উপজেলা পরিষদ আইন-যুগোপযোগী হওয়া বাঞ্ছনীয়
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার পূরণে সরকার উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছে। বিশেষ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের কর্তৃত্ব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা ইত্যাদি নিয়ে যে বিতর্ক চলছিল, তা অবসানে একধাপ অগ্রসর হওয়ার মতো একটি উদ্যোগ হিসেবে তাকে উল্লেখ করা যায়। উপজেলা পরিষদ আইনটি সংশোধন করার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে অধিকতর কার্যকর করাই মূল উদ্দেশ্য। এই সংশোধনের মাধ্যমে সরকারি
কাজে উপজেলা পরিষদের সর্বময় ক্ষমতাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা চেয়ারম্যানরা আন্দোলন করে আসছিলেন তাঁদের ক্ষমতা এবং অবস্থান নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে। ওই আন্দোলনের সঙ্গে দেশের সুশীল সমাজও একাত্মতা ঘোষণা করেছে আন্তরিকভাবে। কিন্তু তার পরও তাঁদের সেই আন্দোলন সফল হয়নি। অবশেষে গত অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁদের। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবশেষে এ পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে।
দীর্ঘস্থায়ী এই বিতর্ককে জিইয়ে রাখার জন্য সব সময়ই সরকারের সদিচ্ছাকে অনেকেই দায়ী করে থাকে। আবার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার পাশাপাশি সততার ঘাটতিকেও অনেকেই দায়ী করেছে। মনে করা হতো, আমলাদের হাত থেকে ক্ষমতা চলে যাওয়াটা তারা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেনি। আমলা ও জনপ্রতিনিধিদের এই দড়ি টানাটানিতে পড়ে স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় প্রায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আমলাদের মতো আবার সংসদ সদস্যরাও উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতাকে স্বাভাবিক চোখে দেখছিলেন না। অতিসম্প্রতি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে একটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা এবং কার্যপরিধি নির্ধারিত করার বিধান রাখা হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যানদের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে তাঁদের ক্ষমতাশালী করার জন্য যে আইন প্রণীত হচ্ছে, তা হবে জনগণের আস্থা লাভকারী প্রতিনিধিদের জন্য অনেক বেশি প্রাপ্তি। তবে জাতীয় সংসদ সদস্যদের যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে, সে বিষয়টিও উল্লেখ করতে হবে। এই বিধান কার্যকর হওয়ার পর থেকে উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্যরা কাজ করবেন। ফলে উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ততা থাকছে। আবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী হিসেবে পদায়িত হবেন এবং সে অনুুযায়ী তিনটি পক্ষই রাষ্ট্রীয় দিকনির্দেশনা পেল। তবে একটি প্রস্তাব সংসদীয় কমিটি পর্যন্ত আসতে যেখানে এত দীর্ঘ সময় ব্যয় হলো, সেখানে উপজেলা ব্যবস্থার অবকাঠামোগত সুবিধার চেয়েও জরুরি এই আইনি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হতে কত সময় নেবে কে জানে। সরকার যত দ্রুত আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করবে ততই মঙ্গল।
দীর্ঘস্থায়ী এই বিতর্ককে জিইয়ে রাখার জন্য সব সময়ই সরকারের সদিচ্ছাকে অনেকেই দায়ী করে থাকে। আবার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার পাশাপাশি সততার ঘাটতিকেও অনেকেই দায়ী করেছে। মনে করা হতো, আমলাদের হাত থেকে ক্ষমতা চলে যাওয়াটা তারা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেনি। আমলা ও জনপ্রতিনিধিদের এই দড়ি টানাটানিতে পড়ে স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় প্রায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আমলাদের মতো আবার সংসদ সদস্যরাও উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতাকে স্বাভাবিক চোখে দেখছিলেন না। অতিসম্প্রতি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে একটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা এবং কার্যপরিধি নির্ধারিত করার বিধান রাখা হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যানদের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে তাঁদের ক্ষমতাশালী করার জন্য যে আইন প্রণীত হচ্ছে, তা হবে জনগণের আস্থা লাভকারী প্রতিনিধিদের জন্য অনেক বেশি প্রাপ্তি। তবে জাতীয় সংসদ সদস্যদের যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে, সে বিষয়টিও উল্লেখ করতে হবে। এই বিধান কার্যকর হওয়ার পর থেকে উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্যরা কাজ করবেন। ফলে উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ততা থাকছে। আবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী হিসেবে পদায়িত হবেন এবং সে অনুুযায়ী তিনটি পক্ষই রাষ্ট্রীয় দিকনির্দেশনা পেল। তবে একটি প্রস্তাব সংসদীয় কমিটি পর্যন্ত আসতে যেখানে এত দীর্ঘ সময় ব্যয় হলো, সেখানে উপজেলা ব্যবস্থার অবকাঠামোগত সুবিধার চেয়েও জরুরি এই আইনি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হতে কত সময় নেবে কে জানে। সরকার যত দ্রুত আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করবে ততই মঙ্গল।
No comments