সাকিব বর্ষণে সিক্ত দীর্ঘ খরা
প্রভাতের
সূর্য সবসময় দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয় না। শিশির তত্ত্ব নিয়ে চাপা
উদ্বেগের মধ্যে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই পথ হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু শুক্রবার দিনটা ছিল সাকিব আল হাসানের। শিশিরের সঙ্গেই যার বসবাস
(তার সহধর্মিণীর নাম শিশির)। শুরুর বিপর্যয় সামলে সাকিবের হাত ধরেই শেষ
হাসি হাসল স্বাগতিকরাই। টেস্টের পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের আরেকটি লাল-সবুজ
জয়ের সাক্ষী হল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। ম্যাচটা ছিল
বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের। সেটা হয়ে গেল সাকিব ও জিম্বাবুয়ের। ব্যাটে-বলে তার
শাণিত শৈলী ২৮৩ দিন পর বাংলাদেশকে এনে দিল আরাধ্য জয়। দিবারাত্রি প্রথম
ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৮৭ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল
টাইগাররা। দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সাকিব একাই ব্যবধান গড়ে দিলেন।
ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরির পাশাপাশি বল হাতে ৪১ রানে নিলেন চার
উইকেট। ২৮২ তাড়া করতে নেমে ৪২.১ ওভারে ১৯৪ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে।
হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (৪২) ও ব্রেন্ডন টেলর (৫৪) ছাড়া জিম্বাবুয়ের কোনো
ব্যাটসম্যানই বাংলাদেশের স্পিনারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। সাকিবের চার
উইকেটের পাশাপাশি সমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, আরাফাত সানি ও
অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। এ বছর ১৪তম ওয়ানডেতে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল
বাংলাদেশ। এর আগে ১৩টি ওডিআই ছিল খরাজর্জর। ম্যাচে অনেক পার্শ্বচরিত্র
থাকলেও খরা ঘোঁচানো এই স্বস্তির জয়ের নায়ক একজনই- সাকিব আল হাসান। ওয়ানডে
ইতিহাসের মাত্র ১২তম ক্রিকেটার হিসেবে একই ম্যাচে সেঞ্চুরির পাশাপাশি চার
উইকেট নিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। একই সঙ্গে ইতিহাসের মাত্র চতুর্থ
ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে দেশের মাটিতে দুই হাজার রান ও ১০০ উইকেটের
‘ডাবল’ পূর্ণ করলেন সাকিব। তার সেঞ্চুরির ও মুশফিকের ফিফটিতে শুরুর ধাক্কা
সামলে সাত উইকেটে ২৮১ রানের বড়সড় পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে
দেশের পক্ষে ১৪৮ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন সাকিব ও মুশফিক। ৬৫ রান করার পথে
মুশফিক আবার বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন হাজারি ক্লাবে জায়গা
করে নিয়েছেন। সবমিলিয়ে অনেক প্রাপ্তির এক জয়।
শিশিরের কারণে টসের ব্যাপারটি আগে থেকেই আলোচনায় ছিল। সন্ধ্যায় শিশিরভেজা বলে বিপাকে পড়তে পারেন স্পিনাররা। এমন ধারণা থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে নির্দ্বিধায় স্বাগতিকদের হাতে ব্যাট ধরিয়ে দেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা। কাল আবারও প্রমাণিত হল অধিনায়ক মাশরাফির টস ভাগ্য মোটেও সুবিধার নয়! টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল ভীতিজাগানিয়া। স্কোর বোর্ডে ৩১ রান যোগ হতেই নেই তিন উইকেট। শেষ পর্যন্ত ভয়ের সেই মেঘ তাড়ালেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড জুটি গড়ে। সাকিবের সেঞ্চুরি ও মুশফিকের ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় সাত উইকেটে ২৮১। শেষ দিকে মাত্র ২৫ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তাতে বড় অবদান রাখেন অভিষিক্ত সাব্বির রহমানও।
কেন তাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের রূপকথার রাজপুত্র বলা হয়, তা আরেকবার দেখিয়ে দিলেন সাকিব। চাপের মুখে সাবলীল খেলেই বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ৫৭ বলে ফিফটির পর ৯৫ বলে পূর্ণ করলেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। চার বছর পর ওয়ানডেতে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেলেন সাকিব। তার উদযাপনটাও ছিল দেখার মতো। সাকিব যখন ক্রিজে আসেন তখন ভীষণ চাপে ছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারেই তিনাশে পানইয়ানগারার বল ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান তামিম ইকবাল। এরপর চাতারার বলে আত্মঘাতী শট খেলে ৩১ রানের মধ্যেই ফিরে আসেন এনামুল হক ও মাহমুদউল্লাহ। দ্বাদশ ওভারে ক্রিজে এসে মুমিনুল হককে (৩১) নিয়ে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন সাকিব। মুমিনুলের বিদায়ে ৩৯ রানের এই জুটি ভাঙার পর সাকিব ও মুশফিকের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
পঞ্চম উইকেটে ১৪২ বলে বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড ১৪৮ রানের জুটি গড়েন সাকিব ও মুশফিক। পঞ্চম উইকেটে আগের রেকর্ডটিতেও ছিলেন সাকিব। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রকিবুল হাসানের সঙ্গে ১১৯ রানের সেই জুটি গড়েছিলেন তিনি। ৪৪তম ওভারে কামুনগোজির শিকার হওয়ার আগে ৯৯ বলে ১০১ রান করেন সাকিব। মুশফিকুর ফেরেন ৭২ বলে ৬৫ করে। তিনবার জীবন পাওয়ার সুবাদে ততক্ষণে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন হাজারি ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছেন মুশফিক। সাকিব-মুশফিকের পর শেষ দিকে ঝড় তোলেন সাব্বির। ২৫ বলের ইনিংসে সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই তরুণ অলরাউন্ডার। সবমিলিয়ে শেষ ৯০ বলে বাংলাদেশ তুলেছে ১২৬ রান। ৬৬ রানে তিন উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে সফল বোলার পানইয়ানগারা। চাতারার শিকার দুই উইকেট। (স্কোর কার্ড খেলার পাতায়)
শিশিরের কারণে টসের ব্যাপারটি আগে থেকেই আলোচনায় ছিল। সন্ধ্যায় শিশিরভেজা বলে বিপাকে পড়তে পারেন স্পিনাররা। এমন ধারণা থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে নির্দ্বিধায় স্বাগতিকদের হাতে ব্যাট ধরিয়ে দেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা। কাল আবারও প্রমাণিত হল অধিনায়ক মাশরাফির টস ভাগ্য মোটেও সুবিধার নয়! টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল ভীতিজাগানিয়া। স্কোর বোর্ডে ৩১ রান যোগ হতেই নেই তিন উইকেট। শেষ পর্যন্ত ভয়ের সেই মেঘ তাড়ালেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড জুটি গড়ে। সাকিবের সেঞ্চুরি ও মুশফিকের ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় সাত উইকেটে ২৮১। শেষ দিকে মাত্র ২৫ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তাতে বড় অবদান রাখেন অভিষিক্ত সাব্বির রহমানও।
কেন তাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের রূপকথার রাজপুত্র বলা হয়, তা আরেকবার দেখিয়ে দিলেন সাকিব। চাপের মুখে সাবলীল খেলেই বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ৫৭ বলে ফিফটির পর ৯৫ বলে পূর্ণ করলেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। চার বছর পর ওয়ানডেতে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেলেন সাকিব। তার উদযাপনটাও ছিল দেখার মতো। সাকিব যখন ক্রিজে আসেন তখন ভীষণ চাপে ছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারেই তিনাশে পানইয়ানগারার বল ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান তামিম ইকবাল। এরপর চাতারার বলে আত্মঘাতী শট খেলে ৩১ রানের মধ্যেই ফিরে আসেন এনামুল হক ও মাহমুদউল্লাহ। দ্বাদশ ওভারে ক্রিজে এসে মুমিনুল হককে (৩১) নিয়ে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন সাকিব। মুমিনুলের বিদায়ে ৩৯ রানের এই জুটি ভাঙার পর সাকিব ও মুশফিকের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
পঞ্চম উইকেটে ১৪২ বলে বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড ১৪৮ রানের জুটি গড়েন সাকিব ও মুশফিক। পঞ্চম উইকেটে আগের রেকর্ডটিতেও ছিলেন সাকিব। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রকিবুল হাসানের সঙ্গে ১১৯ রানের সেই জুটি গড়েছিলেন তিনি। ৪৪তম ওভারে কামুনগোজির শিকার হওয়ার আগে ৯৯ বলে ১০১ রান করেন সাকিব। মুশফিকুর ফেরেন ৭২ বলে ৬৫ করে। তিনবার জীবন পাওয়ার সুবাদে ততক্ষণে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন হাজারি ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছেন মুশফিক। সাকিব-মুশফিকের পর শেষ দিকে ঝড় তোলেন সাব্বির। ২৫ বলের ইনিংসে সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই তরুণ অলরাউন্ডার। সবমিলিয়ে শেষ ৯০ বলে বাংলাদেশ তুলেছে ১২৬ রান। ৬৬ রানে তিন উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে সফল বোলার পানইয়ানগারা। চাতারার শিকার দুই উইকেট। (স্কোর কার্ড খেলার পাতায়)
No comments