একে-৪৭ তৈরির পরিকল্পনা ছিল হুজির
একে-৪৭ রাইফেলের আদলে অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজি)। এর জন্য কারখানা স্থাপনের জায়গাও খুঁজছিল তারা। পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও ব্যক্তিদের ওপর বড় আকারের হামলারও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হুজির শীর্ষ একাধিক নেতা। বুধবার রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে হুজির অপারেশন উইংয়ের প্রধান খায়রুল বাশার ওরফে ইব্রাহিমকে (৩০) গ্রেফতার করে ডিবি। তার কাছ থেকেই চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে ইব্রাহিম জানিয়েছেন, তিনি আফগানিস্তানে উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। শক্তিশালী বোমা তৈরি, বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে এই জঙ্গি নেতার। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তিনটি গ্র“প তিন ধাপে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে অস্ত্র, বোমা তৈরি ও বড় ধরনের হামলা চালানোর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। সেখানে হুজিরও একাধিক গ্র“প তিন মাস মেয়াদে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসায় এক সপ্তাহের ফিজিক্যাল ট্রেনিং নেন তারা। ইব্রাহিম ওই গ্র“পেরই একজন। গত বছরের প্রথম দিকে পাকিস্তানে গিয়ে অস্ত্র তৈরির ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ইব্রাহিম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইব্রাহিম ডিবিকে জানিয়েছেন, তিনি ইতিপূর্বে ডিবির হাতে গ্রেফতার হওয়া হুজি নেতা মাওলানা রফিকের অনুসারী। তার প্রশিক্ষণের বিষয় ছিল অ্যাটাক অন সফ্ট অ্যান্ড হার্ড টার্গেট। হার্ড টার্গেট হল- থানা ও বড় বড় স্থাপনায় গাড়িবোমা হামলা চালানো। তিনি পাকিস্তানের একটি গোপন আস্তানায় অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে বোমা তৈরি, টার্গেটস্থলে বোমা স্থাপন, সফলভাবে বোমা বিস্ফোরণ, বিভিন্ন সমরাস্ত্র ব্যবহার করে সম্মুখযুদ্ধ পরিচালনা- ইত্যাদি বিষয়ে টেকটিক্যাল প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশেই একে-৪৭ রাইফেলের আদলে অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা ছিল তাদের। এটি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বইপুস্তক সংগ্রহ করেন তারা। অন্যান্য দেশের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন ইব্রাহিম।
ডিবির বোম ডিসপোজাল ইউনিট বুধবার ভোরে সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করে। ডিবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী এ অভিযান চালান। রহমত উল্লাহ চৌধুরী জানান, বুধবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ইব্রাহিমকে আদালতে পাঠানো হয়। আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ২৫ অক্টোবর হুজির বোমা বিশেষজ্ঞ মাওলানা রফিক আহমেদসহ ৪ জন এবং ১ নভেম্বর ৩ সদস্যের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করা হয় বলে ডিবি সূত্র জানিয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ইব্রাহিম জানিয়েছেন, তিনি আফগানিস্তানে উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। শক্তিশালী বোমা তৈরি, বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে এই জঙ্গি নেতার। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তিনটি গ্র“প তিন ধাপে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে অস্ত্র, বোমা তৈরি ও বড় ধরনের হামলা চালানোর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। সেখানে হুজিরও একাধিক গ্র“প তিন মাস মেয়াদে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসায় এক সপ্তাহের ফিজিক্যাল ট্রেনিং নেন তারা। ইব্রাহিম ওই গ্র“পেরই একজন। গত বছরের প্রথম দিকে পাকিস্তানে গিয়ে অস্ত্র তৈরির ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ইব্রাহিম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইব্রাহিম ডিবিকে জানিয়েছেন, তিনি ইতিপূর্বে ডিবির হাতে গ্রেফতার হওয়া হুজি নেতা মাওলানা রফিকের অনুসারী। তার প্রশিক্ষণের বিষয় ছিল অ্যাটাক অন সফ্ট অ্যান্ড হার্ড টার্গেট। হার্ড টার্গেট হল- থানা ও বড় বড় স্থাপনায় গাড়িবোমা হামলা চালানো। তিনি পাকিস্তানের একটি গোপন আস্তানায় অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে বোমা তৈরি, টার্গেটস্থলে বোমা স্থাপন, সফলভাবে বোমা বিস্ফোরণ, বিভিন্ন সমরাস্ত্র ব্যবহার করে সম্মুখযুদ্ধ পরিচালনা- ইত্যাদি বিষয়ে টেকটিক্যাল প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশেই একে-৪৭ রাইফেলের আদলে অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা ছিল তাদের। এটি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বইপুস্তক সংগ্রহ করেন তারা। অন্যান্য দেশের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন ইব্রাহিম।
ডিবির বোম ডিসপোজাল ইউনিট বুধবার ভোরে সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করে। ডিবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী এ অভিযান চালান। রহমত উল্লাহ চৌধুরী জানান, বুধবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ইব্রাহিমকে আদালতে পাঠানো হয়। আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ২৫ অক্টোবর হুজির বোমা বিশেষজ্ঞ মাওলানা রফিক আহমেদসহ ৪ জন এবং ১ নভেম্বর ৩ সদস্যের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করা হয় বলে ডিবি সূত্র জানিয়েছে।
No comments