প্রথম ওয়ানডে-ঢাকার দুঃস্মৃতি নিয়ে ভারতের মুখোমুখি

য়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তারা। কদিন আগে শেষ হওয়া সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে। সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও হোয়াইটওয়াশ প্রায় করেই ফেলেছিল। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজেও তাই এর চেয়ে কম কিছু চাওয়ার কথা নয় ভারতের। যদিও মহেন্দ্র সিং ধোনি, শচীন টেন্ডুলকারদের মতো তারকারা বিশ্রামে, আর সিরিজ শুরুর ঠিক আগের দিন পেসার


প্রাভীন কুমারের টেনিস-এলবোর পুরনো ইনজুরি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠায় ছোটখাটো একটা ধাক্কা খেয়েছে তারা। আর সে সঙ্গে তো আছেই প্রত্যাশার চাপ_এক শ কোটিরও বেশি ভক্তদের সেই প্রত্যাশা পূরণের ভার নিয়ে আজ টস করতে নামতে হবে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বীরেন্দর শেবাগকে।
এমন নয় যে আজই প্রথম অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন শেবাগ। এর আগেও ধোনির অনুপস্থিতিতে ৯ বার নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি, তার মধ্যে চারটি ম্যাচে জয়ও পেয়েছেন। সর্বশেষ ম্যাচটিতে তো শ্রীলঙ্কার ৩১৬ রান তাড়া করেই জিতেছিল শেবাগের দল। কিন্তু শেবাগ নিজে আবার সেই বিশ্বকাপের পর এই প্রথম খেলতে নামছেন ওয়ানডে, মাঝের সময়টা কেটেছে চোট-আঘাতে। আর টেন্ডুলকার-ধোনিদের অনুপস্থিতিতে তাঁর ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে ভারতকে!
তুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনেকটাই নির্ভার। একসময়ের বিশ্বজয়ী ক্যারিবিয়ানরা এখন আর বিশ্বক্রিকেটের পরাশক্তি নয়, এটা সবার জানা। কদিন আগে খেলা সর্বশেষ সিরিজের সর্বশেষ ম্যাচে তো বাংলাদেশের কাছে রীতিমতো লজ্জাই পেতে হয়েছিল তাদের। সে লজ্জা ভোলার একটা চাপ হয়তো আছে, কিন্তু ভারতের মতোই এ সিরিজে তাদের দলটাও তারুণ্যে ভরপুর বলে ড্যারেন সামির ওপর আসলে কোনো চাপ নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়কও তাই কেবলই 'ভালো খেলা'র প্রতিশ্রুতিই দিতে পারছেন। আর বলছেন, 'নিজেদের ভালো দিনে আমরা যেকোনো দলকেই হারাতে পারি।'
কটকের বড়বতি স্টেডিয়ামে আজকের দিবারাত্রির ম্যাচটায় সেই 'ভালো দিন' ফিরিয়ে আনতে হলে সামির দলের তরুণদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে সামনে থেকে। মিডল অর্ডারে ড্যারেন ব্রাভোর ব্যাটিং আর সে সঙ্গে আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড আর অধিনায়ক সামির অলরাউন্ড সামর্থ্য এ ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে ভারতের স্পিনাররাই গড়ে দিয়েছিলেন ব্যবধান, তাঁদের মধ্যে প্রজ্ঞান ওঝা না থাকায় ভারতের বোলিংয়ে নেতৃত্বটা থাকবে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে। কিন্তু আজকের ম্যাচে ভারতের স্পিন বা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডারের সামর্থ্যের চেয়েও বড় হয়ে উঠতে পারে নভেম্বরের শিশিরভেজা মাঠ। পরে বোলিং করা দলের জন্য যা বিরাট এক সমস্যার কারণ হতে পারে। কিউরেটর পঙ্কজ পট্টনায়েক আভাস দিয়ে রেখেছেন সে রকমই, 'আমরা পিচ ঢেকে রাখব, স্প্রে করা, ঝাড়ু দেওয়ার মতো সব রকমের সাবধানতাই অবলম্বন করব, কিন্তু শিশিরের ব্যাপারটা উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই।' ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.