দক্ষিণে মন্থর বিএনপি : দায়সারা কর্মসূচি
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিসহ দলীয় সব কাজই
অনেকটা দায়সারাভাবে পালন করছে দক্ষিণের ছয় জেলার বিএনপি। বৃহস্পতিবার দলের
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন পালনেও একই চিত্র দেখা গেছে।
শুধু বরিশাল নগরী ছাড়া আর কোথাও এখন খুব একটা নড়াচড়া নেই দলটির। এ যেন
কোনোরকমে বিএনপি নেতাদের চাকরি বাঁচানো! জেলার সভাপতি-সম্পাদকের মতো
গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা প্রভাবশালী নেতাদের সিংহভাগের দেখা মেলে না কোনো
কর্মসূচিতে। ২-৩ মাস পরপর মাঝে-মধ্যে এলাকায় এসে চেহারা দেখিয়ে যাওয়া ছাড়া
টিকিটিও মিলছে না তাদের। এদিকে জেলায় জেলায় দলের ভেতর চলছে
অন্তর্দ্বন্দ্ব-কোন্দল। আওয়ামী লীগ যখন একের পর এক জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে
গুছিয়ে নিচ্ছে সংগঠন, তখন আধিপত্য ধরে রাখার নেশায় মত্ত কিছু বিএনপি নেতার
কারণে ভেঙে টুকরো টুকরো হচ্ছে মাঠের বিএনপি। এসব বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে
বারবার নালিশ জানিয়েও কোনো ফল মিলছে না।
৭
নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি না পেয়ে জেলায়
জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। বরিশালের ছয় জেলায়ও পালিত
হয়েছে কর্মসূচি। কিন্তু সেই চিত্র ছিল এতটাই দৈন্য যে মানতে কষ্ট হয়েছে
এটা বিএনপির মতো বড় কোনো দলের কর্মসূচি। এর আগে ৭ মার্চের কর্মসূচি পালনের
চিত্রও ছিল অনেকটা একই রকম। বিভিন্ন জেলা-উপজেলার একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী
যুগান্তরকে বলেন, রাজপথ নয়, আমাদের বেশিরভাগ কর্মসূচিই এখন পরিণত হয়েছে
ঘরোয়া আলোচনায়। পুলিশি বাধার কারণেই যে এমনটা হচ্ছে তা নয়, নির্ভরযোগ্য
নেতাদের অনুপস্থিতি আর তাদের আগ্রহের অভাবের কারণে মাঠের কর্মীরা এখন আর
ঝুঁকি নিচ্ছেন না। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর ব্যর্থতা এবং বর্তমান
পরিস্থিতিতে খুব শিগগিরই বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ায় সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায়
নেতারা এখন আর খুব একটা মাঠেও আসছেন না।
৭ নভেম্বর কেন্দ্রিক কর্মসূচির পাশাপাশি বৃহস্পতিবার তারেক রহমানের জন্মদিন পালনের ক্ষেত্রেও ঘটে একই ঘটনা। জন্মদিনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী জেলা পর্যায়ে বড় ধরনের শোডাউন করার পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রের। তারেক রহমানের জনপ্রিয়তার বিষয়টিকে সামনে আনার টার্গেটও ছিল তাদের। কিন্তু পুরো দক্ষিণে একমাত্র বরিশাল মহানগর এবং পিরোজপুর ছাড়া আর সব জায়গাতেই জন্মদিনের অনুষ্ঠান ঢুকে গেছে দলীয় কার্যালয়ে। মাঝ রাতে কেক কাটা আর মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয়েছে সব। পটুয়াখালীতে পাল্টাপাল্টি কেক কাটার আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপির আলতাফ এবং কুট্টি সমর্থকরা। তবে উপস্থিত ছিলেন না জেলা সভাপতি আলতাফ চৌধুরী। ঝালকাঠীতেও ঘরোয়াভাবে কেক কাটার আয়োজন হয় এবং যথারীতি অনুপস্থিত থাকেন জেলা সভাপতি শাহজাহান ওমর। একই চিত্র ছিল ভোলা এবং বরগুনায়। তবে এসবের বাইরে বরিশাল এবং পিরোজপুরে কেক কাটার পাশাপাশি র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়েছিল। বরিশালে রাতে জেলা ও মহানগর বিএনপির আয়োজনে কেক কাটেন সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল। আর দিনে ছাত্রদলের বিশাল র্যালির নেতৃত্ব দেন সাবেক এমপি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার।
বিভিন্ন জেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা যুগান্তরকে বলেন, কর্মসূচি পালন প্রশ্নে এখন সবচেয়ে বড় যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তা হল নির্ভরযোগ্য আর প্রভাবশালী নেতাদের ধারাবাহিক অনুপস্থিতি। যে কোনো কর্মসূচি পালন প্রশ্নে জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা নেতাদের এলাকায় থাকার বিষয়ে বহু আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন দলীয় চেয়ারপারসন। কিন্তু সেই নির্দেশ কখনোই পালিত হয়নি দক্ষিণের অধিকাংশ জেলায়। দলীয় কর্মসূচি তো দূর, জিয়াউর রহমানের জন্ম এমনকি মৃত্যুবার্ষিকীতেও এলাকায় থাকেন না পটুয়াখালীর সভাপতি আলতাফ চৌধুরী, ঝালকাঠীর সভাপতি শাহজাহান ওমর, বরগুনার খন্দকার মাহবুব, ভোলার মেজর (অব.) হাফিজ, বাউফলের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার, রাজাপুরের রফিকুল ইসলাম জামাল, উজিরপুরের সরফুদ্দিন সরদার সান্টু, সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা জেবা খান, সাবেক এমপি ইলেন ভুট্টো এবং মঠবাড়িয়ার কর্নেল (অব.) শাহজাহান মিলন। এবার তারেক রহমানের জন্মদিনেও এদের কেউ এলাকায় ছিলেন না।
ঝালকাঠী জেলা বিএনপির এক নেতা যুগান্তরকে বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দল ক্ষমতায় যাবে বুঝে মনোনয়ন আর এমপি হওয়ার আশায় প্রায় প্রতিদিন এলাকায় আসতেন ডজন খানেক নেতা। কিন্তু আন্দোলনের ব্যর্থতা আর ক্ষমতায় যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ার পর তাদের প্রায় কারোরই টিকিটিও মিলছে না। একমাত্র জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিঞা আহম্মেদ কিবরিয়া ছাড়া সবাই যেন মিলিয়ে গেছেন হাওয়ায়। শুধু ঝালকাঠী নয়, দক্ষিণের প্রায় সব জেলা-উপজেলাতেই এখন বিরাজ করছে এই পরিস্থিতি। মাঠের কর্মীদের বাঘের মুখে ফেলে গা ঢাকা দিয়েছেন সুবিধাভোগী নেতারা। যাদের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের এই অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। গত মাসে ঢাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠককালেও একই অভিযোগ করেছিলেন দক্ষিণের বিএনপি নেতারা। ধরে এনে জেলা-উপজেলার সভাপতি-সম্পাদক বানিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে কঠিনভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন তারা। বিভিন্ন জেলার মাঠ পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা যুগান্তরকে বলেন, সাংগঠনিক মানসিকতার বাইরে থাকা লোকজনকে বড় বড় পদে বসানোর ফলে জেলায় জেলায় এখন ভেঙে টুকরো টুকরো হচ্ছে দল। আওয়ামী লীগ যেখানে একের পর এক জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে দল চাঙা করছে সেখানে পটুয়াখালী-বরগুনা-ঝালকাঠী আর পিরোজপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে এখন বিএনপি।
সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে নেতার বিরুদ্ধাচারণ করলেই যখন-তখন বহিষ্কার হতে হচ্ছে দল থেকে। এমনকি আজন্ম বিএনপি করা লোকজনও বাদ পড়ছেন না এক্ষেত্রে। যেমনটা হয়েছে পটুয়াখালীতে। ত্যাগী আর পরীক্ষিতদের একেবারে বাদ দিয়ে শিল্পপতি-বিত্তশালীদের নেতৃত্বে এনে গঠন করা হচ্ছে কমিটি। এক্ষেত্রে আলোচনা হচ্ছে টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রির। এসব ব্যাপারে কেন্দ্রকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।
পুরো বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, প্রতিনিয়ত এ ধরনের অভিযোগ আসছে। বিশেষ করে পটুয়াখালীর গলাচিপা আর দশমিনায় কমিটি নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল তা নিরসনে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্র। উভয় পক্ষের সমন্বয়ে কমিটি করার প্রস্তাব এবং দুই উপজেলার দুটি খসড়া কমিটি করে কেন্দ্রে জমাও দিয়েছি। কিন্তু এ ব্যাপারে কিছু বলেনি কেন্দ্র। পুরো বিষয়টি বর্তমানে ঝুলে আছে। এটি কেন্দ্রের অবহেলা কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কেন্দ্র নানা বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সে কারণে হয়তো দেরি হচ্ছে।
নেতার বিরোধিতা করলেই দল থেকে বহিষ্কার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই নিয়ে বহুদিন ধরেই জটিলতা চলছে। আমি এ ব্যাপারে কেন্দ্রে লিখিত প্রতিবেদনও দিয়েছি। মতের মিল না হলেই যে কাউকে বাদ দিতে হবে এমন কর্মকাণ্ডের সর্মথন করে না বিএনপি। সবাইকে নিয়েই দল। আর আমরা সেভাবেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাব। যেসব জটিলতা রয়েছে তা খুব শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।
৭ নভেম্বর কেন্দ্রিক কর্মসূচির পাশাপাশি বৃহস্পতিবার তারেক রহমানের জন্মদিন পালনের ক্ষেত্রেও ঘটে একই ঘটনা। জন্মদিনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী জেলা পর্যায়ে বড় ধরনের শোডাউন করার পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রের। তারেক রহমানের জনপ্রিয়তার বিষয়টিকে সামনে আনার টার্গেটও ছিল তাদের। কিন্তু পুরো দক্ষিণে একমাত্র বরিশাল মহানগর এবং পিরোজপুর ছাড়া আর সব জায়গাতেই জন্মদিনের অনুষ্ঠান ঢুকে গেছে দলীয় কার্যালয়ে। মাঝ রাতে কেক কাটা আর মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয়েছে সব। পটুয়াখালীতে পাল্টাপাল্টি কেক কাটার আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপির আলতাফ এবং কুট্টি সমর্থকরা। তবে উপস্থিত ছিলেন না জেলা সভাপতি আলতাফ চৌধুরী। ঝালকাঠীতেও ঘরোয়াভাবে কেক কাটার আয়োজন হয় এবং যথারীতি অনুপস্থিত থাকেন জেলা সভাপতি শাহজাহান ওমর। একই চিত্র ছিল ভোলা এবং বরগুনায়। তবে এসবের বাইরে বরিশাল এবং পিরোজপুরে কেক কাটার পাশাপাশি র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়েছিল। বরিশালে রাতে জেলা ও মহানগর বিএনপির আয়োজনে কেক কাটেন সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল। আর দিনে ছাত্রদলের বিশাল র্যালির নেতৃত্ব দেন সাবেক এমপি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার।
বিভিন্ন জেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা যুগান্তরকে বলেন, কর্মসূচি পালন প্রশ্নে এখন সবচেয়ে বড় যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তা হল নির্ভরযোগ্য আর প্রভাবশালী নেতাদের ধারাবাহিক অনুপস্থিতি। যে কোনো কর্মসূচি পালন প্রশ্নে জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা নেতাদের এলাকায় থাকার বিষয়ে বহু আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন দলীয় চেয়ারপারসন। কিন্তু সেই নির্দেশ কখনোই পালিত হয়নি দক্ষিণের অধিকাংশ জেলায়। দলীয় কর্মসূচি তো দূর, জিয়াউর রহমানের জন্ম এমনকি মৃত্যুবার্ষিকীতেও এলাকায় থাকেন না পটুয়াখালীর সভাপতি আলতাফ চৌধুরী, ঝালকাঠীর সভাপতি শাহজাহান ওমর, বরগুনার খন্দকার মাহবুব, ভোলার মেজর (অব.) হাফিজ, বাউফলের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার, রাজাপুরের রফিকুল ইসলাম জামাল, উজিরপুরের সরফুদ্দিন সরদার সান্টু, সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা জেবা খান, সাবেক এমপি ইলেন ভুট্টো এবং মঠবাড়িয়ার কর্নেল (অব.) শাহজাহান মিলন। এবার তারেক রহমানের জন্মদিনেও এদের কেউ এলাকায় ছিলেন না।
ঝালকাঠী জেলা বিএনপির এক নেতা যুগান্তরকে বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দল ক্ষমতায় যাবে বুঝে মনোনয়ন আর এমপি হওয়ার আশায় প্রায় প্রতিদিন এলাকায় আসতেন ডজন খানেক নেতা। কিন্তু আন্দোলনের ব্যর্থতা আর ক্ষমতায় যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ার পর তাদের প্রায় কারোরই টিকিটিও মিলছে না। একমাত্র জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিঞা আহম্মেদ কিবরিয়া ছাড়া সবাই যেন মিলিয়ে গেছেন হাওয়ায়। শুধু ঝালকাঠী নয়, দক্ষিণের প্রায় সব জেলা-উপজেলাতেই এখন বিরাজ করছে এই পরিস্থিতি। মাঠের কর্মীদের বাঘের মুখে ফেলে গা ঢাকা দিয়েছেন সুবিধাভোগী নেতারা। যাদের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের এই অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। গত মাসে ঢাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠককালেও একই অভিযোগ করেছিলেন দক্ষিণের বিএনপি নেতারা। ধরে এনে জেলা-উপজেলার সভাপতি-সম্পাদক বানিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে কঠিনভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন তারা। বিভিন্ন জেলার মাঠ পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা যুগান্তরকে বলেন, সাংগঠনিক মানসিকতার বাইরে থাকা লোকজনকে বড় বড় পদে বসানোর ফলে জেলায় জেলায় এখন ভেঙে টুকরো টুকরো হচ্ছে দল। আওয়ামী লীগ যেখানে একের পর এক জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে দল চাঙা করছে সেখানে পটুয়াখালী-বরগুনা-ঝালকাঠী আর পিরোজপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে এখন বিএনপি।
সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে নেতার বিরুদ্ধাচারণ করলেই যখন-তখন বহিষ্কার হতে হচ্ছে দল থেকে। এমনকি আজন্ম বিএনপি করা লোকজনও বাদ পড়ছেন না এক্ষেত্রে। যেমনটা হয়েছে পটুয়াখালীতে। ত্যাগী আর পরীক্ষিতদের একেবারে বাদ দিয়ে শিল্পপতি-বিত্তশালীদের নেতৃত্বে এনে গঠন করা হচ্ছে কমিটি। এক্ষেত্রে আলোচনা হচ্ছে টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রির। এসব ব্যাপারে কেন্দ্রকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।
পুরো বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, প্রতিনিয়ত এ ধরনের অভিযোগ আসছে। বিশেষ করে পটুয়াখালীর গলাচিপা আর দশমিনায় কমিটি নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল তা নিরসনে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্র। উভয় পক্ষের সমন্বয়ে কমিটি করার প্রস্তাব এবং দুই উপজেলার দুটি খসড়া কমিটি করে কেন্দ্রে জমাও দিয়েছি। কিন্তু এ ব্যাপারে কিছু বলেনি কেন্দ্র। পুরো বিষয়টি বর্তমানে ঝুলে আছে। এটি কেন্দ্রের অবহেলা কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কেন্দ্র নানা বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সে কারণে হয়তো দেরি হচ্ছে।
নেতার বিরোধিতা করলেই দল থেকে বহিষ্কার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই নিয়ে বহুদিন ধরেই জটিলতা চলছে। আমি এ ব্যাপারে কেন্দ্রে লিখিত প্রতিবেদনও দিয়েছি। মতের মিল না হলেই যে কাউকে বাদ দিতে হবে এমন কর্মকাণ্ডের সর্মথন করে না বিএনপি। সবাইকে নিয়েই দল। আর আমরা সেভাবেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাব। যেসব জটিলতা রয়েছে তা খুব শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।
No comments