মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতায় ইইউ অ্যামনেস্টি, হাউজ অব লর্ডস
মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও বৃটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব লর্ডস। মৃত্যুদণ্ডের রায় পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের অধিকার পূর্ণাঙ্গভাবে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে বাংলাদেশের যে কোন মৃত্যুদণ্ড শিথিল করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়ে দিয়েছে তারা সব ধরনের মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অবিলম্বে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড মুলতবি করার আহ্বান জানিয়েছে। হাউজ অব লর্ডসের পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের ভাইস চেয়ার লর্ড আভিবুরি জামায়াতে ইসলামীর নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে কতিপয় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সংবিধানের ১০৫ ধারার অধীনে অভিযুক্ত রায়ের সরকারি অনুলিপি পাওয়ার পর রিভিউ পিটিশনের জন্য ৩০ দিন সময় পাবেন। এরপর তিনি ৭ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার অধিকার রাখেন। তাছাড়া মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের প্রকাশ করা উচিত। যাতে তারা ব্যাখ্যা করবেন কেন মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। লর্ড আভাবুরি কামারুজ্জামানের বিষয়ে যথাযথভাবে আইন অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন। তার অধিকার পূর্ণাঙ্গভাবে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্টের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন সব মৃত্যুদণ্ড শিথিল করতে।
নির্বাচন প্রশ্নে আগের অবস্থানেই ইইউ
কূটনৈতিক রিপোর্টার জানান, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আগের অবস্থানেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নতুন দায়িত্ব নেয়া ডেলিগেশন প্রধান পিয়েরে ম্যাইউডো। প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশের ৪৮ ঘণ্টার মাথায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বিকালে তিনি এটি স্পষ্ট করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব ধরনের মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে। রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ১০ মাস অতিবাহিত হয়েছে, এ অবস্থায় ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন কিংবা বর্তমান সরকার নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া কি? জবাবে রাষ্ট্রদূত দশম সংসদ নির্বাচনের পর (৯ই জানুয়ারি) ইইউর পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন যে বিবৃতি দিয়েছিলেন সেটির অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবেই তিনি সেই প্রতিক্রিয়াটি দিয়েছিলেন। এর সঙ্গে যোগ করার মতো কোন কিছু তার কাছে নেই। সেখানে অবস্থান ব্যক্ত তরা হয়েছিল তা এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। ওই বিবৃতিতে সহিংসতা পরিহার করে সব দলের অংশগ্রহণে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রকৃত সংলাপ শুরুর আহ্বান জানানো হয়েছিল। ইইউ’র সদর দপ্তর ব্রাসেলস থেকে ২৮ রাষ্ট্রের জোটের তরফে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের উল্লেখ করা হয়। স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য একটি নির্বাচন আয়োজনের উপযোগী পরিবেশ তৈরির জন্য ইইউ সব দলের প্রতি অব্যাহতভাবে আহ্বান জানিয়ে আসছিল উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, তেমন পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিনিধি পছন্দ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ইইউ এজন্য দুঃখিত। দেশের জনগণের স্বার্থকে সবার আগে স্থান দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক জবাবদিহির ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য নতুন নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রকৃত সংলাপে নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
শুধু নিজামী নয়, যে কোন মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে ইইউ: যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তার দণ্ড কমানো এবং বাংলাদেশে এমন শান্তি রহিত করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল ইইউ। ওই বিবৃতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে একাধিক সাংবাদিক এর কারণ জানতে চান। জবাবে রাষ্ট্রদূত মৃত্যুদণ্ড প্রশ্নে ইইউর সর্বজনীন অবস্থানের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। বলেন, কেবল নিজামী কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)-এর রায়ই নয়, বিশ্বের যেখানে যে পরিস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ডের খবর তাদের কাছে আসে সেখানেই ইইউ এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি দেয়। ‘পাবলিক পারসেপশন’ বা জনমনে যে ধারণাই হোক ইইউর অবস্থান বিশ্বব্যাপী এক এবং অভিন্ন দাবি করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের যে বিচার চলছে এর বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান নয়।
নির্বাচন নিয়ে ইইউ বর্তমান অবস্থান-সংক্রান্ত প্রশ্নকে জটিল ও কঠিন বলে মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমার কাছে এর একটি সহজ জবাব আছে। ওই বিবৃতির সঙ্গে নতুন কোন কিছু যোগ করার মতো আমার কাছে নেই। সেখানে যে নতুন নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে, এটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ইইউ কাজ করে যাবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনুগ্রহপূর্বক এমন ধারণা প্রচার করবেন না যে বিবৃতি দেয়ার মধ্য দিয়ে ইইউ যুদ্ধাপরাধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। না, এটি কেবল নিজামীর মামলার রায়ে নয়, বিশ্বব্যাপী আমাদের অবস্থান এক এবং অভিন্ন। আমরা সব সময়, সব মামলায়, সব দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম ওই জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত মায়াজোঁ বলেন, ইইউ বিশ্বব্যাপী মুক্ত মত, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারকে সমর্থন করে।
রাজনীতি: রাজনৈতিক সংলাপের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অব্যাহত অনুরোধ বিশেষ করে নতুন নির্বাচনের জন্য ‘প্রকৃত সংলাপ’ শুরু করতে ইইউ আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকারের তরফে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ইইউ প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত ‘অভ্যন্তরীণ ইস্যু’তে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এর আগে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকায় ইইউ’র অন্য প্রতিনিধির সঙ্গে তিনিও তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব কার্যকরভাবে পালনে বদ্ধপরিকর। আরজেন্সি, অ্যাকশন অ্যান্ড ডেলিভারি- এ তিনটি বিষয় তার দায়িত্ব পালনে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন বলে জানান তিনি। বাংলাদেশ ও ইইউ’র মধ্যে অভিন্ন কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে আসতে পারে বলে মনে করেন তিনি। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীকরণ, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন, পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা- মোটা দাগে এ তিনটি খাতকে গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দেন তিনি। এ মুহূর্তের অগ্রাধিকার কি হওয়া উচিত- এমন প্রশ্নে ইইউ দূত বলেন, মানবাধিকার ও সুশাসন সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে সর্বোচ্চ শুরুত্ব দিতে হবে। সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আগামী ৭ বছর ইইউ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীকরণে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে, আরও অনেক কিছু করতে হবে- এমন মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ বাংলাদেশের যে কোন উন্নয়নে পাশে থাকতে আগ্রহী। বাংলাদেশের সঙ্গে এক্সেলেন্ট রিলেশন রয়েছে জানিয়ে তিনি তার পূর্বসূরির পথ ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পৃক্ততায় সক্রিয় থাকবেন বলে জানান। এখানকার গতিশীল সিভিল সোসাইটি এবং দ্রুত সম্প্রসারণশীল প্রাইভেট সেক্টরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ’র সম্পর্ক কেবল সরকারের সঙ্গেই হবে না, এটি হবে সর্বজনীন। এ সময় বাংলাদেশের উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাকসহ এনজিওগুলোর অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এগুলোর এ দেশের মূল্যবান সম্পদ। বেসরকারি ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
অবিলম্বে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড মুলতবি করতে হবে
মানবজমিন ডেস্ক জানায়, অবিলম্বে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড মুলতবি করতে হবে বাংলাদেশকে। শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার ক্ষেত্রে এটা হবে প্রথম পদক্ষেপ। নিশ্চিত করতে হবে যে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ যেন বিচার বিভাগের কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত না করে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ৩রা নভেম্বর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানায়। ‘বাংলাদেশ: ফ্রেশ ডেথ সেন্টেন্সেস শো আরজেন্ট নিড টু এন্ড এক্সিকিউশনস’ শীর্ষক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে অব্যাহতভাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে- এ বিষয়টি ভীষণ উদ্বেগের। এর আগে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ৯ মাস আগে। তারপর কিছুটা বিলম্বের পর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো তিন জনকে। মাত্র দু’দিনে দু’টি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ বিবৃতি দিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। ২০১৩ সালের মে মাসে তাকে প্রথম মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। সেই রায়ের আপিল শুনানিতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। এই আদালত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের বিচারের জন্য গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ গবেষক আব্বাস ফয়েজ বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নির্যাতনের শিকার লাখ লাখ মানুষ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুবিচার দিতে গিয়ে ফাঁসি দেয়া হলে তা শুধুই সহিংসতা অব্যাহত রাখবে। গত রোববার ২রা নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আরেক জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। গত সপ্তাহে ২৯শে অক্টোবর জামায়াতের সবচেয়ে সিনিয়র নেতা মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এর পরই কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। তার পর থেকে এ পর্যন্ত ১২টি রায় দেয়া হয়েছে। তার সবই বিরোধীদলীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে তাদের বেশির ভাগই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এর মধ্যে ৯ জনকে দেয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। কামারুজ্জামানের আপিলের রায় সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। এটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিচার বিভাগীয় আর কোন ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আপিলের সর্বশেষ স্থান হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে বিচারের বিষয়ে পর্যালোচনা (রিভিউ) করার অধিকার বিবাদীকে দিয়েছে সংবিধান। কিন্তু এটর্নি জেনারেল আর কোন রিভিউ করার সুযোগ নেই বলে যে মন্তব্য করেছেন তা এই অধিকারকে খর্ব করে। আব্বাস ফয়েজ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যে প্রক্রিয়ায় রায় দিয়েছে তাতে রয়েছে ভীষণভাবে রাজনীতিকরণ। সমর্থকদের রাজনৈতিক চাপের মুখে সরকারের মাথা নত করা চলবে না। উল্টো অবিলম্বে দেশের সব মৃত্যুদণ্ড লাঘব করতে হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করতে মৃত্যুদণ্ড মুলতবি করতে হবে। এখন পর্যন্ত ১৪০টি দেশ মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে প্রতি বছর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় এমন ৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
No comments