মুখোমুখি প্রতিদিন-সবাই ব্যর্থতাই দেখেছে, সাফল্য নয়
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচেই ৫০ বলে ৮১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন নাজিমউদ্দিন। সাতটি করে টোয়েন্টি টোয়েন্টি আর ওয়ানডে খেলা চট্টগ্রামের এ তরুণ টানা ব্যর্থতায় জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েছেন আরো আগেই। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে আরেকটি টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচের আগে কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের কাছে স্মৃতি রোমন্থন করলেন তিনি।কালের কণ্ঠ স্পোর্টস : বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের আগে আপনার
নিজের টোয়েন্টি টোয়েন্টি স্মৃতিও মনে পড়ে যাচ্ছে নিশ্চয়ই?নাজিমউদ্দিন : হা হা হা। মনে তো পড়ছেই। টোয়েন্টি টোয়েন্টির অনেক স্মৃতি আছে। বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথম টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে নাইরোবিতে। আমি সেই ম্যাচে ৮১ রান করেছিলাম। তখনো পাকিস্তানের বোলিং অ্যাটাক অনেক ভালো ছিল। শোয়েব আখতার-মোহাম্মদ আসিফরা ছিল। শুরুতে আমি তাই বেশ নার্ভাস ছিলাম। এরপর তো ৫০ বলে ওই ইনিংসটা খেললাম, যা এখনো টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
প্রশ্ন : নাইরোবিতে প্রস্তুতিমূলক আসরে ওরকম ব্যাটিং করলেন। অথচ এর পরপরই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে আপনার কী হয়েছিল যে টানা ব্যর্থ হচ্ছিলেন?
নাজিমউদ্দিন : মানুষের জীবনটা আসলে খুবই বিচিত্র। মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই সব কিছু কেমন বদলে গিয়েছিল। প্রস্তুতি আসরে ভালো করলাম। অথচ আসল জায়গায় গিয়েই খুব বাজে খেললাম। কী যে হয়েছিল, তা আমি আজও ঠিক বুঝে উঠিনি। এখনো ভাবলে খুব খারাপ লাগে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পর যে প্র্যাকটিস ম্যাচটা ছিল, সেটিতেও আমি ভালো খেলেছিলাম। টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে যেতেই দেখলাম শুরুতেই আউট হয়ে যাচ্ছি।
প্রশ্ন : আপনার ওই ব্যর্থতাই তো বেশি দেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা!
নাজিমউদ্দিন : হা হা হা। আসলেই তাই। নাইরোবির ওই টুর্নামেন্ট টিভিতে দেখা যায়নি। দেখালে ভালো হতো আমার জন্য। আমি যে ভালো ইনিংসটা খেলেছিলাম, সেটি অন্তত সবাই দেখতে পেত। সাফল্যটা কেউ দেখেনি। অথচ ব্যর্থতা সবাই দেখেছে। আসলে এসব আমার কপালে ছিল! কিছু করার নেই।
প্রশ্ন : বলা হয় যে টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ভালো দল নয়। আপনি কী বলেন?
নাজিমউদ্দিন : খেলাটা আমরা বেশি খেলার সুযোগ পাই না বলেই মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। আর ম্যাচটা টোয়েন্টি টোয়েন্টি বলে সব বল মারার একটা প্রবণতাও আমাদের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ছিল। আইপিএল দেখে সে প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে ভালো টোয়েন্টি টোয়েন্টি দল হয়ে উঠতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিয়মিত এ ধরনের খেলা হতে হবে।
প্রশ্ন : আগামীকালের (আজ) ম্যাচে তো পাকিস্তানই ফেভারিট, নাকি?
নাজিমউদ্দিন : হ্যাঁ, অবশ্যই বাংলাদেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে মাত্রই কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আসায় ওদের আত্মবিশ্বাসও এখন তুঙ্গে। তবে সবাই বলে যে দেশের মাঠে বাংলাদেশ শক্ত প্রতিপক্ষ। পাকিস্তান দলও এখানে এসে কথাটা বলেছে। কাজেই দিনটা আমাদের হলে আমি বাংলাদেশেরও সুযোগ দেখছি।
প্রশ্ন : কী করলে বাংলাদেশের এ টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচে ভালো সম্ভাবনা দেখেন?
নাজিমউদ্দিন : শুরুটা অবশ্যই ভালো হতে হবে। ধরুন আগে ব্যাট করলে আমার ওই ৮১ রানের ইনিংসটার মতো ইনিংস যদি কেউ খেলে। তামিম বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে জানে। শুরুতেই ও এমন একটা ইনিংস খেলে ফেললে আর বাকিরাও নিজেদের সেরাটা দিলে অবশ্যই বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনা আছে।
প্রশ্ন : নাইরোবিতে প্রস্তুতিমূলক আসরে ওরকম ব্যাটিং করলেন। অথচ এর পরপরই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে আপনার কী হয়েছিল যে টানা ব্যর্থ হচ্ছিলেন?
নাজিমউদ্দিন : মানুষের জীবনটা আসলে খুবই বিচিত্র। মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই সব কিছু কেমন বদলে গিয়েছিল। প্রস্তুতি আসরে ভালো করলাম। অথচ আসল জায়গায় গিয়েই খুব বাজে খেললাম। কী যে হয়েছিল, তা আমি আজও ঠিক বুঝে উঠিনি। এখনো ভাবলে খুব খারাপ লাগে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পর যে প্র্যাকটিস ম্যাচটা ছিল, সেটিতেও আমি ভালো খেলেছিলাম। টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে যেতেই দেখলাম শুরুতেই আউট হয়ে যাচ্ছি।
প্রশ্ন : আপনার ওই ব্যর্থতাই তো বেশি দেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা!
নাজিমউদ্দিন : হা হা হা। আসলেই তাই। নাইরোবির ওই টুর্নামেন্ট টিভিতে দেখা যায়নি। দেখালে ভালো হতো আমার জন্য। আমি যে ভালো ইনিংসটা খেলেছিলাম, সেটি অন্তত সবাই দেখতে পেত। সাফল্যটা কেউ দেখেনি। অথচ ব্যর্থতা সবাই দেখেছে। আসলে এসব আমার কপালে ছিল! কিছু করার নেই।
প্রশ্ন : বলা হয় যে টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ভালো দল নয়। আপনি কী বলেন?
নাজিমউদ্দিন : খেলাটা আমরা বেশি খেলার সুযোগ পাই না বলেই মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। আর ম্যাচটা টোয়েন্টি টোয়েন্টি বলে সব বল মারার একটা প্রবণতাও আমাদের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ছিল। আইপিএল দেখে সে প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে ভালো টোয়েন্টি টোয়েন্টি দল হয়ে উঠতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিয়মিত এ ধরনের খেলা হতে হবে।
প্রশ্ন : আগামীকালের (আজ) ম্যাচে তো পাকিস্তানই ফেভারিট, নাকি?
নাজিমউদ্দিন : হ্যাঁ, অবশ্যই বাংলাদেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে মাত্রই কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আসায় ওদের আত্মবিশ্বাসও এখন তুঙ্গে। তবে সবাই বলে যে দেশের মাঠে বাংলাদেশ শক্ত প্রতিপক্ষ। পাকিস্তান দলও এখানে এসে কথাটা বলেছে। কাজেই দিনটা আমাদের হলে আমি বাংলাদেশেরও সুযোগ দেখছি।
প্রশ্ন : কী করলে বাংলাদেশের এ টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচে ভালো সম্ভাবনা দেখেন?
নাজিমউদ্দিন : শুরুটা অবশ্যই ভালো হতে হবে। ধরুন আগে ব্যাট করলে আমার ওই ৮১ রানের ইনিংসটার মতো ইনিংস যদি কেউ খেলে। তামিম বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে জানে। শুরুতেই ও এমন একটা ইনিংস খেলে ফেললে আর বাকিরাও নিজেদের সেরাটা দিলে অবশ্যই বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনা আছে।
No comments