জলবায়ু পরিবর্তনে খাদ্য সংকট আরো তীব্র হবে
বিশ্বে খরা ও ঝড়ের কারণে খাদ্যমূল্য মারাত্মক পর্যায়ে পেঁৗছে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব আরো তীব্র হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ সংকট আরো ঘনীভূত হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ব্রিটেনের দাতা সংস্থা অঙ্ফাম। বাসস/এএফপি।দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক আলোচনা শুরুর পর্যায়ে অঙ্ফাম এক রিপোর্টে বলেছে, চরম আবহাওয়ার কারণে গম ও ভুট্টার মূল্য বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতির কারণে গত ১৮ মাসে লাখ লাখ লোক
নতুন করে দারিদ্র্যের কবলে পতিত হয়েছে।অঙ্ফামের কেলি ডেন্ট বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এ ধারা অব্যাহত থাকলে কৃষির ওপর তা চাপ ফেলবে এবং পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরো ভয়ানক হবে।
কেলি ডেন্ট বলেন, যেকোনো ঘটনার কারণে স্থানীয় কিংবা আঞ্চলিক পর্যায়ে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে গরিব লোকদের দ্বিগুণ ধাক্কা সামলাতে হয়। কারণ, তাদের একই সময় খাদ্যের উচ্চমূল্যের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হয়। অপরদিকে আবহাওয়ার তীব্রতার কারণে গবাদিপশুসহ বাড়িঘর ও আবাদি জমি হারানোর ক্ষতি মেনে নিতে হয়। কেলি ডেন্ট আরো বলেন, চলতি বছর একদিকে খাদ্যের উচ্চমূল্য, অন্যদিকে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ার দরুন বহু লোক গভীর সংকটে পড়েছে। ডারবানে এ সময় আমরা কোনো পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
অঙ্ফাম বলছে, গড়ে গত পাঁচ বছরের তুলনায় এ বছর ইথিওপিয়া ও কেনিয়ায় ভুট্টার মূল্য যথাক্রমে ১৯১ ও ১৬১ শতাংশ বেড়েছে, যা হর্ন অব আফ্রিকায় দেখা দেওয়া খরারই প্রতিফলন।
এদিকে ২০১০ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনে তীব্র তাপদাহের কারণে জুলাই ও সেপ্টেম্বরে মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়ে যায়। অঙ্ফাম বলছে, ২০১১ সালের এপ্রিলে বিশ্ববাজারে গমের দাম আগের বছরের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেড়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে চালের মূল্য বেড়ে গেছে।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে চালের দাম পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৩৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, খাদ্যের উচ্চমূল্যের কারণে উন্নয়নশীল দেশের চার কোটি ৪০ লাখ লোক নতুন করে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়েছে।
কেলি ডেন্ট বলেন, যেকোনো ঘটনার কারণে স্থানীয় কিংবা আঞ্চলিক পর্যায়ে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে গরিব লোকদের দ্বিগুণ ধাক্কা সামলাতে হয়। কারণ, তাদের একই সময় খাদ্যের উচ্চমূল্যের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হয়। অপরদিকে আবহাওয়ার তীব্রতার কারণে গবাদিপশুসহ বাড়িঘর ও আবাদি জমি হারানোর ক্ষতি মেনে নিতে হয়। কেলি ডেন্ট আরো বলেন, চলতি বছর একদিকে খাদ্যের উচ্চমূল্য, অন্যদিকে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ার দরুন বহু লোক গভীর সংকটে পড়েছে। ডারবানে এ সময় আমরা কোনো পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
অঙ্ফাম বলছে, গড়ে গত পাঁচ বছরের তুলনায় এ বছর ইথিওপিয়া ও কেনিয়ায় ভুট্টার মূল্য যথাক্রমে ১৯১ ও ১৬১ শতাংশ বেড়েছে, যা হর্ন অব আফ্রিকায় দেখা দেওয়া খরারই প্রতিফলন।
এদিকে ২০১০ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনে তীব্র তাপদাহের কারণে জুলাই ও সেপ্টেম্বরে মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়ে যায়। অঙ্ফাম বলছে, ২০১১ সালের এপ্রিলে বিশ্ববাজারে গমের দাম আগের বছরের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেড়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে চালের মূল্য বেড়ে গেছে।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে চালের দাম পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৩৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, খাদ্যের উচ্চমূল্যের কারণে উন্নয়নশীল দেশের চার কোটি ৪০ লাখ লোক নতুন করে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়েছে।
No comments