বন্ধু, ভীষণ মিস করছি... by সৈয়দ মাহমুদ জামান
দুজনে একসঙ্গে কাজ করেছেন একবারই। তাও সে হিসেবে একসঙ্গে অভিনয়টা করা হয়নি। ২০০৬ সালের 'হ্যাপি ফিট' নামের সেই অ্যানিমেটেড ছবিতে পেঙ্গুইন গ্লোরিয়ার কণ্ঠ দিয়েছিলেন ব্রিটানি মারফি। আর সেই ছবির মূল চরিত্রে কণ্ঠ দেন এলিজা উড। সে বছরের অন্যতম বড় হিট ছিল হ্যাপি ফিট। সিক্যুয়েল হবে হবে করে কয়েকটা বছর পার হয়ে যায়। আর ২০০৯ সালের নভেম্বরে মাত্র ৩২ বছর বয়সে হঠাৎ করেই মারা যান ব্রিটানি মারফি।
গত শুক্তবার মুক্তি পেয়েছে হ্যাপি ফিট টু। এ পর্বে গ্লোরিয়া চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন পপতারকা পিঙ্ক। ছবিতে কণ্ঠ দেওয়া এলিজা, রবিন উইলিয়ামসসহ অনেকেই পিঙ্কের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু একই সঙ্গে ব্রিটানির জন্য তাঁদের কণ্ঠে ছিল বিষাদের ছোঁয়া। বিশেষ করে রেকর্ডিংয়ের সময় নাকি প্রায় প্রত্যেকেই ব্রিটানির কথা তুলতেন। যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাওয়ার ঠিক এক দিন পরেই লন্ডনে প্রিমিয়ারে উপস্থিত এলিজার কণ্ঠে পাওয়া গেছে ব্রিটানির কথা। বলেছেন, 'মাত্র একটি ছবিতেই আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। আর তাতেই সে খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিল। শুধু আমার নয়, সেটে এমন কেউ ছিল না, যার সঙ্গে ব্রিটানির বন্ধুত্ব হয়নি। এমন বন্ধুবৎসল মানুষ আমি দ্বিতীয়টি পাইনি। মৃত্যুর ওপরে কারো হাত নেই। কিন্তু ব্রিটানির মৃত্যু মানতে কষ্ট হয়েছে। আর হ্যাপি ফিট টুয়ের রেকর্ডিংয়ে প্রথম দিন থেকেই আমরা তাকে স্মরণ করেছি। আর তার কথা মনে হলেই মন কষ্টে ভরে যেত। তবে পিঙ্কও চমৎকার কাজ করেছেন_এটা মানতেই হবে। কখনোই মনে হয়নি এটা তাঁর প্রথম ছবি। আসলে আমাদের মাথায় সেটাই কাজ করছিল যে ব্রিটানির অভাব পূরণ করব কিভাবে? তবে পরিচালক বলে রেখেছিলেন সব দিক দিয়ে পিঙ্ককে সহযোগিতা করার জন্য। কোনোভাবেই যেন সে কোনো রকম অস্বস্তিপূর্ণ অবস্থায় না পড়ে। উল্টো আমরাই কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলাম। কিন্তু অ্যালিসের (পিঙ্কের আসল নাম অ্যালিসিয়া মুর) প্রাণচাঞ্চল্য অসাধারণ।' হ্যাপি ফিট ছবিতে রামোন ও লাভলেস, দুটি চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন রবিন উইলিয়ামস। তিনি বলেন, 'রেকর্ডিংয়ে গিয়েই মনে হয়েছে, আমাদের মাঝে ব্রিটানি নেই। আর তা ভাবতেই বিষাদে ভারাক্রান্ত হয়েছি বারবার। বয়সের অনেক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও চমৎকার বন্ধু ছিল সে। মনে আছে, ছবির লন্ডন প্রিমিয়ারে সে গান করেছিল। অসাধারণ গান করত সে। এমন প্রাণবন্ত একটা মেয়ে। তার মৃত্যুর খবরে আঁতকে উঠেছিলাম। কেন এমন হলো?'
No comments