অমিয় অসুস্থ, পেছাল ফেলানী হত্যার বিচার
বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনকে হত্যা মামলার পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া আবারও পিছিয়ে গেছে। আজ শুক্রবার বিবিসি বাংলার খবরে এ কথা বলা হয়েছে। এ মামলায় অভিযুক্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কনস্টেবল অমিয় ঘোষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় রায় পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এর পরদিন ২৫ মার্চ বিচারপ্রক্রিয়া আবার শুরু হবে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে বাংলাদেশে আসার সময়ে ফেলানী খাতুনকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন বিএসএফের কনস্টেবল অমিয় ঘোষ। বিএসএফ সূত্রগুলি বলছে, গতকাল বৃহস্পতিবার পুনর্বিবেচনার কাজ চলার সময় আদালতেই জ্ঞান হারান অমিয় ঘোষ। রক্তচাপ খুবই বেড়ে গিয়েছিল আর মানসিক অবসাদেও ভুগছেন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিএসএফের নিজস্ব আদালত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট (জিএসএফসি) রায় পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। কয়েক মাস আগে অমিয় ঘোষের কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে আর তাঁর নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হয়েছিল। তবে চার মাস বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত করা হলো কেন—বিবিসি বাংলার এ প্রশ্নের জবাবে বিএসএফের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আদালতের সদস্য বিচারকেরা সবাই বিএসএফের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং তাঁরা এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় বদলি হয়ে গেছেন। সেখানে তাঁদের বর্তমান দায়িত্ব সামলাতে হয়। সবাইকে একই সময়ে আদালতের কাজের জন্য এক জায়গায় জড়ো করাটা বেশ কঠিন। সেজন্যই এই কয়েক মাস সময় দরকার।’ ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে বাবার সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চৌধুরী হাটে গুলিবিদ্ধ হয় ফেলানী খাতুন। বিয়ের জন্যই দেশে ফিরছিল ফেলানী। কিন্তু ভোরের কুয়াশায় কোনোও একজনকে সীমান্ত পার হতে দেখে গুলি চালান বিএসএফের অমিয় ঘোষ। মৃত্যুর পর ফেলানীর মৃতদেহ কাঁটাতারেই অনেকক্ষণ ঝুলে ছিল।
বিএসএফ নিজের সদস্যর বিরুদ্ধেই অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে কিন্তু মামলা শুরু হতেই লেগে যায় প্রায় আড়াই বছর। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ওই আদালত অবশ্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু বাহিনীর মহাপরিচালক সেই রায়ে সন্তুষ্ট না হতে পেরে রায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দেন। এক বছর পরে রায় পুনর্বিবেচনার কাজ শুরু হয় চলতি বছরে সেপ্টেম্বরে। তবে পাঁচ দিন পরে তা স্থগিত হয়ে যায়। ১৭ নভেম্বর আবার বসে আদালত আর তার পর অমিয় ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় আরও চার মাস পিছিয়ে গেল বিচারপ্রক্রিয়া।
বিএসএফ নিজের সদস্যর বিরুদ্ধেই অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে কিন্তু মামলা শুরু হতেই লেগে যায় প্রায় আড়াই বছর। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ওই আদালত অবশ্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু বাহিনীর মহাপরিচালক সেই রায়ে সন্তুষ্ট না হতে পেরে রায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দেন। এক বছর পরে রায় পুনর্বিবেচনার কাজ শুরু হয় চলতি বছরে সেপ্টেম্বরে। তবে পাঁচ দিন পরে তা স্থগিত হয়ে যায়। ১৭ নভেম্বর আবার বসে আদালত আর তার পর অমিয় ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় আরও চার মাস পিছিয়ে গেল বিচারপ্রক্রিয়া।
No comments