অবিশ্বাস্য! মেয়ে নাকি পুতুল!
খবর পুরনো। তবে মানুষের আগ্রহ কখনও পুরনো হয়না। হয়তো থেমে থাকে কিছুদিন। নতুন করে জাগতে দিনক্ষণ লাগেনা। সেরকম সাড়া জাগানো একটি নাম ডাকোতা রোজ। এই পুতুল রুপী মেয়েকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী আগ্রহের কমতি নাই। কখনও বিশ্বমিডিয়ায় শিরোনাম হয়। কখনও বা ওয়েব দুনিয়ায় চলে আলোচনা। কিছুদিন এ হইচই থেমে থাকলেও আবার তৈরি হয় নতুন খবর। কেউ ভাবেন তার রুপ কৃত্রিম । কেউ ধরেই নেন তার বারবি ডল রুপ একেবারেই জন্মগত। চীন-জাপানে এই মেয়ের রয়েছে অসংখ্য ভক্ত। চলমান আছে অনেক জনশ্রুতিও। ২১ বছর বয়সি এই মেয়ে এতটাই জনপ্রিয় যে তাকে এক পলক দেখতে রীতিমত লাইনে দাঁড়াতে হয় তার ভক্তদের। বারবি ডলের মত হুবুহু দেখতে এই মেয়েকে নিয়ে অনেকে আবার হাসাহাসিও করেন। তবে তাতে কিছু এসে যায়না তার। সে বরং রীতিমত গর্বিত তার এই পুতুলাকৃতি নিয়ে। সানফ্রান্সিস্কোতে বাস করা ডাকোতার আরেক নাম কোতাকোতি। যতটা না জনপ্রিয় নিজ জন্মভূমিতে। তার চেয়ে বেশী বিদেশে চীন-জাপানে। বাবা ক্যাথি অস্ট্রেঙ্গা। ডাকোতার মুখাবয়ব চাইনিজ-জাপানিজদের মত হওয়ায় চীন-জাপানেই তার ভক্তের সংখ্যা বেশী। এ নিয়ে ডাকোতা বলেন তিনি তার মুখাকৃতি বারবি ডলের মত আনতে ব্যবহার করেন প্রচুর মেকআপ। কখনও এক সঙ্গে ৫০০ গ্রাম প্রসাধনীও ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছেন। পাঁচ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার এই ডাকোতার চোখের রঙ নীল। মুল পেশা মডেলিং। কথা বলতে পারেন একধারে জাপানিজ, ফ্রেন্স, ইংলিশ সমানতালে। তবে যারা ডাকোতার আসল ভক্ত তারা তার এই রুপের প্রতি এতোটাই মগ্ন যে তারা কখনই বিশ্বাসই করেননা ডাকোতার এই রুপ মেকআপ দিয়ে করা। তারা ধরেই নিয়েছেন এই রুপ প্রাকৃতিক। তারা বারবি ডল বলতে ডাকোতাকেই চেনেন। ওয়েব দুনিয়ায় ইউটিউইবে যারা ঢু মারেন তাদের মধ্যে উল্লেযোগ্য অংশ ডাকোতার ভক্ত। ইউটিউবে ডাকোতার এ পর্যন্ত মেকআপ করার দৃশ্য দেখার ভিজিটর ছাড়িয়েছে সাড়ে ছয় কোটিরও অধিক। তার সাক্ষাতকার শুনতে ইউটিউবে যান এমন ভিজিটরও কিন্তু কম নয়। এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে দিনকে দিন। তাই মুখে বারবি ডল পুতুলের কথা আসতেই এসে যায় ডাকোতার নাম।
No comments