দুই কাজে পুরস্কার পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা by ওবায়দুল্লাহ বাদল
সামাজিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক ভালো কাজের জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ পদক দেবে সরকার। প্রতিবছর ২৩ জুন আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবসে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠান করে এই পুরস্কার দেয়া হবে। স্বর্ণপদকের পাশাপাশি নগদ অর্থ ও সম্মাননাও দেয়া হবে। এ জন্য প্রতিবছর সরকারের ব্যয় হবে ৩ কোটি ৬১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। পদকপ্রাপ্তরা নিজের নামের শেষে সিভিল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড (সিএসএ) টাইটেল লিখতে পারবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
সূত্র আরও জানায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিষয়টি চূড়ান্ত করে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির জন্য পাঠিয়েছে। তাদের সম্মতির পর প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য তা পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী ২৩ জুন প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার প্রদান করা হতে পারে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক ২৩ জুন জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আগামী অর্থবছরেই ‘সিভিল সার্ভিস পদক’ চালু করা হবে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, সিভিল সার্ভিস পদক প্রদানের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিষয়টিতে আর্থিক সংশ্লেষ থাকায় তা মতামতের জন্য অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এরপর তা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সিভিল সার্ভিস পদক প্রদানের নীতিমালার প্রস্তাব অনুমোদন করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সিপিটি) সুবীর কিশোর চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, সামাজিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক দুটি পর্যায়ে ব্যক্তিগত, দলগত ও প্রাতিষ্ঠানিক- এই তিন ক্যাটাগরিতে সরকারি চাকরিজীবীদের এসব পদক দেয়া হবে। পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও একইভাবে পদক দেয়া হবে।
জানা গেছে, সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন ভালো কাজের প্রশংসা করতে হয়। মন্দের তিরস্কার আর ভালোর পুরস্কার না থাকলে কাজের পার্থক্য থাকে না। সরকারের সব কাজ প্রশাসনের মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। অনেক কর্মকর্তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চমৎকার অবদান রাখছেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতিটি স্তরে নিবিড় তদারকি করে হাজার হাজার কোটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করছেন। অথচ তাদের পরিশ্রম ও সততার কোনো স্বীকৃতি নেই। সে ক্ষেত্রে তাদের প্রেরণা দিতেই সিভিল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, ব্যক্তিগত, দলগত ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তিন ক্যাটাগরিতে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার দেয়া হবে। জাতীয় পর্যায়ে ব্যক্তিগত অবদানের জন্য সর্বোচ্চ ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণপদক এবং নগদ ১ লাখ টাকা, দলগত অবদানের জন্য স্বর্ণপদক ও নগদ ৫ লাখ টাকা এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শুধু পদক ও সম্মাননাপত্র দেয়া হবে। ব্যক্তিগত ও দলগত পুরস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর, দফতর, সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবে। সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে পুরস্কারের প্রথা আগে থেকে চালু আছে সেই সব প্রতিষ্ঠান সিভিল সার্ভিস পদক পাবে না। জেলা পর্যায়ে সামাজিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক ক্ষেত্রে তিনটি করে মোট ছয়টি পুরস্কার দেয়া হবে। জেলা পর্যায়ে দলগত অবদানের জন্য নগদ ১ লাখ এবং সম্মাননা এবং ব্যক্তিগত অবদানের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা ও সম্মাননা দেয়া হবে। দলগত সদস্যদের মধ্যে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে বণ্টন হবে। দলের সদস্য পাঁচজনের বেশি হলে তা সদস্যদের মধ্যে সমহারে বণ্টন করতে হবে। পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বছরের ক্যালেন্ডার অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ের কার্যক্রম বিবেচনায় নেয়া হবে। প্রতি বছর ৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন আহ্বান করতে হবে। জেলা পর্যায়ে বাছাই শেষে ১০ জুনের মধ্যে জেলা পর্যায়ের পদকের জন্য মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। জাতীয় পর্যায়ে অ্যাওয়ার্ডের জন্য ৩০ মে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। পুরস্কার ঘোষণা করা হবে ২৩ জুন।
জাতীয় পর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি পদকের আবেদন বাছাই ও মূল্যায়ন করে পদকের জন্য মনোনয়ন দেবে। কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অর্থ, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, স্থানীয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, কৃষি, তথ্য, পরিবেশ ও বন সচিব, সরকারের মনোনীত তিনজন প্রতিনিধি সদস্য থাকবেন। সদস্য সচিব হিসেবে জনপ্রশাসন সচিব দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও জেলা পর্যায়ে ডিসি, একজন প্রকৌশলী, আইটি বিশেষজ্ঞ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার, সংস্থায় সংস্থা প্রধান, মন্ত্রণালয়ে সচিবরা এ বিষয়ে মূল্যায়ন করবেন। প্রতি বছর ২১ মের মধ্যে জাতীয় কমিটির সুপারিশ করা ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
সূত্র আরও জানায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিষয়টি চূড়ান্ত করে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির জন্য পাঠিয়েছে। তাদের সম্মতির পর প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য তা পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী ২৩ জুন প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার প্রদান করা হতে পারে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক ২৩ জুন জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আগামী অর্থবছরেই ‘সিভিল সার্ভিস পদক’ চালু করা হবে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, সিভিল সার্ভিস পদক প্রদানের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিষয়টিতে আর্থিক সংশ্লেষ থাকায় তা মতামতের জন্য অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এরপর তা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সিভিল সার্ভিস পদক প্রদানের নীতিমালার প্রস্তাব অনুমোদন করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সিপিটি) সুবীর কিশোর চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, সামাজিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক দুটি পর্যায়ে ব্যক্তিগত, দলগত ও প্রাতিষ্ঠানিক- এই তিন ক্যাটাগরিতে সরকারি চাকরিজীবীদের এসব পদক দেয়া হবে। পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও একইভাবে পদক দেয়া হবে।
জানা গেছে, সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন ভালো কাজের প্রশংসা করতে হয়। মন্দের তিরস্কার আর ভালোর পুরস্কার না থাকলে কাজের পার্থক্য থাকে না। সরকারের সব কাজ প্রশাসনের মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। অনেক কর্মকর্তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চমৎকার অবদান রাখছেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতিটি স্তরে নিবিড় তদারকি করে হাজার হাজার কোটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করছেন। অথচ তাদের পরিশ্রম ও সততার কোনো স্বীকৃতি নেই। সে ক্ষেত্রে তাদের প্রেরণা দিতেই সিভিল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, ব্যক্তিগত, দলগত ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তিন ক্যাটাগরিতে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার দেয়া হবে। জাতীয় পর্যায়ে ব্যক্তিগত অবদানের জন্য সর্বোচ্চ ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণপদক এবং নগদ ১ লাখ টাকা, দলগত অবদানের জন্য স্বর্ণপদক ও নগদ ৫ লাখ টাকা এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শুধু পদক ও সম্মাননাপত্র দেয়া হবে। ব্যক্তিগত ও দলগত পুরস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর, দফতর, সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবে। সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে পুরস্কারের প্রথা আগে থেকে চালু আছে সেই সব প্রতিষ্ঠান সিভিল সার্ভিস পদক পাবে না। জেলা পর্যায়ে সামাজিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক ক্ষেত্রে তিনটি করে মোট ছয়টি পুরস্কার দেয়া হবে। জেলা পর্যায়ে দলগত অবদানের জন্য নগদ ১ লাখ এবং সম্মাননা এবং ব্যক্তিগত অবদানের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা ও সম্মাননা দেয়া হবে। দলগত সদস্যদের মধ্যে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে বণ্টন হবে। দলের সদস্য পাঁচজনের বেশি হলে তা সদস্যদের মধ্যে সমহারে বণ্টন করতে হবে। পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বছরের ক্যালেন্ডার অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ের কার্যক্রম বিবেচনায় নেয়া হবে। প্রতি বছর ৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন আহ্বান করতে হবে। জেলা পর্যায়ে বাছাই শেষে ১০ জুনের মধ্যে জেলা পর্যায়ের পদকের জন্য মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। জাতীয় পর্যায়ে অ্যাওয়ার্ডের জন্য ৩০ মে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। পুরস্কার ঘোষণা করা হবে ২৩ জুন।
জাতীয় পর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি পদকের আবেদন বাছাই ও মূল্যায়ন করে পদকের জন্য মনোনয়ন দেবে। কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অর্থ, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, স্থানীয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, কৃষি, তথ্য, পরিবেশ ও বন সচিব, সরকারের মনোনীত তিনজন প্রতিনিধি সদস্য থাকবেন। সদস্য সচিব হিসেবে জনপ্রশাসন সচিব দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও জেলা পর্যায়ে ডিসি, একজন প্রকৌশলী, আইটি বিশেষজ্ঞ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার, সংস্থায় সংস্থা প্রধান, মন্ত্রণালয়ে সচিবরা এ বিষয়ে মূল্যায়ন করবেন। প্রতি বছর ২১ মের মধ্যে জাতীয় কমিটির সুপারিশ করা ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
No comments