প্রধানমন্ত্রীর আশা- জাতি গঠনে সশস্ত্র বাহিনী আরও অবদান রাখবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমুজ্জ্বল সশস্ত্র বাহিনী জাতির জন্য গর্ব। আমরা এই বাহিনীর অব্যাহত সমৃদ্ধি চাই। আশা করি, সুশৃঙ্খল ও পেশাগত দক্ষতা বজায় রেখে জাতি গঠনে আরও অবদান রাখবে সশস্ত্র বাহিনী।’
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৪ উদ্যাপন উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে সুশৃঙ্খল, দক্ষ, আধুনিক এবং সুসজ্জিত বাহিনী হিসেবে দেখতে চায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আমরা করব।’ খবর বাসসের।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এম মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সাংসদ, তিন বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পেশাজীবী এবং কূটনীতিকেরা সংবর্ধনায় যোগ দেন।
বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর বীর যোদ্ধারা একত্রে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতি সর্বদা স্মরণ করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সামরিক কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং কূটনীতিকসহ অন্যান্য অতিথির সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এর আগে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যরা এবং বীর উত্তম, বীর বিক্রমসহ নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্তদের সম্মানে এক সংবর্ধনায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের কল্যাণে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রত্যেক দুস্থ মুক্তিযোদ্ধার বাসস্থান ও জীবিকা নিশ্চিত করতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশব্যাপী মুক্তিযোদ্ধাদের খাসজমির পাশাপাশি ভাতা দেওয়া হয়েছে। ৬৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বাড়ানো হয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠদের ১২ হাজার টাকা, বীর উত্তমদের ১০ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের আট হাজার টাকা এবং বীর প্রতীকদের জন্য ছয় হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতার পরিমাণ সর্বনিম্ন নয় হাজার ৭০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে, যা ২০১৩ সালে জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সাত বীরশ্রেষ্ঠর নিকটাত্মীয়সহ ৫৯ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীর হাতে উপহার হিসেবে সম্মানী চেক, মুঠোফোন সেট ও শাল তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী ২০১৩-১৪ সালের জন্য বীরত্ব ও সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার হাতে ‘বাহিনী পদক’ ও ‘অসামান্য সেবা পদক’ তুলে দেন।
শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গতকাল সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল অভিবাদন জানায় এবং তখন বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৪ উদ্যাপন উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে সুশৃঙ্খল, দক্ষ, আধুনিক এবং সুসজ্জিত বাহিনী হিসেবে দেখতে চায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আমরা করব।’ খবর বাসসের।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এম মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সাংসদ, তিন বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পেশাজীবী এবং কূটনীতিকেরা সংবর্ধনায় যোগ দেন।
বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর বীর যোদ্ধারা একত্রে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতি সর্বদা স্মরণ করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সামরিক কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং কূটনীতিকসহ অন্যান্য অতিথির সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এর আগে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যরা এবং বীর উত্তম, বীর বিক্রমসহ নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্তদের সম্মানে এক সংবর্ধনায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের কল্যাণে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রত্যেক দুস্থ মুক্তিযোদ্ধার বাসস্থান ও জীবিকা নিশ্চিত করতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশব্যাপী মুক্তিযোদ্ধাদের খাসজমির পাশাপাশি ভাতা দেওয়া হয়েছে। ৬৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বাড়ানো হয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠদের ১২ হাজার টাকা, বীর উত্তমদের ১০ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের আট হাজার টাকা এবং বীর প্রতীকদের জন্য ছয় হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতার পরিমাণ সর্বনিম্ন নয় হাজার ৭০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে, যা ২০১৩ সালে জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সাত বীরশ্রেষ্ঠর নিকটাত্মীয়সহ ৫৯ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীর হাতে উপহার হিসেবে সম্মানী চেক, মুঠোফোন সেট ও শাল তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী ২০১৩-১৪ সালের জন্য বীরত্ব ও সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার হাতে ‘বাহিনী পদক’ ও ‘অসামান্য সেবা পদক’ তুলে দেন।
শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গতকাল সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল অভিবাদন জানায় এবং তখন বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন।
No comments