সিলেট গিয়ে ছাত্রলীগকে রাবিশ বলে আসুন -অর্থমন্ত্রীকে সুরঞ্জিত
সিলেটের শাহজালার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অর্থমন্ত্রীকে সেখানে গিয়ে ছাত্রলীগকে ‘রাবিশ’ বলে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি পরামর্শ দিয়ে সুরঞ্জিত বলেছেন, যাতে তিনি সেখানে গিয়ে কেঁদে আসেন। এর আগে ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দিয়েছিল ছাত্রলীগ। এ ঘটনা পরিদর্শনে গিয়ে কেঁদেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য।
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুরঞ্জিত অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে এসব পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বিগত সময়ে যখন ছাত্রলীগ সিলেট এমসি কলেজ পোড়ানোর ঘটনা ঘটায়, তখন শিক্ষামন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী দু’জনই গিয়েছিলেন। তখন শিক্ষামন্ত্রী সেখানে গিয়ে কেঁদেছিলেন। আমি এবারও শিক্ষামন্ত্রীকে বলব আর কিছু না পারেন একবার সেখানে গিয়ে কাঁদেন। আর অর্থমন্ত্রীকে বলব সেখানে গিয়ে রাবিশ বলে আসেন। আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত বলেন, ছাত্রলীগকে রক্ষা করতে হবে। গুটিকয়েক কর্মী ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ম্লান করে দিচ্ছে। সময় চলে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগকে আবার নীতি ও আদর্শের পথে নিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী কষ্ট করে যা কিছু অর্জন করছেন তা কয়েকজনের কারণে ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
সোনা চোরাচালানে বিমান কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সুরঞ্জিত বলেন, এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা দরকার। বিমানের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বিমান চালানো বাদ দিয়ে এখন সোনা চোরাচালানের দায়িত্ব নিয়েছেন। এবার রাঘববোয়াল নয়, ছোট পদের রুই, মৃগেল ধরা পড়েছে। এর পেছনে আরও বড় রাঘববোয়াল রয়েছে। এ জন্য উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, আশা করেছিলাম সোনা চোরাচালানে বিমান কর্মকর্তা আটকের পর মন্ত্রী অন্তত একবার বিমানবন্দরে যাবেন। কিন্তু তিনি যাননি। আশা করি বিমানমন্ত্রী ও বিমানের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব নিয়ে বলবেন, এ বিষয়ে তারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, সোনা চোরাচালানের ঘটনায় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়কেও এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হত্যার ঘটনার শাস্তি দাবি করে সুরঞ্জিত বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলে আমাদের বিচলিত হতে হয়। শিক্ষকের হত্যাকাণ্ডের পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের লোকজনকে বদলি করা হয়েছে। এটা আরও আগে করা দরকার ছিল। গতকাল সিলেটের ঘটনায় আমরা দেখলাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংঘর্ষের ঘটনা; কিন্তু পুলিশ বাহিনী পরে এসেছে। পরে এসেও তারা কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম।
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুরঞ্জিত অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে এসব পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বিগত সময়ে যখন ছাত্রলীগ সিলেট এমসি কলেজ পোড়ানোর ঘটনা ঘটায়, তখন শিক্ষামন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী দু’জনই গিয়েছিলেন। তখন শিক্ষামন্ত্রী সেখানে গিয়ে কেঁদেছিলেন। আমি এবারও শিক্ষামন্ত্রীকে বলব আর কিছু না পারেন একবার সেখানে গিয়ে কাঁদেন। আর অর্থমন্ত্রীকে বলব সেখানে গিয়ে রাবিশ বলে আসেন। আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত বলেন, ছাত্রলীগকে রক্ষা করতে হবে। গুটিকয়েক কর্মী ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ম্লান করে দিচ্ছে। সময় চলে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগকে আবার নীতি ও আদর্শের পথে নিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী কষ্ট করে যা কিছু অর্জন করছেন তা কয়েকজনের কারণে ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
সোনা চোরাচালানে বিমান কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সুরঞ্জিত বলেন, এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা দরকার। বিমানের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বিমান চালানো বাদ দিয়ে এখন সোনা চোরাচালানের দায়িত্ব নিয়েছেন। এবার রাঘববোয়াল নয়, ছোট পদের রুই, মৃগেল ধরা পড়েছে। এর পেছনে আরও বড় রাঘববোয়াল রয়েছে। এ জন্য উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, আশা করেছিলাম সোনা চোরাচালানে বিমান কর্মকর্তা আটকের পর মন্ত্রী অন্তত একবার বিমানবন্দরে যাবেন। কিন্তু তিনি যাননি। আশা করি বিমানমন্ত্রী ও বিমানের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব নিয়ে বলবেন, এ বিষয়ে তারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, সোনা চোরাচালানের ঘটনায় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়কেও এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হত্যার ঘটনার শাস্তি দাবি করে সুরঞ্জিত বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলে আমাদের বিচলিত হতে হয়। শিক্ষকের হত্যাকাণ্ডের পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের লোকজনকে বদলি করা হয়েছে। এটা আরও আগে করা দরকার ছিল। গতকাল সিলেটের ঘটনায় আমরা দেখলাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংঘর্ষের ঘটনা; কিন্তু পুলিশ বাহিনী পরে এসেছে। পরে এসেও তারা কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম।
No comments