করের আওতায় আসছে স্পিকার এমপিদের বেতন

প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের বেতন করের আওতায় এসেছে আগেই। এবার জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সদস্যদের বেতনও করের আওতায় এল। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ-সংক্রান্ত খসড়া আইন অনুমোদন করা হয়েছে।গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে 'স্পিকার অ্যান্ড ডেপুটি স্পিকার (রেমিউনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১১' ও 'মেম্বারস অব পার্লামেন্ট (রেমিউনারেশন অ্যান্ড অ্যালাউন্সেস)


(অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১১'-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সংসদে বিল পাস হলেই স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের আয়কর দিতে হবে।
গত ১৭ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রাইম মিনিস্টার্স (রেমিউনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট-১৯৭৫ ও মিনিস্টার্স অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টার্স (রেমিউনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট-১৯৭৩-এর সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের বেতন করের আওতায় আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বেতন করের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গতকাল বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, 'বিদ্যমান আইনে সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের বেতন করমুক্ত। তাঁদের বেতনকে করের আওতায় আনার জন্য এ-সংক্রান্ত আইন সংশোধনের প্রয়োজন হয়। আইন সংশোধন করে আজ মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হলে অনুমোদন দেওয়া হয়।'
এ ছাড়া বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি আরো কমিয়ে আনতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১১ অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। খসড়া আইনে উপকূলীয় এলাকার সব সরকারি ও বেসরকারি বহুতল ভবন ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার বিধান রাখা হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে আইনে লোকালয়, জনসংখ্যার ঘনত্ব, যোগাযোগব্যবস্থা, নিকটতম আশ্রয়কেন্দ্রের দূরত্ব, ভূমির প্রাপ্যতা প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা করে আশ্রয়কেন্দ্রের স্থান নির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় পুঁজি বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ-সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ ডিসেম্বর মিয়ানমারে যাবেন। তখন এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
বৈঠকে সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে বিমসটেক কনভেনশন অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা ঢাকা সিটি করপোরেশন দুই ভাগ করা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেন। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন।
সূত্র জানায়, ডিসিসি ভাগ নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু ঢাকা ভাগ নয়, সরকারের সব সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে নেতিবাচক প্রচার চালানো হচ্ছে। বুদ্ধিজীবী মহল থেকে যেভাবে সমালোচনা করা হচ্ছে, ব্যাপারটা আসলে তা নয়।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণ ও ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর_এ দুটি নাম প্রস্তাব করা হলেও সেগুলো পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ময়মনসিংহ জেলাকে ভেঙে যখন এতগুলো জেলা করা হলো, তখন তো এত সমালোচনা ছিল না।

No comments

Powered by Blogger.