টার নির্মাণের সময় টেন্ডারবাজির অভিযোগে তখনকার ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঠিকাদার হাবিব মালিথা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিটোরিয়ামের কাজ নিয়েও টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আইসিটি ভবনের আসবাবপত্র ও কম্পিউটার সরবরাহের কাজ পেতে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ নেতা বিধান কুমার সাহার বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে হলে ফাও থাকা-খাওয়া সুবিধা চালু রেখেছে।
গত বছরের ৮ মে শাবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পর কমিটিতে স্থান পাওয়া ও পদবঞ্চিতরা ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারে বেপরোয়া হয়ে উঠে। ফলে ক্যাম্পাসের অবস্থা দিন দিন অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। কমিটির গঠনের পর শাবি ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক শামসুজ্জামান চৌধুরী সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন। ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা উত্তম এখনও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উত্তম গ্রুপের কর্মীরা এ হামলার জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নাঈম হাসান ও সহ-সম্পাদক শামসুজ্জামান চৌধুরী সুমনকে দায়ী করেছেন। একইভাবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সুমন চন্দ্র দাস।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, শাবিতে সংঘর্ষের আগে বুধবার রাতে নগরীর তেলিহাওর গ্রুপের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পার্থ-ইমরান গ্র“পের কর্মীদের গোপন বৈঠক হয়।
No comments