শেখ মুজিবের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া উচিত: তারেক রহমান
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রকৃত ইতিহাস বলার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ মামলা হওয়া উচিত শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। কারণ, তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে এসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখা আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় তারেক রহমান এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের আট্রিয়াম হলে এ সভা হয়। তারেক রহমানের দাবি, তাঁর বাবা জিয়াউর রহমান শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কিংবা প্রথম রাষ্ট্রপতিই ছিলেন না, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্টও ছিলেন।
প্রায় দেড় ঘণ্টার বক্তৃতায় তারেক রহমান মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, জিয়াউর রহমান জোর করে ক্ষমতা দখল করেননি এবং জাতীয় চার নেতা হত্যার সঙ্গে তাঁর বাবার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। নিজের বক্তব্যের পক্ষে নানা তথ্য এবং যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।
স্থানীয় সরকারবিষয়ক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেলহত্যার সঙ্গে জিয়া জড়িত বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার জবাবে তারেক রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরাই জেলহত্যা দিবস পালন করে ৩ নভেম্বর। ওই হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ২ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে সেনানিবাসের বাসায় গৃহবন্দী করেছিলেন। তাঁর দাবি, জিয়া ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেননি। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর খন্দকার মোশতাক এটি জারি করেছিলেন।
বর্তমান সরকারকে অবৈধ উল্লেখ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক বলেন, এই সরকার দাবি করছে তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন ১০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। অথচ গত ১ নভেম্বর সারা দেশে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল পাঁচ হাজার মেগাওয়াট এবং আমদানি করা বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল ৫০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে সরকার প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে ‘জঙ্গি ইনু’ আখ্যায়িত করে তারেক রহমান বলেন, ‘এই ইনু বাহিনী ১৯৭৫-এ শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পটভূমি তৈরি করেছিল এবং পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল। সে কাজে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে জিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।’
তারেক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আগস্ট থেকে নভেম্বর—এই কয়েকটি মাস ছিল ঘটনাবহুল এবং বিপৎসংকুল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা, সেনাবাহিনীতে চলে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান, খালেদ মোশাররফসহ সেনা অফিসার হত্যা, তাহের-ইনু চক্রের ষড়যন্ত্র এবং সিপাহী-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থানের পথ ধরে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।
প্রায় দেড় ঘণ্টার বক্তৃতায় তারেক রহমান মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, জিয়াউর রহমান জোর করে ক্ষমতা দখল করেননি এবং জাতীয় চার নেতা হত্যার সঙ্গে তাঁর বাবার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। নিজের বক্তব্যের পক্ষে নানা তথ্য এবং যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।
স্থানীয় সরকারবিষয়ক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেলহত্যার সঙ্গে জিয়া জড়িত বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার জবাবে তারেক রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরাই জেলহত্যা দিবস পালন করে ৩ নভেম্বর। ওই হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ২ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে সেনানিবাসের বাসায় গৃহবন্দী করেছিলেন। তাঁর দাবি, জিয়া ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেননি। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর খন্দকার মোশতাক এটি জারি করেছিলেন।
বর্তমান সরকারকে অবৈধ উল্লেখ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক বলেন, এই সরকার দাবি করছে তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন ১০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। অথচ গত ১ নভেম্বর সারা দেশে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল পাঁচ হাজার মেগাওয়াট এবং আমদানি করা বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল ৫০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে সরকার প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে ‘জঙ্গি ইনু’ আখ্যায়িত করে তারেক রহমান বলেন, ‘এই ইনু বাহিনী ১৯৭৫-এ শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পটভূমি তৈরি করেছিল এবং পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল। সে কাজে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে জিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।’
তারেক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আগস্ট থেকে নভেম্বর—এই কয়েকটি মাস ছিল ঘটনাবহুল এবং বিপৎসংকুল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা, সেনাবাহিনীতে চলে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান, খালেদ মোশাররফসহ সেনা অফিসার হত্যা, তাহের-ইনু চক্রের ষড়যন্ত্র এবং সিপাহী-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থানের পথ ধরে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।
No comments