নিজেই ঘুষ চাইলেন সুকোমল চাকমা by নেসারুল হক খোকন
১৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা। বাড্ডা এলাকায় ৬তলা একটি বাড়ির নকশা অনুমোদনে ঘুষের দেনদরবার করতে রাজউকের মহাখালীর অথরাইজড অফিসার সুকোমল চাকমার দফতরে হাজির যুগান্তরের অনুসন্ধানী টিম। মক্কেল পরিচয়ে সুকোমল চাকমার কাছে জানতে চাওয়া হয় কত টাকা দিতে হবে। স্বভাবসুলভ স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললেন আপাতত ৫ লাখ দিলেই চলবে। একটু দরকষাকষি করলে পরে তিনি ৬০ পার্সেন্টে (৩ লাখ) নেমে আসেন। সুকোমল চাকমার ঘুষ চাওয়ার পুরো বিষয়টি অনুসন্ধানী টিমের ভিডিও রেকর্ডে ধরা পড়ে।
এই হল রাজউকের মহাখালী অথরাইজড অফিস। যেখানে দফতর প্রধান অফিসের চেয়ারে বসে এভাবে সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে খোলামেলা ঘুষ লেনদেনের দরকষাকষি করে সেখানে অন্যদের কথা তো না বললেও সহজেই অনুমান করা যায়। তারপরেও পাঠকের অবহতির জন্য দালাল মফিজের কিছু কথোপকথন হুবুুহু তুলে ধরা হল। একই দিন দুপুরে দালাল মফিজের মুখোমুখি যুগান্তর প্রতিবেদক। নকশা অনুমোদনের তদবিরের প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি রাখঢাক না রেখেই বলেন, আরে ভাই এখানে ঘাটে ঘাটে টাকা গুণতে হবে। কাজ করে দেব, কিন্তু প্রতি স্বাক্ষরের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে।
মহাখালীর নকশা অনুমোদন কার্যালয়ের নিয়মিত দালাল এই মফিজ উদ্দিন। তিনি মফিজ দালাল নামেই পরিচিত। তার মতো বহু দালাল রয়েছে এখানে। বলা যায়, দালালের আখড়া এই দফতর। ঝামেলা এড়াতে সেবাপ্রার্থীরা নকশা অনুমোদনসহ বিভিন্ন কাজের জন্য প্রথমে দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন। ওদিকে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন করতে কর্মকর্তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মহাখালীর সুকোমল চাকমার দফতরে ফাইলের স্তূপ। কেন এত ফাইল পড়ে আছে জানতে চাইলে কয়েকজন বলেন, এসব ফাইলের কোনো খাবার নেই। খাবার বলতে তারা বোঝান, দালালরা যেসব ফাইলের তদবির নিয়ে আসেন শুধুমাত্র সেসব ফাইল ধরা হয়। আর ওপর মহলের কোনো বড় তদবির হলে সেগুলো চলে বিদ্যুৎ বেগে। এর বাইরে কোনো ফাইল চলে না। বলতে পারেন, ফুয়েল ছাড়া যেমন গাড়ি চলে না, তেমনি এখানে ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইলের মুভমেন্ট হয় না।
তদবিরে মুক্তি : খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্য করলেও সুকোমল চাকমাকে কেউ এখান থেকে বদলি করতে পারেন না। কারণ অনেক ওপরের দিকে তার হাত রয়েছে বলে তিনি সহকর্মীদের দম্ভ করে বলে থাকেন। এ কারণে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে রাজউক কর্তৃপক্ষ যতবারই তাকে সরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ততবারই ব্যর্থ হয়েছে।
সুকোমল চাকমার বক্তব্য : উল্লিখিত ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে যুগান্তর অনুসন্ধান টিম পরিচয় দিয়ে যখন সুকোমল চাকমার বক্তব্য জানতে চান তখন তিনি কিছুটা অস্বিস্তিতে পড়ে যান। নিজের এই কৃতকর্মের জন্য প্রতিবেদকের কাছে বারবার ক্ষমা চান। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
এই হল রাজউকের মহাখালী অথরাইজড অফিস। যেখানে দফতর প্রধান অফিসের চেয়ারে বসে এভাবে সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে খোলামেলা ঘুষ লেনদেনের দরকষাকষি করে সেখানে অন্যদের কথা তো না বললেও সহজেই অনুমান করা যায়। তারপরেও পাঠকের অবহতির জন্য দালাল মফিজের কিছু কথোপকথন হুবুুহু তুলে ধরা হল। একই দিন দুপুরে দালাল মফিজের মুখোমুখি যুগান্তর প্রতিবেদক। নকশা অনুমোদনের তদবিরের প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি রাখঢাক না রেখেই বলেন, আরে ভাই এখানে ঘাটে ঘাটে টাকা গুণতে হবে। কাজ করে দেব, কিন্তু প্রতি স্বাক্ষরের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে।
মহাখালীর নকশা অনুমোদন কার্যালয়ের নিয়মিত দালাল এই মফিজ উদ্দিন। তিনি মফিজ দালাল নামেই পরিচিত। তার মতো বহু দালাল রয়েছে এখানে। বলা যায়, দালালের আখড়া এই দফতর। ঝামেলা এড়াতে সেবাপ্রার্থীরা নকশা অনুমোদনসহ বিভিন্ন কাজের জন্য প্রথমে দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন। ওদিকে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন করতে কর্মকর্তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মহাখালীর সুকোমল চাকমার দফতরে ফাইলের স্তূপ। কেন এত ফাইল পড়ে আছে জানতে চাইলে কয়েকজন বলেন, এসব ফাইলের কোনো খাবার নেই। খাবার বলতে তারা বোঝান, দালালরা যেসব ফাইলের তদবির নিয়ে আসেন শুধুমাত্র সেসব ফাইল ধরা হয়। আর ওপর মহলের কোনো বড় তদবির হলে সেগুলো চলে বিদ্যুৎ বেগে। এর বাইরে কোনো ফাইল চলে না। বলতে পারেন, ফুয়েল ছাড়া যেমন গাড়ি চলে না, তেমনি এখানে ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইলের মুভমেন্ট হয় না।
তদবিরে মুক্তি : খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্য করলেও সুকোমল চাকমাকে কেউ এখান থেকে বদলি করতে পারেন না। কারণ অনেক ওপরের দিকে তার হাত রয়েছে বলে তিনি সহকর্মীদের দম্ভ করে বলে থাকেন। এ কারণে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে রাজউক কর্তৃপক্ষ যতবারই তাকে সরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ততবারই ব্যর্থ হয়েছে।
সুকোমল চাকমার বক্তব্য : উল্লিখিত ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে যুগান্তর অনুসন্ধান টিম পরিচয় দিয়ে যখন সুকোমল চাকমার বক্তব্য জানতে চান তখন তিনি কিছুটা অস্বিস্তিতে পড়ে যান। নিজের এই কৃতকর্মের জন্য প্রতিবেদকের কাছে বারবার ক্ষমা চান। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
No comments