মুক্তিপ্রাপ্ত বিডিআর জওয়ানদের ওপর নজরদারি চলছে-৩২ দিনে মুক্তি পেলেন ১১৪ জওয়ান by ওমর ফারুক
বিডিআরের নিজস্ব আইনে সাজাপ্রাপ্ত বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) জওয়ানদের মুক্তির পর গোয়েন্দা নজরদারি শুরু হয়েছে। তাঁরা গ্রামের বাড়িতে ফিরে গিয়ে কী করছেন, এর খোঁজখবর রাখছে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা। গত ৩২ দিনে ১১৪ জন বিডিআর জওয়ান কাশিমপুর ১ ও ২ নম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বিডিআর বিদ্রোহের সময় তাঁরা প্রত্যেকেই বিজিবি (সাবেক বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় ছিলেন। গতকাল সোমবার কাশিমপুর ১ নম্বর কারাগার
থেকে ১৩ জন মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তিপ্রাপ্ত ১৩ জনই ২৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। কিছুদিন আগে ব্যাটালিয়নটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। বিজিবি ও কারা সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের পর পিলখানায় থাকা ১১টি ব্যাটালিয়ন ও ইউনিটের চার হাজার ৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর তাঁদের বিরুদ্ধে বিডিআরের নিজস্ব আইনে বিশেষ আদালতে বিদ্রোহ মামলার বিচার করা হয়। ১১টি ব্যাটালিয়ন ও ইউনিটের মধ্যে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ব্যাটালিয়নের সদস্যদের বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি প্রথম রায় ঘোষণা করা হয় রেকর্ড উইংয়ের। এ ইউনিটের ১১১ জন আসামির প্রত্যেকেই সাত বছর থেকে চার মাস পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পান। এরপর গত ১১ মে ঢাকা সেক্টর সদরের ৮৪ জন আসামির বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়। এতে ৮৪ জনকেই বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়। ৬ জুন রাইফেলস সিকিউরিটি ইউনিটের সদস্যদের বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়। এ ইউনিটের ১১৩ জন আসামির মধ্যে চারজন বেকসুর খালাস পান। বাকি ১০৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। গত ২৭ জুন ২৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ৬৬৬ জন আসামির মধ্যে ৯ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর সিগন্যাল সেক্টরের ১৮৭ জনের বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়। পাঁচজন খালাস পান ও ১৮২ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহসিন রেজা বলেন, বর্তমানে বিডিআরের নিজস্ব আইনে ছয়টি আদালতে বিচার কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ৩৬ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ৩১০ জন, ১৩ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ৬২২ জন, ৪৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ৬৭৫, সদর রাইফেলসের ৭৩৫ এবং পরিদপ্তরের ৩৩৭ জনের বিচার চলছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের পর পিলখানায় থাকা ১১টি ব্যাটালিয়ন ও ইউনিটের চার হাজার ৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর তাঁদের বিরুদ্ধে বিডিআরের নিজস্ব আইনে বিশেষ আদালতে বিদ্রোহ মামলার বিচার করা হয়। ১১টি ব্যাটালিয়ন ও ইউনিটের মধ্যে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ব্যাটালিয়নের সদস্যদের বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি প্রথম রায় ঘোষণা করা হয় রেকর্ড উইংয়ের। এ ইউনিটের ১১১ জন আসামির প্রত্যেকেই সাত বছর থেকে চার মাস পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পান। এরপর গত ১১ মে ঢাকা সেক্টর সদরের ৮৪ জন আসামির বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়। এতে ৮৪ জনকেই বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়। ৬ জুন রাইফেলস সিকিউরিটি ইউনিটের সদস্যদের বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়। এ ইউনিটের ১১৩ জন আসামির মধ্যে চারজন বেকসুর খালাস পান। বাকি ১০৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। গত ২৭ জুন ২৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ৬৬৬ জন আসামির মধ্যে ৯ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর সিগন্যাল সেক্টরের ১৮৭ জনের বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়। পাঁচজন খালাস পান ও ১৮২ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহসিন রেজা বলেন, বর্তমানে বিডিআরের নিজস্ব আইনে ছয়টি আদালতে বিচার কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ৩৬ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ৩১০ জন, ১৩ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ৬২২ জন, ৪৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ৬৭৫, সদর রাইফেলসের ৭৩৫ এবং পরিদপ্তরের ৩৩৭ জনের বিচার চলছে।
No comments