মন্ত্রীর পদত্যাগে সঙ্কটে : শিনজো আবে by মো: সাজ্জাদুল ইসলাম
একজন মন্ত্রী হারানোর বিষয়কে দুর্ভাগ্য বলা যেতে পারে। কিন্তু একই দিনে দু’জন মন্ত্রীর পদত্যাগের ঘটনায় জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে একজন অসাবধান নেতা বলে মনে হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর জাপানের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ইউকো ওবুচি এবং বিচারমন্ত্রী মিদোরি মাতসুশিমা মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। রাজনৈতিক অর্থ প্রদান নিয়মের সামান্য লঙ্ঘনের ঘটনায় সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত এ দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এ ঘটনা জাপানের রাজনীতিতে নারীদের অবস্থান শক্তিশালী করার শিনজো আবের প্রচেষ্টার প্রতি একটি বড় আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। জাপানের বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব জাপান (ডিপিজে) এ নিয়ে হইচই শুরু করে দিয়েছে এবং সরকারের অন্য মন্ত্রীরা এমন ধরনের কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন। ২০১২ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর এ ঘটনা হলো আবে সরকারের জন্য প্রথম বড় ধরনের সঙ্কট।
এর আগ পর্যন্ত অর্থ কেলেঙ্কারিমুক্ত থাকা সম্ভবত আবের প্রশাসনের জন্য বড় ধরনের বিস্ময়কর ঘটনা ছিল। জাপানের রাজনীতিতে অর্থনৈতিক অনিয়ম একটি সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। কয়েক দশক আগেও রাজনীতিকেরা বাড়িতে স্বর্ণের বার ও ঘুষের টাকার বান্ডেল লুকিয়ে রাখার ঘটনায় ধরা পড়ে যান। মাত্র কয়েক বছর আগে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ডিপিজের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ইউকিয়ো হাতোইয়ামা প্রচারণার কাজে অর্থদাতাদের যে তালিকা দেন, তাতে মৃত ব্যক্তি ও ভুয়া নাম পাওয়া যায়। এ অর্থের বেশির ভাগ মূলত প্রদান করেন তার মা। তিনি একজন শিল্পপতির উত্তরাধিকারী মেয়ে হিসেবে বিপুল সম্পদের মালিক ছিলেন।
মিস ওবুচি ও মিস মাতসুশিমা যে অনিয়ম করেছেন তা ছিল অতি তুচ্ছ ঘটনা। ওবুচির হাজার হাজার সমর্থকের কাছে তার ছবি সংবলিত কাগজ সরবরাহের ঘটনায় এ অন্যায় কাজটি সংঘটিত হয়। প্রতিটি কাগজের জন্য খরচ হয় মাত্র ৮০ ইয়েন বা ৭৫ সেন্ট। সমর্থকদের মূল্যবান এ জিনিস সরবরাহে দেশের আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। বর্তমানে রাজনৈতিক স্মারক হিসেবে হাত বদলের পর প্রতিটি ইমেজের দাম অনলাইনে প্রায় ১০ হাজার ইয়েন।
মিস ওবুচির দফতর তার নির্বাচনী এলাকার সমর্থকদের টোকিওতে থিয়েটার দেখতে আসার খরচ দিয়ে সাহায্য করেছিল। জাপানে নির্বাচনী প্রচারণার অর্থ ব্যবহারের আইনটি এক দিকে কঠোর অন্য দিকে অস্পষ্ট। মিস ওবুচিকে জাপানের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনে করা সত্ত্বেও তিনি অনেকটা অসাবধান ছিলেন। তিনি ২০০০ সালে ২৬ বছর বয়সে জাপানের পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন। ওই বছর তার পিতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেইজো ওবুচি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে পার্লামেন্টে তার শূন্য আসনে মেয়ে হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন। ডায়েটে তথাকথিত এমন রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী অনেক সদস্য রয়েছেন এবং তাদের নির্বাচনী এলাকার দফতরটি যথাযথভাবে পরিচালিত হওয়ার বিষয় তাদের অনেকে নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ডিপিজে চায়, আরো কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ করা হোক। আবের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আকিনোরি ইতোর রাজনৈতিক তহবিল রিপোর্ট সংশোধন করতে হবে, কারণ তাতে বিধিবহির্ভূত দানের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী কোয়া নিশিকাওয়াকে একটি ভুয়া কৃষি কোম্পানির কাছ থেকে দান গ্রহণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর নিজ নির্বাচনী এলাকায় একটি নার্সিং হোমের অনুমতি প্রদানের জন্য নিজের প্রভাবকে কাজে লাগানোর কথিত অভিযোগে তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন শ্রমমন্ত্রী ইয়াসুহিসা শিয়োজাকি। এ তিন মন্ত্রীর প্রত্যেকেই তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আবের একজন উপদেষ্টা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এ কারণে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) হয়তো বিরোধী নেতাদের অর্থনৈতিক ফাঁদে আটকা পড়তে যাচ্ছে।
এসব কেলেঙ্কারির ঘটনায় অর্থনীতিতে মহিলাদের ভূমিকা জোরদার করার আবের কাক্সিত প্রকল্প সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে। গত মাসে মন্ত্রিসভায় পাঁচজন নারী সদস্যের নাম ঘোষণা করেন তিনি। বিগত মন্ত্রিসভায় এত নারী সদস্য ছিলেন না। একজন লবিস্ট বলেছেন, জাপানি কোম্পানিগুলো এখন তাদের বোর্ডরুমে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার চাপ সহজে এড়াতে পারবে। বর্তমানে এসব কোম্পানির পরিচালকদের মাত্র ২ শতাংশ নারী।
আবের মন্ত্রিসভা থেকে তিনজন নারী মন্ত্রীর বিদায়ের পর অন্য দু’জনও বেশ বেকায়দায় রয়েছেন। কারণ, চরম ডানপন্থীদের সাথে তাদের সম্পর্ক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচিকে এক নয়া নাৎসিবাদীর সাথে ছবি তোলার ব্যাখ্যা দিতেই বেশ হিমশিম খাচ্ছেন। এরপরই জননিরাপত্তা মন্ত্রী এরিকো ইয়ামাতানিকে চরম ডানপন্থী গ্রুপ জায়তোকুকাইয়ের সদস্যদের সাথে পোজ দিতে দেখা যায়। পুলিশ বিভাগের দেখভাল করে এ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি জায়তোকুকাইকে কোরীয় বংশোদ্ভূত অধিবাসীদের বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশের আয়োজন করতে দেখা যায়।
পদত্যাগী মন্ত্রীদের স্থলে আবে দু’জন অভিজ্ঞ রাজনীতিককে নিয়োগ দিয়েছেন। নতুন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী হয়েছেন ইয়োইচি মিয়াজাওয়া। দায়িত্ব পাওয়ার তিন দিনের মাথায় তিনি হিরোশিমায় তার সমর্থক গ্রুপ ফেটিশ-থিমড বারের রাজনৈতিক তহবিল ব্যয়ের বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন। জবাবে তিনি বলেন, তিনি নিজে তাদের সাথে যাননি। নতুন বিচারমন্ত্রী হয়েছেন একজন নারী। ইয়োকো কামিকাওয়া এর আগে জেন্ডার ইকুয়ালিটি মন্ত্রী ছিলেন। সরকার এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করছে। সরকারি অর্থভাণ্ডারকে চাঙা করার লক্ষ্যে ভোগ্যপণ্যের ওপর করারোপের চিন্তা করছেন আবে। কিন্তু আরো কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটলে সরকারের পক্ষে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ বেশ কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
এ দিকে মন্ত্রীদের পদত্যাগের পর শিনজো আবের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। গতকাল প্রকাশিত দৈনিকইয়োমিউরির এক জনমত জরিপে এ কথা বলা হয়েছে। পত্রিকাটি সম্প্রতি টেলিফোনে এক হাজার ৫৯ জনের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এ জনমত জরিপ চালায়। এতে দেখা যায়, এক মাসের কম সময়ের মধ্যে আবের জনপ্রিয়তা ৬২ শতাংশ থেকে কমে ৫৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এর আগ পর্যন্ত অর্থ কেলেঙ্কারিমুক্ত থাকা সম্ভবত আবের প্রশাসনের জন্য বড় ধরনের বিস্ময়কর ঘটনা ছিল। জাপানের রাজনীতিতে অর্থনৈতিক অনিয়ম একটি সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। কয়েক দশক আগেও রাজনীতিকেরা বাড়িতে স্বর্ণের বার ও ঘুষের টাকার বান্ডেল লুকিয়ে রাখার ঘটনায় ধরা পড়ে যান। মাত্র কয়েক বছর আগে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ডিপিজের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ইউকিয়ো হাতোইয়ামা প্রচারণার কাজে অর্থদাতাদের যে তালিকা দেন, তাতে মৃত ব্যক্তি ও ভুয়া নাম পাওয়া যায়। এ অর্থের বেশির ভাগ মূলত প্রদান করেন তার মা। তিনি একজন শিল্পপতির উত্তরাধিকারী মেয়ে হিসেবে বিপুল সম্পদের মালিক ছিলেন।
মিস ওবুচি ও মিস মাতসুশিমা যে অনিয়ম করেছেন তা ছিল অতি তুচ্ছ ঘটনা। ওবুচির হাজার হাজার সমর্থকের কাছে তার ছবি সংবলিত কাগজ সরবরাহের ঘটনায় এ অন্যায় কাজটি সংঘটিত হয়। প্রতিটি কাগজের জন্য খরচ হয় মাত্র ৮০ ইয়েন বা ৭৫ সেন্ট। সমর্থকদের মূল্যবান এ জিনিস সরবরাহে দেশের আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। বর্তমানে রাজনৈতিক স্মারক হিসেবে হাত বদলের পর প্রতিটি ইমেজের দাম অনলাইনে প্রায় ১০ হাজার ইয়েন।
মিস ওবুচির দফতর তার নির্বাচনী এলাকার সমর্থকদের টোকিওতে থিয়েটার দেখতে আসার খরচ দিয়ে সাহায্য করেছিল। জাপানে নির্বাচনী প্রচারণার অর্থ ব্যবহারের আইনটি এক দিকে কঠোর অন্য দিকে অস্পষ্ট। মিস ওবুচিকে জাপানের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনে করা সত্ত্বেও তিনি অনেকটা অসাবধান ছিলেন। তিনি ২০০০ সালে ২৬ বছর বয়সে জাপানের পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন। ওই বছর তার পিতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেইজো ওবুচি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে পার্লামেন্টে তার শূন্য আসনে মেয়ে হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন। ডায়েটে তথাকথিত এমন রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী অনেক সদস্য রয়েছেন এবং তাদের নির্বাচনী এলাকার দফতরটি যথাযথভাবে পরিচালিত হওয়ার বিষয় তাদের অনেকে নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ডিপিজে চায়, আরো কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ করা হোক। আবের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আকিনোরি ইতোর রাজনৈতিক তহবিল রিপোর্ট সংশোধন করতে হবে, কারণ তাতে বিধিবহির্ভূত দানের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী কোয়া নিশিকাওয়াকে একটি ভুয়া কৃষি কোম্পানির কাছ থেকে দান গ্রহণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর নিজ নির্বাচনী এলাকায় একটি নার্সিং হোমের অনুমতি প্রদানের জন্য নিজের প্রভাবকে কাজে লাগানোর কথিত অভিযোগে তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন শ্রমমন্ত্রী ইয়াসুহিসা শিয়োজাকি। এ তিন মন্ত্রীর প্রত্যেকেই তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আবের একজন উপদেষ্টা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এ কারণে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) হয়তো বিরোধী নেতাদের অর্থনৈতিক ফাঁদে আটকা পড়তে যাচ্ছে।
এসব কেলেঙ্কারির ঘটনায় অর্থনীতিতে মহিলাদের ভূমিকা জোরদার করার আবের কাক্সিত প্রকল্প সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে। গত মাসে মন্ত্রিসভায় পাঁচজন নারী সদস্যের নাম ঘোষণা করেন তিনি। বিগত মন্ত্রিসভায় এত নারী সদস্য ছিলেন না। একজন লবিস্ট বলেছেন, জাপানি কোম্পানিগুলো এখন তাদের বোর্ডরুমে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার চাপ সহজে এড়াতে পারবে। বর্তমানে এসব কোম্পানির পরিচালকদের মাত্র ২ শতাংশ নারী।
আবের মন্ত্রিসভা থেকে তিনজন নারী মন্ত্রীর বিদায়ের পর অন্য দু’জনও বেশ বেকায়দায় রয়েছেন। কারণ, চরম ডানপন্থীদের সাথে তাদের সম্পর্ক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচিকে এক নয়া নাৎসিবাদীর সাথে ছবি তোলার ব্যাখ্যা দিতেই বেশ হিমশিম খাচ্ছেন। এরপরই জননিরাপত্তা মন্ত্রী এরিকো ইয়ামাতানিকে চরম ডানপন্থী গ্রুপ জায়তোকুকাইয়ের সদস্যদের সাথে পোজ দিতে দেখা যায়। পুলিশ বিভাগের দেখভাল করে এ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি জায়তোকুকাইকে কোরীয় বংশোদ্ভূত অধিবাসীদের বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশের আয়োজন করতে দেখা যায়।
পদত্যাগী মন্ত্রীদের স্থলে আবে দু’জন অভিজ্ঞ রাজনীতিককে নিয়োগ দিয়েছেন। নতুন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী হয়েছেন ইয়োইচি মিয়াজাওয়া। দায়িত্ব পাওয়ার তিন দিনের মাথায় তিনি হিরোশিমায় তার সমর্থক গ্রুপ ফেটিশ-থিমড বারের রাজনৈতিক তহবিল ব্যয়ের বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন। জবাবে তিনি বলেন, তিনি নিজে তাদের সাথে যাননি। নতুন বিচারমন্ত্রী হয়েছেন একজন নারী। ইয়োকো কামিকাওয়া এর আগে জেন্ডার ইকুয়ালিটি মন্ত্রী ছিলেন। সরকার এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করছে। সরকারি অর্থভাণ্ডারকে চাঙা করার লক্ষ্যে ভোগ্যপণ্যের ওপর করারোপের চিন্তা করছেন আবে। কিন্তু আরো কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটলে সরকারের পক্ষে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ বেশ কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
এ দিকে মন্ত্রীদের পদত্যাগের পর শিনজো আবের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। গতকাল প্রকাশিত দৈনিকইয়োমিউরির এক জনমত জরিপে এ কথা বলা হয়েছে। পত্রিকাটি সম্প্রতি টেলিফোনে এক হাজার ৫৯ জনের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এ জনমত জরিপ চালায়। এতে দেখা যায়, এক মাসের কম সময়ের মধ্যে আবের জনপ্রিয়তা ৬২ শতাংশ থেকে কমে ৫৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
No comments