কামারুজ্জামানের ফাঁসির প্রক্রিয়া নিয়ে দু’রকম মত
জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর
হওয়ার পরে এ পর্যন্ত প্রচলিত আইনে কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। আইন বিশেষজ্ঞরা
বলেছেন, কামারুজ্জামানের ফাঁসি সেই একই প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হওয়া স্বাভাবিক
প্রত্যাশা। কিন্তু গতকাল বিকালে গুলশানের নিজ বাসভবনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের ভিন্ন কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিশিষ্ট ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ আনিসুল হক ২০১৩ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর যখন স্বাধীনভাবে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন তখন রিভিউ পিটিশন করার আবেদন করার অধিকারের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তখন বলেছিলেন, সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল পুনর্বিবেচনার আবেদন করার অধিকার দণ্ডিতের আছে। তার যুক্তি ছিল ‘এ অধিকার যদি দেয়া হয়, তাহলে রায়ের স্বচ্ছতা নিয়ে কোন দিন প্রশ্ন উঠবে না।’
তিনি তখন পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রয়োজন উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘কারাবিধি অনুসারে পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি কারা কর্তৃপক্ষ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যাবে। তবে যখন তারা জানবেন, কাদের মোল্লার আপিল খারিজ হয়ে গেছে, সে মুহূর্ত থেকে ফাঁসি দেয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করবে। প্রক্রিয়া শুরুর ২১ দিন পর এবং ২৮ দিনের আগে ফাঁসি কার্যকর করার নিয়ম। তবে এর মধ্যে যদি সংক্ষুব্ধ পক্ষ আবেদন করে, তখন তা সর্বোচ্চ আদালতের ওপর নির্ভর করবে।’
কামারুজ্জামানকে আপিল বিভাগের রায় জানানো হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি, আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে কিনা, সে প্রশ্ন আমি আইজি প্রিজন সাহেবকে করি নাই, কিন্তু আমি যতটুকু জানি তাকে (কামারুজ্জামান) জানানো হয়েছে, আপিল বিভাগে খারিজ হয়েছে এবং তার মৃত্যুদণ্ড বহাল আছে।’
তিনি গতকাল আরও জানান, ‘জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রস্তুতি নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকার কথাও কামারুজ্জামানকে জানানো হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটা রায় আছে, সেখানে রিভিউ পিটিশন ডিসমিস হয়েছে, সেটা ধরে নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে রায় কার্যকরের প্রস্তুতি নিতে আদেশ দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে রায় ঘোষণা এবং পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশে আড়াই মাসের বেশি সময় লেগেছিল। প্রচলিত আইনে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশে কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই। তবে কামারুজ্জমানের রায় ঘোষণার পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আপিল বিভাগে একটি শর্ট অর্ডার প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছেও তা তুলে ধরেন।
২০১৩ সালের ৫ই ডিসেম্বর কাদের মোল্লার মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পরেই তার ফাঁসি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করতে আসামি পক্ষের উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে চেম্বার জজ ১০ই ডিসেম্বরে ফাঁসির আদেশ স্থগিত করেছিলেন। কাদের মোল্লার পক্ষে দু’টি রিভিউ আবেদন পড়েছিল। ১১ই ডিসেম্বর আপিল বিভাগে পুনর্বিবেচনার আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুনানি হয়। ১২ই ডিসেম্বর সোয়া ১২টায় প্রধান বিচারপতি কেবল ঘোষণা দেন, ‘বোথ দ্য ক্রিমিনাল রিভিউ পিটিশনস আর ডিসমিসড’। কিন্তু তাতে কি কারণে খারিজ হয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়নি। জামায়াতের আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক রিভিউ খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ না পাওয়া পর্যন্ত ফাঁসি স্থগিত করা যায় মর্মে মত দিয়েছিলেন। আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অবশ্য ১২ ডিসেম্বর বিকাল সোয়া চারটায় পৌঁছায়, আর ফাঁসি কার্যকর হয় রাত ১০টা ১ মিনিটে।
সে কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বিদ্যমান আইনে রিভিউ করার সুযোগ আছে কি নেই এ নিয়ে যে আইনি তর্ক তা অমীমাংসিত রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। সে কারণে এবারও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং কামারুজ্জামানের আইনজীবী পরস্পরবিরোধী মত দিয়েছেন। এর আগে তৎকালীন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদও অভিন্ন মত দিয়েছিলেন যে, যেহেতু একটি বিশেষ আইনে বিচার হচ্ছে এবং সেই আইনে রিভিউ করার অধিকারের কথা বলা নেই- তাই এই সুযোগ তারা পাবে না। কিন্তু সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ বলেছে, ‘সংসদের যে কোন আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে এবং আপিল বিভাগ প্রণীত যে কোন বিধি সাপেক্ষে আপিল বিভাগের কোন ঘোষিত রায় বা প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা ওই বিভাগের থাকবে।’
এডভোকেট জেয়াদ আল মালুম একটি টিভি চ্যানেলে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ২২ ধারায় ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সরকার ও আসামিপক্ষকে আপিল আবেদনের অধিকার দিয়েছে। কিন্তু আপিল পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে কিনা- এ বিষয়ে আইনে কিছু উল্লেখ নেই। সে কারণে কামারুজ্জামানের রিভিউ পিটিশন করার অধিকার নেই। ওই আইনের ২০(৩) ধারায় বলা আছে, এই আইনের অধীনে শাস্তি দেয়া হলে সরকারের আদেশ অনুসারে তা কার্যকর হবে। অনেকের মতে এবারে তাই করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রসঙ্গ: আপিলের রায় ঘোষণার পর ২০১৩ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বরের প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ একটি বিশেষ আইন। এ আইনে আপিলের রায় পুনর্বিবেচনা করার কোন বিধান নেই। যেহেতু এই আইনের ভিত্তিতেই আপিল হয়েছে, সেহেতু পুনর্বিবেচনারও সুযোগ নেই। তবে দণ্ডিত ব্যক্তির এখন আর একটিই সুযোগ আছে, তা হলো-দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেও তিনি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। তবে বিশ্বের কোন দেশে এ ধরনের অপরাধ করে কেউ মার্জনা পেয়েছেন বলে জানা নেই।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তুরিন আফরোজ ২০১৩ সালে মত দিয়েছিলেন, ‘‘কাদের মোল্লার আপিল পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ আছে কিনা- এর একমাত্র সঠিক ব্যাখ্যা আপিল বিভাগই দিতে পারবেন। তিনি বলেছিলেন, ট্রাইব্যুনালের আইন অনুসারে তাদের আপিল পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই, তবে সংবিধান অনুসারে আছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিষয়ে ব্যাখ্যা থাকতে পারে। আবার তা যদি না থাকে, তাহলে আপিল বিভাগে আবেদন করে এর সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যেতে পারে।’’ গত ৪ঠা নভেম্বর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সেমিনারে তিনি মত দেন যে, কামারুজ্জামানের রিভিউ করার অধিকার নেই।
বিশিষ্ট ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ আনিসুল হক ২০১৩ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর যখন স্বাধীনভাবে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন তখন রিভিউ পিটিশন করার আবেদন করার অধিকারের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তখন বলেছিলেন, সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল পুনর্বিবেচনার আবেদন করার অধিকার দণ্ডিতের আছে। তার যুক্তি ছিল ‘এ অধিকার যদি দেয়া হয়, তাহলে রায়ের স্বচ্ছতা নিয়ে কোন দিন প্রশ্ন উঠবে না।’
তিনি তখন পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রয়োজন উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘কারাবিধি অনুসারে পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি কারা কর্তৃপক্ষ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যাবে। তবে যখন তারা জানবেন, কাদের মোল্লার আপিল খারিজ হয়ে গেছে, সে মুহূর্ত থেকে ফাঁসি দেয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করবে। প্রক্রিয়া শুরুর ২১ দিন পর এবং ২৮ দিনের আগে ফাঁসি কার্যকর করার নিয়ম। তবে এর মধ্যে যদি সংক্ষুব্ধ পক্ষ আবেদন করে, তখন তা সর্বোচ্চ আদালতের ওপর নির্ভর করবে।’
কামারুজ্জামানকে আপিল বিভাগের রায় জানানো হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি, আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে কিনা, সে প্রশ্ন আমি আইজি প্রিজন সাহেবকে করি নাই, কিন্তু আমি যতটুকু জানি তাকে (কামারুজ্জামান) জানানো হয়েছে, আপিল বিভাগে খারিজ হয়েছে এবং তার মৃত্যুদণ্ড বহাল আছে।’
তিনি গতকাল আরও জানান, ‘জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রস্তুতি নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকার কথাও কামারুজ্জামানকে জানানো হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটা রায় আছে, সেখানে রিভিউ পিটিশন ডিসমিস হয়েছে, সেটা ধরে নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে রায় কার্যকরের প্রস্তুতি নিতে আদেশ দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে রায় ঘোষণা এবং পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশে আড়াই মাসের বেশি সময় লেগেছিল। প্রচলিত আইনে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশে কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই। তবে কামারুজ্জমানের রায় ঘোষণার পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আপিল বিভাগে একটি শর্ট অর্ডার প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছেও তা তুলে ধরেন।
২০১৩ সালের ৫ই ডিসেম্বর কাদের মোল্লার মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পরেই তার ফাঁসি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করতে আসামি পক্ষের উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে চেম্বার জজ ১০ই ডিসেম্বরে ফাঁসির আদেশ স্থগিত করেছিলেন। কাদের মোল্লার পক্ষে দু’টি রিভিউ আবেদন পড়েছিল। ১১ই ডিসেম্বর আপিল বিভাগে পুনর্বিবেচনার আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুনানি হয়। ১২ই ডিসেম্বর সোয়া ১২টায় প্রধান বিচারপতি কেবল ঘোষণা দেন, ‘বোথ দ্য ক্রিমিনাল রিভিউ পিটিশনস আর ডিসমিসড’। কিন্তু তাতে কি কারণে খারিজ হয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়নি। জামায়াতের আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক রিভিউ খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ না পাওয়া পর্যন্ত ফাঁসি স্থগিত করা যায় মর্মে মত দিয়েছিলেন। আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অবশ্য ১২ ডিসেম্বর বিকাল সোয়া চারটায় পৌঁছায়, আর ফাঁসি কার্যকর হয় রাত ১০টা ১ মিনিটে।
সে কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বিদ্যমান আইনে রিভিউ করার সুযোগ আছে কি নেই এ নিয়ে যে আইনি তর্ক তা অমীমাংসিত রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। সে কারণে এবারও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং কামারুজ্জামানের আইনজীবী পরস্পরবিরোধী মত দিয়েছেন। এর আগে তৎকালীন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদও অভিন্ন মত দিয়েছিলেন যে, যেহেতু একটি বিশেষ আইনে বিচার হচ্ছে এবং সেই আইনে রিভিউ করার অধিকারের কথা বলা নেই- তাই এই সুযোগ তারা পাবে না। কিন্তু সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ বলেছে, ‘সংসদের যে কোন আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে এবং আপিল বিভাগ প্রণীত যে কোন বিধি সাপেক্ষে আপিল বিভাগের কোন ঘোষিত রায় বা প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা ওই বিভাগের থাকবে।’
এডভোকেট জেয়াদ আল মালুম একটি টিভি চ্যানেলে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ২২ ধারায় ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সরকার ও আসামিপক্ষকে আপিল আবেদনের অধিকার দিয়েছে। কিন্তু আপিল পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে কিনা- এ বিষয়ে আইনে কিছু উল্লেখ নেই। সে কারণে কামারুজ্জামানের রিভিউ পিটিশন করার অধিকার নেই। ওই আইনের ২০(৩) ধারায় বলা আছে, এই আইনের অধীনে শাস্তি দেয়া হলে সরকারের আদেশ অনুসারে তা কার্যকর হবে। অনেকের মতে এবারে তাই করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রসঙ্গ: আপিলের রায় ঘোষণার পর ২০১৩ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বরের প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ একটি বিশেষ আইন। এ আইনে আপিলের রায় পুনর্বিবেচনা করার কোন বিধান নেই। যেহেতু এই আইনের ভিত্তিতেই আপিল হয়েছে, সেহেতু পুনর্বিবেচনারও সুযোগ নেই। তবে দণ্ডিত ব্যক্তির এখন আর একটিই সুযোগ আছে, তা হলো-দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেও তিনি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। তবে বিশ্বের কোন দেশে এ ধরনের অপরাধ করে কেউ মার্জনা পেয়েছেন বলে জানা নেই।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তুরিন আফরোজ ২০১৩ সালে মত দিয়েছিলেন, ‘‘কাদের মোল্লার আপিল পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ আছে কিনা- এর একমাত্র সঠিক ব্যাখ্যা আপিল বিভাগই দিতে পারবেন। তিনি বলেছিলেন, ট্রাইব্যুনালের আইন অনুসারে তাদের আপিল পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই, তবে সংবিধান অনুসারে আছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিষয়ে ব্যাখ্যা থাকতে পারে। আবার তা যদি না থাকে, তাহলে আপিল বিভাগে আবেদন করে এর সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যেতে পারে।’’ গত ৪ঠা নভেম্বর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সেমিনারে তিনি মত দেন যে, কামারুজ্জামানের রিভিউ করার অধিকার নেই।
No comments