চরমপন্থিদের ১৯ গডফাদার
দেশের ১৪ জেলায় দাবড়ে বেড়াচ্ছে ১৩২ চরমপন্থি। তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ নানা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। এদের মধ্যে গডফাদারের ভূমিকায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাতজন, বিএনপির ছয়জন, জামায়াতের একজন, জাসদের একজন এবং এলডিপি’র একজন। রাজনৈতিক নেতার বাইরে দুটি এনজিও’র পরিচালকও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। সব মিলিয়ে ১৯ জন গডফাদার চরমপন্থির দেখভাল করছেন। এমন অবস্থায় চিন্তিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গত ৬ই নভেম্বর এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র
সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশে চরমপন্থি সংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ১৪টি জেলায় গণ-মুক্তিফৌজ (শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলন), জাসদ গণবাহিনী (সিরাজ), পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল/জনযুদ্ধ), পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল লাল পতাকা), বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি, নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি ও সর্বহারা নামে কয়েকটি চরমপন্থি সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া, খুলনা, রাজবাড়ী, রাজশাহী, নওগাঁ ও পাবনাতে এসব সংগঠনের প্রত্যক্ষ তৎপরতা এবং চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, বাগেরহাট, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর ও নাটোরে পরোক্ষ তৎপরতা রয়েছে। যেসব জেলায় পরোক্ষ তৎপরতা রয়েছে ওই সব জেলায় সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো নেই। কিন্তু সংগঠনের নামে বা নিজেকে সংগঠনের নেতা দাবি করে চাঁদাবাজি করা হয়। দেশে তৎপর চরমপন্থি সংগঠনগুলো বর্তমানে আদর্শের রাজনীতির পরিবর্তে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন, অপহরণ ইত্যাদি বেআইনি কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। ১৪টি জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, চরমপন্থি সদস্যরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দেশী-বিদেশী পিস্তল ও রিভলবার, একে ৪৭, বন্দুক, শাটারগান, পাইপগান, এলজিসহ রামদা, ছোরা ও হাসুয়া ব্যবহার করে। এসব অস্ত্র তারা গডফাদারদের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে সংগ্রহ করে। প্রতিবেদনে চরমপন্থি সংগঠনে ভেড়ানোর কৌশল হিসেবে বলা হয়েছে, সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বেকার, স্বল্প আয়ের মানুষ, দাগি আসামি, সন্ত্রাসী ও দিনমজুরদের টার্গেট করে চরমপন্থি সংগঠনগুলো। এরপর টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে বা তার পরিবারকে সহায়তা, আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রলোভন, ক্ষমতার মোহ বা শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের আদর্শের কথা বলে অনুপ্রাণিত করা হয়। এতে মোহবিষ্ট হয়ে অনেকেই ধরা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, নব্বই দশকের তুলনায় বর্তমানে দেশে চরমপন্থিদের অপতৎপরতা কমে এলেও একেবারে নির্মূল বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়নি। এখনও খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে সন্ত্রাসী তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসব চরমপন্থি সংগঠনের সদস্যরা আর্থিক লোভ এবং ক্ষমতার মোহবিষ্ট থাকে। এ কারণে ইসলামী জঙ্গিবাদী বা মৌলবাদী গোষ্ঠী তাদের ব্যবহার করে দেশে সহজে সহিংসতা বা নাশকতা চালাতে পারে। প্রতিবেদনে সুপারিশ আকারে বলা হয়, বর্তমান মহাজোট সরকারের যেসব নেতা চরমপন্থি সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তাদের বিরত থাকার জন্য উচ্চপর্যায় থেকে বলা যেতে পারে। পাশাপাশি অন্য রাজনৈতিক দলের গডফাদারদের গতিবিধির ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে চরমপন্থিদের ১৯ গডফাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের আইজিকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশে চরমপন্থি সংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ১৪টি জেলায় গণ-মুক্তিফৌজ (শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলন), জাসদ গণবাহিনী (সিরাজ), পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল/জনযুদ্ধ), পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল লাল পতাকা), বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি, নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি ও সর্বহারা নামে কয়েকটি চরমপন্থি সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া, খুলনা, রাজবাড়ী, রাজশাহী, নওগাঁ ও পাবনাতে এসব সংগঠনের প্রত্যক্ষ তৎপরতা এবং চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, বাগেরহাট, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর ও নাটোরে পরোক্ষ তৎপরতা রয়েছে। যেসব জেলায় পরোক্ষ তৎপরতা রয়েছে ওই সব জেলায় সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো নেই। কিন্তু সংগঠনের নামে বা নিজেকে সংগঠনের নেতা দাবি করে চাঁদাবাজি করা হয়। দেশে তৎপর চরমপন্থি সংগঠনগুলো বর্তমানে আদর্শের রাজনীতির পরিবর্তে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন, অপহরণ ইত্যাদি বেআইনি কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। ১৪টি জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, চরমপন্থি সদস্যরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দেশী-বিদেশী পিস্তল ও রিভলবার, একে ৪৭, বন্দুক, শাটারগান, পাইপগান, এলজিসহ রামদা, ছোরা ও হাসুয়া ব্যবহার করে। এসব অস্ত্র তারা গডফাদারদের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে সংগ্রহ করে। প্রতিবেদনে চরমপন্থি সংগঠনে ভেড়ানোর কৌশল হিসেবে বলা হয়েছে, সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বেকার, স্বল্প আয়ের মানুষ, দাগি আসামি, সন্ত্রাসী ও দিনমজুরদের টার্গেট করে চরমপন্থি সংগঠনগুলো। এরপর টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে বা তার পরিবারকে সহায়তা, আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রলোভন, ক্ষমতার মোহ বা শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের আদর্শের কথা বলে অনুপ্রাণিত করা হয়। এতে মোহবিষ্ট হয়ে অনেকেই ধরা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, নব্বই দশকের তুলনায় বর্তমানে দেশে চরমপন্থিদের অপতৎপরতা কমে এলেও একেবারে নির্মূল বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়নি। এখনও খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে সন্ত্রাসী তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসব চরমপন্থি সংগঠনের সদস্যরা আর্থিক লোভ এবং ক্ষমতার মোহবিষ্ট থাকে। এ কারণে ইসলামী জঙ্গিবাদী বা মৌলবাদী গোষ্ঠী তাদের ব্যবহার করে দেশে সহজে সহিংসতা বা নাশকতা চালাতে পারে। প্রতিবেদনে সুপারিশ আকারে বলা হয়, বর্তমান মহাজোট সরকারের যেসব নেতা চরমপন্থি সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তাদের বিরত থাকার জন্য উচ্চপর্যায় থেকে বলা যেতে পারে। পাশাপাশি অন্য রাজনৈতিক দলের গডফাদারদের গতিবিধির ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে চরমপন্থিদের ১৯ গডফাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের আইজিকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
No comments