কাপল অফিসার জড়িত
সোনা চোরাচালানের চাঞ্চল্যকর আরও তথ্য
পেয়েছেন গোয়েন্দারা। বিমানের, বিমানবালা ও প্রকৌশল বিভাগের আরও কয়েকজনের
তথ্য খতিয়ে দেখছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর মধ্যে কয়েকজন বিমানবালা
দীর্ঘদিন ধরে এ কারবার করে আসছেন। তাদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের
যোগসূত্র আছে। গ্রেফতার মাহমুদুল হক পলাশ ডিবি পুলিশের কাছে এসব তথ্য দেন।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান এবং বনানীর তিনজন মানি এক্সচেঞ্জ
ব্যবসায়ীর কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পান গোয়েন্দারা। দু-একদিনের মধ্যে
তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানা গেছে। চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, বাংলাদেশ
বিমান এয়ারলাইন্সের কাপল অফিসারদের (স্বামী-স্ত্রী) প্রায় সবাই সোনা
চোরাচালানে জড়িত।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ক্যাপ্টেন হাসান ও তার স্ত্রী এফপি আরজু দীর্ঘদিন ধরেই বিমানে চাকরি করছেন। সোনা চোরাচালানে দক্ষ এই কাপল অফিসারদের সঙ্গে দেশ-বিদেশের সিন্ডিকেট জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
ক্যাপ্টেন ইমরানের সঙ্গে সোনা চোরাচালানে অর্থ লেনদেনকারী উত্তরার মোহাম্মদ আলী ও খুলনার দৌলতপুরের হোসেন আসকর লাবুর সম্পৃক্ততা রয়েছে। গ্রেফতার পলাশের দুই স্ত্রী সোনা চোরাচালানে জড়িত। এছাড়া নিশি নামে এক বিমানবালাকে গ্রেফতারের জন্য মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় গতকাল অভিযান চালানো হয়েছে। চোরাচালানে ফ্লাইট অফিসার ফয়সাল ও আরেক কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন রাজকে গ্রেফতারেও চলছে অভিযান।
ডিবি পুলিশ জানায়, শাহজালালে সোনা চোরাচালানি চক্রের অন্যতম হোতা মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে রাজিব শুভ্র নামে এক ভারতীয় নাগরিকের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। রাজিব শুভ্র ও পাপ্পু সাজ্জেল হংকংয়ের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে স্বর্ণের বার ক্রয় করে বাংলাদেশে পাঠায়। আর তাদের সহায়তা করতেন গ্রেফতার পলাশ ও ক্যাপ্টেন শহীদ।
ঢাকা-হংকং ফ্লাইটের যাত্রী মো. সেলিমের (পাপ্পু সারজেলের বাবা) গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ১৪৪ পিস স্বর্ণের বার বাংলাদেশে পাঠায়। ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের হংকং ফ্লাইট পৌঁছার পর স্বর্ণের বারগুলো বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে খুলনার দৌলতপুরের হোসেন আসকর লাবুর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ক্যাপ্টেন শহীদ ও ইমরান এই চালান নিরাপদে যেতে সহায়তা করেন।
গ্রেফতার পলাশ স্বীকার করেন, কত চালান এ পর্যন্ত নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছেন তার কোনো হিসাব নেই। পাপ্পু সাজ্জেল নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অনেক দিনের পরিচয়। তার বিমানবালা স্ত্রীর পরিচয়ের সূত্র ধরে হংকংয়ে পরিচয় হয়। তখন থেকেই জানতে পারেন সাজ্জেল বাংলাদেশে স্বর্ণ পাঠাত। সাজ্জেলের মাধ্যমে প্রতি মাসে হংকং থেকে বিভিন্ন অংকের ২টি চালান ঢাকায় আসে। গত বছরের নভেম্বর মাসে ১১০ পিস সোনার চালান মোতালিব প্লাজার সামনে পংকজ নামে এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। অক্টোবর মাসে দুই দফায় আরও ৮৮ পিস ও ৫৬ পিস স্বর্ণের বার পৌঁছানো হয়। আর এদের সঙ্গে ক্যাপ্টেন শহীদ, ক্যাপ্টেন ইমরান ও হাসানের আগের পরিচয়। হাসানের স্ত্রীকেও চিনত পাপ্পু সাজ্জেল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম যুগান্তরকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কারণ যেভাবে একে একে সবার নাম আসছে তাতে মনে হচ্ছে, বেশির ভাগ কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ অপরাধকেই আয়ের পথ হিসেবে বেছে নেয়। ডিসি বলেন, যতই রাঘববোয়াল হোক না কেন, তাদের ধরা পড়তেই হবে।
গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মিনহাজ উদ্দীন যুগান্তরকে বলেন, মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীদের প্রায় সবাই সোনা চোরাচালানিদের সঙ্গে যুক্ত। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের নজরদারি করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিমানের কয়েকজন কর্মকর্তাকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ক্যাপ্টেন হাসান ও তার স্ত্রী এফপি আরজু দীর্ঘদিন ধরেই বিমানে চাকরি করছেন। সোনা চোরাচালানে দক্ষ এই কাপল অফিসারদের সঙ্গে দেশ-বিদেশের সিন্ডিকেট জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
ক্যাপ্টেন ইমরানের সঙ্গে সোনা চোরাচালানে অর্থ লেনদেনকারী উত্তরার মোহাম্মদ আলী ও খুলনার দৌলতপুরের হোসেন আসকর লাবুর সম্পৃক্ততা রয়েছে। গ্রেফতার পলাশের দুই স্ত্রী সোনা চোরাচালানে জড়িত। এছাড়া নিশি নামে এক বিমানবালাকে গ্রেফতারের জন্য মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় গতকাল অভিযান চালানো হয়েছে। চোরাচালানে ফ্লাইট অফিসার ফয়সাল ও আরেক কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন রাজকে গ্রেফতারেও চলছে অভিযান।
ডিবি পুলিশ জানায়, শাহজালালে সোনা চোরাচালানি চক্রের অন্যতম হোতা মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে রাজিব শুভ্র নামে এক ভারতীয় নাগরিকের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। রাজিব শুভ্র ও পাপ্পু সাজ্জেল হংকংয়ের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে স্বর্ণের বার ক্রয় করে বাংলাদেশে পাঠায়। আর তাদের সহায়তা করতেন গ্রেফতার পলাশ ও ক্যাপ্টেন শহীদ।
ঢাকা-হংকং ফ্লাইটের যাত্রী মো. সেলিমের (পাপ্পু সারজেলের বাবা) গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ১৪৪ পিস স্বর্ণের বার বাংলাদেশে পাঠায়। ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের হংকং ফ্লাইট পৌঁছার পর স্বর্ণের বারগুলো বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে খুলনার দৌলতপুরের হোসেন আসকর লাবুর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ক্যাপ্টেন শহীদ ও ইমরান এই চালান নিরাপদে যেতে সহায়তা করেন।
গ্রেফতার পলাশ স্বীকার করেন, কত চালান এ পর্যন্ত নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছেন তার কোনো হিসাব নেই। পাপ্পু সাজ্জেল নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অনেক দিনের পরিচয়। তার বিমানবালা স্ত্রীর পরিচয়ের সূত্র ধরে হংকংয়ে পরিচয় হয়। তখন থেকেই জানতে পারেন সাজ্জেল বাংলাদেশে স্বর্ণ পাঠাত। সাজ্জেলের মাধ্যমে প্রতি মাসে হংকং থেকে বিভিন্ন অংকের ২টি চালান ঢাকায় আসে। গত বছরের নভেম্বর মাসে ১১০ পিস সোনার চালান মোতালিব প্লাজার সামনে পংকজ নামে এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। অক্টোবর মাসে দুই দফায় আরও ৮৮ পিস ও ৫৬ পিস স্বর্ণের বার পৌঁছানো হয়। আর এদের সঙ্গে ক্যাপ্টেন শহীদ, ক্যাপ্টেন ইমরান ও হাসানের আগের পরিচয়। হাসানের স্ত্রীকেও চিনত পাপ্পু সাজ্জেল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম যুগান্তরকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কারণ যেভাবে একে একে সবার নাম আসছে তাতে মনে হচ্ছে, বেশির ভাগ কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ অপরাধকেই আয়ের পথ হিসেবে বেছে নেয়। ডিসি বলেন, যতই রাঘববোয়াল হোক না কেন, তাদের ধরা পড়তেই হবে।
গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মিনহাজ উদ্দীন যুগান্তরকে বলেন, মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীদের প্রায় সবাই সোনা চোরাচালানিদের সঙ্গে যুক্ত। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের নজরদারি করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিমানের কয়েকজন কর্মকর্তাকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
No comments