বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিল চীন
মিয়ানমারের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহী হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদারের ঘোষণা দিয়েছে চীন। গতকাল সোমবার বেইজিংয়ে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং লাইয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের মিয়ানমার সফরের প্রাক্কালে নেইপিদো-বেইজিং সম্পর্ক জোরদারের এ ঘোষণাকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনা রাষ্ট্রিয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া গতকাল জানায়, বৈঠকে সফররত লাইয়ের কাছে দুই দেশের মধ্যকার 'সামরিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক জোরদার করার' প্রস্তাব করেন চিনপিং। 'দুই পক্ষই নিজেদের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ব্যপ্তি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে।' চিনপিংকে উদ্ধৃত করে সিনহুয়া আরো জানায়, 'চীন ও মিয়ানমারের মধ্যকার সমন্বিত কৌশলগত পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করে যাবে বেইজিং।' ২০১৩ সালে চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হু চিনতাওয়ের মেয়াদ শেষ হবে। ধারণা করা হচ্ছে, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার নেবেন চিনপিং।
এই মুহূর্তে দীর্ঘদিনের দুই বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের ঘোষণাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামীকাল বুধবার হিলারির মিয়ানমার পেঁৗছার কথা। গত ৫০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে মার্কিন উচ্চপদস্থ কোনো প্রতিনিধির এটি হবে প্রথম মিয়ানমার সফর। বিশেষজ্ঞদের মতে, হিলারির এ সফরের উদ্দেশ কেবল গণতন্ত্রের পথে জান্তা সমর্থিত মিয়ানমার সরকারের সংস্কারের রূপরেখা খতিয়ে দেখা নয়, পাশাপাশি বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের লড়াইকে জোরদার করা। কারণ, চীনের দোরগোড়ায় থাকা মিয়ানমার কৌশলগত কারণে ওয়াশিংটনের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। কয়েক দিন আগেই অস্ট্রেলিয়ায় আড়াই হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীনকে ঠেকাতে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। তবে ওয়াশিংটনের এ উদ্যোগ 'পুরোপুরি ঠিক হবে' বলে সমালোচনা করে বেইজিং। এরপর ওবামা প্রশাসন হিলারির মিয়ানমার সফরের ঘোষণা দেয়। এ অবস্থায় চীন আগেভাগে মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক জোরদার করে অবস্থান ঠিক রাখতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : এএফপি
এই মুহূর্তে দীর্ঘদিনের দুই বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের ঘোষণাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামীকাল বুধবার হিলারির মিয়ানমার পেঁৗছার কথা। গত ৫০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে মার্কিন উচ্চপদস্থ কোনো প্রতিনিধির এটি হবে প্রথম মিয়ানমার সফর। বিশেষজ্ঞদের মতে, হিলারির এ সফরের উদ্দেশ কেবল গণতন্ত্রের পথে জান্তা সমর্থিত মিয়ানমার সরকারের সংস্কারের রূপরেখা খতিয়ে দেখা নয়, পাশাপাশি বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের লড়াইকে জোরদার করা। কারণ, চীনের দোরগোড়ায় থাকা মিয়ানমার কৌশলগত কারণে ওয়াশিংটনের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। কয়েক দিন আগেই অস্ট্রেলিয়ায় আড়াই হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীনকে ঠেকাতে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। তবে ওয়াশিংটনের এ উদ্যোগ 'পুরোপুরি ঠিক হবে' বলে সমালোচনা করে বেইজিং। এরপর ওবামা প্রশাসন হিলারির মিয়ানমার সফরের ঘোষণা দেয়। এ অবস্থায় চীন আগেভাগে মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক জোরদার করে অবস্থান ঠিক রাখতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : এএফপি
No comments