সয়াবিনের দাম বাড়াতে আইন মানছেন না মিলমালিকরা-* মনিটরিং সেলকে ১৫ দিন আগে জানানো নিয়ম -* সরকার নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়েছে নতুন দাম by রাজীব আহমেদ
সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে পরিবেশক প্রথার নিয়ম মানেনি ভোজ্য তেল বাজারজাতকারী কম্পানিগুলো। তেলের দাম বাড়াতে হলে আইন অনুযায়ী মনিটরিং সেলকে ১৫ দিন আগে জানাতে হবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক দফা দাম বাড়ানো হলেও একটি কম্পানি ছাড়া কেউই তা মনিটরিং সেলকে জানায়নি। এ ছাড়া কম্পানিগুলোর নির্ধারণ করা নতুন দাম সরকার নির্ধারিত দামকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত সপ্তাহে প্রায় সব কম্পানি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি দুই টাকা বাড়িয়ে দেয়। কোরবানির ঈদের পর খোলা সয়াবিন তেলের দামও দুই দফায় লিটারে সাত থেকে আট টাকা বাড়ানো হয়। বর্তমানে মিল গেটে খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১০৭ টাকা ও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১২৩ থেকে ১২৫ টাকা।
সর্বশেষ গত ২০ জুলাই ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। ওই দিন পরিবেশকদের জন্য সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় লিটারপ্রতি ১০৫ টাকা। পরিবেশকরা তা ১০৭ টাকা দরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ও খুচরা বিক্রেতারা তা ১০৯ টাকা দরে বিক্রি করবেন বলে ঠিক করা হয়। নতুন করে দাম বাড়ানোর ফলে নির্ধারিত ওই দাম অতিক্রম করে গেছে।
কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহে সিটি গ্রুপের তীর ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের দাম লিটারে দুই টাকা বাড়ানো হয়। এরপর প্রায় সব কম্পানি তেলের দাম দুই টাকা বাড়িয়ে এক লিটারের বোতল ১২৩ টাকা নির্ধারণ করে।
বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের তেলের দাম অন্য কম্পানির চেয়ে লিটারে দুই টাকা বেশি। তাদের সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতলের দাম ১২৫ টাকা। নতুন দর অনুযায়ী, দুই লিটারের বোতলের দাম চার টাকা বেড়ে ২৪৪ ও পাঁচ লিটারের বোতল ১০ টাকা বেড়ে ৬০৫ টাকা হয়েছে।
পরিবেশক প্রথা নামে পরিচিত 'অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ-২০১১' অনুযায়ী, কোনো কম্পানি পণ্যের দাম বাড়াতে বা কমাতে চাইলে সমিতির মাধ্যমে তা করতে পারবে। আর নতুন দাম কার্যকর হওয়ার ১৫ দিন আগে তা মনিটরিং সেল, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনে অবস্থিত মনিটরিং সেলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে শুধু বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড তাদের রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের তেলের দাম বাড়ানোর কথা মনিটরিং সেলকে জানায়। তবে তারা দাম বাড়ানোর কারণ সম্পর্কে কিছু বলেনি বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত সোমবার ট্যারিফ কমিশনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মিলমালিকদের মনিটরিং সেলকে না জানিয়ে তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। বৈঠকের আগের দিন কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে না জানিয়ে দাম বাড়ানোয় আইনের লঙ্ঘন হয়েছে কি না জানতে চাইলে মনিটরিং সেলের প্রধান কর্মকর্তা ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (ট্রেড পলিসি ডিভিশন) মতিয়ার রহমান সুস্পষ্ট কিছু না বলে আইনটি পড়ে দেখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আইনটি দেখলেই বোঝা যাবে লঙ্ঘন হয়েছে কি না।
মিলমালিকরা নতুন করে দাম বাড়ানোর ফলে বাজারে বর্তমানে সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত ২০ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের এক সভায় দাম নির্ধারণ করা হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মিলমালিকরা সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা দরে প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম নেবেন পরিবেশকদের কাছ থেকে। আর পরিবেশকরা খুচরা দোকানদারের কাছে তা বিক্রি করবেন ১০৭ টাকায়। আর ভোক্তাদের কাছে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকায় বিক্রি করবেন দোকানদার। পাম অয়েল মিলমালিকদের কাছ থেকে ৯৫ টাকায় নেবেন পরিবেশকরা। সেখান থেকে খুচরা দোকানদাররা কিনবেন ৯৭ টাকায়। আর সাধারণ ক্রেতার কাছে খুচরা দোকানদাররা বেচবেন ৯৯ টাকা। বোতলজাত সয়াবিনের ক্ষেত্রে প্রতি লিটারের সর্বোচ্চ দাম ১২০ টাকা, পাম অয়েলের ক্ষেত্রে তা ১১৪ টাকা।
পাম অয়েলের দাম বাজারে এখন অনেক কম। কিন্তু সয়াবিন নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি। এখন পরিবেশকরাই সয়াবিন তেল কিনছেন ১০৭ টাকা দরে। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে তাঁরা বিক্রি করছেন ১১১ টাকা দরে। আর খুচরা বিক্রেতারা তা ১১৩ থেকে ১১৪ টাকা লিটার দরে বিক্রি করছেন। অবশ্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে।
২০ জুলাইয়ের নির্ধারিত দাম এখনো কার্যকর আছে কি না জানতে চাইলে মনিটরিং সেলের এক কর্মকর্তা বলেন, মিলমালিকরা তাঁদের সমিতির মাধ্যমে নতুন দামের প্রস্তাব দেননি। এ ছাড়া নতুন করে কোনো দামও নির্ধারিত হয়নি। ফলে ওই দামই এখনো কার্যকর আছে। কেউ নির্ধারিত দামের বেশি বিক্রি করলে সেটা আইনের লঙ্ঘন।
সর্বশেষ গত ২০ জুলাই ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। ওই দিন পরিবেশকদের জন্য সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় লিটারপ্রতি ১০৫ টাকা। পরিবেশকরা তা ১০৭ টাকা দরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ও খুচরা বিক্রেতারা তা ১০৯ টাকা দরে বিক্রি করবেন বলে ঠিক করা হয়। নতুন করে দাম বাড়ানোর ফলে নির্ধারিত ওই দাম অতিক্রম করে গেছে।
কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহে সিটি গ্রুপের তীর ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের দাম লিটারে দুই টাকা বাড়ানো হয়। এরপর প্রায় সব কম্পানি তেলের দাম দুই টাকা বাড়িয়ে এক লিটারের বোতল ১২৩ টাকা নির্ধারণ করে।
বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের তেলের দাম অন্য কম্পানির চেয়ে লিটারে দুই টাকা বেশি। তাদের সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতলের দাম ১২৫ টাকা। নতুন দর অনুযায়ী, দুই লিটারের বোতলের দাম চার টাকা বেড়ে ২৪৪ ও পাঁচ লিটারের বোতল ১০ টাকা বেড়ে ৬০৫ টাকা হয়েছে।
পরিবেশক প্রথা নামে পরিচিত 'অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ-২০১১' অনুযায়ী, কোনো কম্পানি পণ্যের দাম বাড়াতে বা কমাতে চাইলে সমিতির মাধ্যমে তা করতে পারবে। আর নতুন দাম কার্যকর হওয়ার ১৫ দিন আগে তা মনিটরিং সেল, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনে অবস্থিত মনিটরিং সেলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে শুধু বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড তাদের রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের তেলের দাম বাড়ানোর কথা মনিটরিং সেলকে জানায়। তবে তারা দাম বাড়ানোর কারণ সম্পর্কে কিছু বলেনি বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত সোমবার ট্যারিফ কমিশনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মিলমালিকদের মনিটরিং সেলকে না জানিয়ে তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। বৈঠকের আগের দিন কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে না জানিয়ে দাম বাড়ানোয় আইনের লঙ্ঘন হয়েছে কি না জানতে চাইলে মনিটরিং সেলের প্রধান কর্মকর্তা ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (ট্রেড পলিসি ডিভিশন) মতিয়ার রহমান সুস্পষ্ট কিছু না বলে আইনটি পড়ে দেখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আইনটি দেখলেই বোঝা যাবে লঙ্ঘন হয়েছে কি না।
মিলমালিকরা নতুন করে দাম বাড়ানোর ফলে বাজারে বর্তমানে সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত ২০ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের এক সভায় দাম নির্ধারণ করা হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মিলমালিকরা সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা দরে প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম নেবেন পরিবেশকদের কাছ থেকে। আর পরিবেশকরা খুচরা দোকানদারের কাছে তা বিক্রি করবেন ১০৭ টাকায়। আর ভোক্তাদের কাছে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকায় বিক্রি করবেন দোকানদার। পাম অয়েল মিলমালিকদের কাছ থেকে ৯৫ টাকায় নেবেন পরিবেশকরা। সেখান থেকে খুচরা দোকানদাররা কিনবেন ৯৭ টাকায়। আর সাধারণ ক্রেতার কাছে খুচরা দোকানদাররা বেচবেন ৯৯ টাকা। বোতলজাত সয়াবিনের ক্ষেত্রে প্রতি লিটারের সর্বোচ্চ দাম ১২০ টাকা, পাম অয়েলের ক্ষেত্রে তা ১১৪ টাকা।
পাম অয়েলের দাম বাজারে এখন অনেক কম। কিন্তু সয়াবিন নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি। এখন পরিবেশকরাই সয়াবিন তেল কিনছেন ১০৭ টাকা দরে। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে তাঁরা বিক্রি করছেন ১১১ টাকা দরে। আর খুচরা বিক্রেতারা তা ১১৩ থেকে ১১৪ টাকা লিটার দরে বিক্রি করছেন। অবশ্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে।
২০ জুলাইয়ের নির্ধারিত দাম এখনো কার্যকর আছে কি না জানতে চাইলে মনিটরিং সেলের এক কর্মকর্তা বলেন, মিলমালিকরা তাঁদের সমিতির মাধ্যমে নতুন দামের প্রস্তাব দেননি। এ ছাড়া নতুন করে কোনো দামও নির্ধারিত হয়নি। ফলে ওই দামই এখনো কার্যকর আছে। কেউ নির্ধারিত দামের বেশি বিক্রি করলে সেটা আইনের লঙ্ঘন।
No comments