প্রকৃতি-ঝরনাতলার নির্জনে by বিপ্রদাশ বড়ুয়া
অতৃপ্ত উপভোগ, অপূর্ণ আশা নিয়ে সাজেক ছাদ থেকে, বলা যায় বাংলাদেশের বসতিপূর্ণ সুউচ্চ মালভূমি থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছি। এখানে যদি দু-দশ দিন থাকতে পারতাম! এদের নিয়ে একটি উপন্যাস রচনা করতে পারতাম! ওদের দারিদ্র্য নিয়ে ওদের কোনো দুঃখ নেই। সরকার ওদের কোনো সুযোগ-সুবিধা করে দেয় না, বরং বাড়তি দুঃখ বা অত্যাচার চাপিয়ে দিয়ে যায়। ওখানে সোলার ব্যবহার করে ওরা বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালে।
ছনের ছাউনির বদলে টিন ব্যবহার করছে, প্লাস্টিক সভ্যতা ঢুকে পড়েছে, দেশের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও ভেজাল বিস্কুট ও খাবার প্রবেশ করে গেছে, আধুনিক পোশাক দখল করেছে ওদের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের জিনিসের বদলে। কিন্তু উপার্জনের একমাত্র ক্ষেত্র আদিম ও অকৃত্রিম প্রকৃতি। প্রকৃতিকে রুষ্ট না করে, যাতনা না দিয়ে সুন্দর সহবাস করতে পারঙ্গম ওরা। জুম চাষ করলেও আমাদের মতো প্রকৃতির হন্তারক ওরা নয়। অরণ্য ধ্বংসের জন্য ওরা দায়ী নয়। পাখি-জীবজন্তু শিকার ওরা করে, কিন্তু সম্পদ আহরণ করে স্তূপ করে রাখে না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছুই নেয় না প্রকৃতি থেকে। এমনকি শিকারের পশুও ওরা ভাগ করে খায় সমাজের সবার সঙ্গে। সাধ্যমতো ওরা পড়শির সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেয়। এমনকি নিজের শেষ সম্বল পর্যন্ত বিলিয়ে দিতে কসুর করে না পড়শির বিপদে।
ছবি তুলতে গেলে ওদের কেউ কেউ রাজি হয় না। বলে, 'ছবি তুলে তোমরা টাকা পাবে, আমাদের কী লাভ?' আমি তখন পিছু হটি। আবার কেউ কেউ আমাদের ইচ্ছামতো সুযোগ দেয়। আগে যেকোনো পাহাড়ির ঘরে গেলে বসতে দিত। প্রথমে এগিয়ে দিত পানি, সাধ্যমতো কলা-আনারস বা অন্য কিছু। দাবা (হুঁকো)। এমনকি খেতে ও থাকতে দিত। একাত্তরেও আমি এ সম্মান পেয়েছি কাউখালি, লক্ষ্মীছড়ি ও মানিকছড়িতে।
সাজেক থেকে ফেরার পথে
রাস্তায় কোথাও বাধার মুখে পড়িনি। মাসলং এসে বাজারের হোটেলে দেশি মুরগি ও পাহাড়ি কচুর সুস্বাদু তরকারি দিয়ে ভাত খেয়েছি। ওই দোকানদার আমার ইছামতী গ্রামের কর্ণফুলীর ওপারের সরফভাটা গ্রামের। ওর নাম মোহাম্মদ আবুল। মাঝ বয়েসি ব্যবসায়ী, তবুও কতই-না খাতির করল। বাজারে সাজেকের কমলা বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি তিন টাকা দরে। দেবাশীষ চাকমা কিনে নিল। আমার অতিস্পর্শকাতর দাঁত ওই সামান্য টক কমলাও সইতে নারাজ বলে খেতে ও কিনতে পারলাম না। প্রদীপ ওর এক আত্মীয়কে পেল। দাউদ ও জাকের কালের কণ্ঠ নিয়ে আলোচনা করছে কি?
পথে পথে তোকমা ও বুনো শিমের ফুলের ছবি তোলা হলো না। কাসলংয়ের সাদা মনের মানুষ তিলকানন্দ ভিক্ষুর গ্রামে যত পাখি দেখেছি, এখানে তার কড়া-ক্রান্তিও নেই। পাখি না থাকার বেদনার ভার নিলাম, কারণ এর দায়ভাগ যে আমারই বেশি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান অবস্থায় দায় তো ওদের নয়, সরকার ও দেশবাসীর। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিরা বসতি স্থাপন করছে গায়ের জোরে, বিশ্ববাসীর মতামতের তোয়াক্কা না করে। আমরাও পার্বত্য চট্টগ্রামে একই পরিস্থিতি তৈরি করে যাচ্ছি। এ সত্য সরকার মানে না। সত্য যে কঠিন, কঠিনকে অনেকে মানতে পারে না, ভালোবাসে না। জুম চাষ ছাড়া যাদের কোনো উপায় নেই, তাদের জুম চাষের অপকারিতার সুভাষণ দিলে কি পেট ভরবে!
বাঘাইহাট চেকপোস্টে আর কোনো প্রশ্ন বা দাঁড় করিয়ে দেরি করল না। আকাশের শস্যক্ষেতে মেঘ জমছে। কে জানে কী দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে সামনে। এসে পড়লাম হাজাছড়া ঝরনাতলার নির্জনতার দ্বারপ্রান্তে। উইলিস জিপের চালক ধীমান হাতের চাপে গর্জন থামিয়ে দিল। কান ও শরীর এক মুহূর্তে শব্দহীন ঝিমঝিম শব্দের শিল্পকলায় চেপে ধরল। ধীমান বলল, 'জুতো খুলে গাড়িতে রাখুন।' রাখলাম। ওর পিছু নিয়ে ছোট্ট স্রোতস্বিনীতে নেমে পড়লাম। আহা! শীতল তরল পরশ পাথর সুধা। কূলে কূলে, ফের একই স্রোতস্বিনী বারবার ডিঙিয়ে, ঢেঁকিশাকের দুর্দান্ত যৌবন দেখে, বুলবুলি ও টুনটুনির গান শুনে চলেছি। কখনো মাথার ওপর গাছের ডালপালা। দিনের শেষে তার প্রধান অন্ধকার। বৃষ্টিস্নাত শরীরের মতো তার শীতল পরশ। পাহাড়ি মা ও তরুণীর জমি আবাদের সচল চিত্রের দৃশ্য দেখে আমরা ছয়জন চলেছি ঝরনা সঙ্গমে। কখনো তৈলাক্ত পিচ্ছিল স্রোতস্বিনীর পাড়, কখনো পাথুরে আধা সুরঙ্গ ও বাধা। তপ্ত শরীর শীতল হয়ে যাচ্ছে তৃপ্তির সুরতে।
অকস্মাৎ কানে ধরা দিল ঝরনার রুনুঝুনু আমন্ত্রণ। ও ময়ূর, আমি পাগল হয়ে যাব। ও কেকা, তুমি আর শব্দশিল্প হয়ে থেকো না। তুমি দেখা দাও। ময়ূর ও কেকা নেই তবুও।
অমনি ফুটে ফুটে উঠল জলস্রোতের রভস বিলাস। ৬০-৭০ ফুট উঁচু থেকে স্খলিত হচ্ছে স্বচ্ছতোয়া জল। পাললিক পিচ্ছিল শৈল শিখর থেকে নামছে আমাদের আরাধ্য ঝরনা-বঁধু। বিকেলের শেষ আলোটুকু কমিয়ে দিচ্ছে মেঘ এসে। ঝরনার দুই পাশ থেকে গাছ উঠে প্রত্নপুরাণ আবেশ ও দৃশ্য সৃষ্টি করেছে। ধীমান নেমে গেল। জাকির শরীর মেলে ধরেছে ঝরনাতলায়। শেখ হাসান ও প্রদীপ চলল শব্দময় নীরব ধারাতলে। আমি যে স্নান জমাব এখানে। দেবাশীষ ও দাউদও স্নান জমাবে? ওরা কোথায় শিখল আমার মতো স্নান জমাতে। আমি কুয়াকাটায় গিয়ে প্রথম জমিয়েছি। অনেকে টাকা, সোনা, জমিজমা বা শাড়ি জমায়। জমাক। আমি ঘুম ও স্বপ্ন জমাই। আর ভালোবাসা।
'রবি ঐ অস্তে নামে শৈলতলে,/ বলাকা কোন্ গগনে উড়ে চলে_/ আমি এই করুণ ধারার কলকলে/ নীরবে কান পেতে রই আনমনে/ তোমারি ঝরনাতলার নির্জনে'
এই যাত্রায় আমার অর্ধেক বাসনা পূর্ণ হলো। বাকি আধখানা? ও দাউদ, ও প্রদীপ, ও জাকির এসো!
পাহাড়ে অরণ্য-শোভা না দেখে, পাখির কলহাস্য শুনতে না পেয়ে, অর্থাৎ ওরা নেই বলেই কি আধখানা অপূর্ণ থেকে গেল বলব? নাকি জনমদুখী সরল পার্বত্যবাসী পথে পথে অভিযোগ করল বলে। আমি যতবার এই ভূস্বর্গে এসেছি প্রত্যেক বার তাদের সরব ও নীরব অভিযোগ শুনেছি। প্রত্যেক বার ঢাকায় ফিরে এসে ওদের ঘরবাড়ি তছনছ করার খবরে নির্বাক থেকেছি। না, আর নয়, এবার ফিরতে হবে। ঝরনা-শব্দ ছাপিয়ে পাতার মর্মর শুনতে পেলাম মনে হলো। হ্যাঁ, তাই। বনের আকুলতা ছুটছে হাওয়ার সঙ্গে।
অমনি বুকের জেব থেকে পড়ে যাওয়া স্বপ্ন কুড়িয়ে নেওয়ার মতো ছুটলাম উইলিস সাহেবের প্রত্নপুরাণ জিপের কাছে। বৃষ্টি ধেয়ে আসছে গাছের পাতায় মর্মর তুলে। কী তার ঐশ্বর্য!
'দিনে মোর যা প্রয়োজন বেড়াই তারি খোঁজ করে,/ মেটে বা নাই মেটে তা ভাববো না আর তার তরে।/ সারা দিন অনেক ঘুরে দিনের শেষে/ এসেছি সকল চাওয়ার বাহির-দেশে।' উঠে বসলাম জিপে, মাথা নিচু করে জিপের উইন্ডশিল্ড দিয়ে দেখি সুনামি ক্ষুধার্ত বৃষ্টি ছুটে আসছে সম্মুখ সমর আহ্বান করে।
ছবি তুলতে গেলে ওদের কেউ কেউ রাজি হয় না। বলে, 'ছবি তুলে তোমরা টাকা পাবে, আমাদের কী লাভ?' আমি তখন পিছু হটি। আবার কেউ কেউ আমাদের ইচ্ছামতো সুযোগ দেয়। আগে যেকোনো পাহাড়ির ঘরে গেলে বসতে দিত। প্রথমে এগিয়ে দিত পানি, সাধ্যমতো কলা-আনারস বা অন্য কিছু। দাবা (হুঁকো)। এমনকি খেতে ও থাকতে দিত। একাত্তরেও আমি এ সম্মান পেয়েছি কাউখালি, লক্ষ্মীছড়ি ও মানিকছড়িতে।
সাজেক থেকে ফেরার পথে
রাস্তায় কোথাও বাধার মুখে পড়িনি। মাসলং এসে বাজারের হোটেলে দেশি মুরগি ও পাহাড়ি কচুর সুস্বাদু তরকারি দিয়ে ভাত খেয়েছি। ওই দোকানদার আমার ইছামতী গ্রামের কর্ণফুলীর ওপারের সরফভাটা গ্রামের। ওর নাম মোহাম্মদ আবুল। মাঝ বয়েসি ব্যবসায়ী, তবুও কতই-না খাতির করল। বাজারে সাজেকের কমলা বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি তিন টাকা দরে। দেবাশীষ চাকমা কিনে নিল। আমার অতিস্পর্শকাতর দাঁত ওই সামান্য টক কমলাও সইতে নারাজ বলে খেতে ও কিনতে পারলাম না। প্রদীপ ওর এক আত্মীয়কে পেল। দাউদ ও জাকের কালের কণ্ঠ নিয়ে আলোচনা করছে কি?
পথে পথে তোকমা ও বুনো শিমের ফুলের ছবি তোলা হলো না। কাসলংয়ের সাদা মনের মানুষ তিলকানন্দ ভিক্ষুর গ্রামে যত পাখি দেখেছি, এখানে তার কড়া-ক্রান্তিও নেই। পাখি না থাকার বেদনার ভার নিলাম, কারণ এর দায়ভাগ যে আমারই বেশি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান অবস্থায় দায় তো ওদের নয়, সরকার ও দেশবাসীর। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিরা বসতি স্থাপন করছে গায়ের জোরে, বিশ্ববাসীর মতামতের তোয়াক্কা না করে। আমরাও পার্বত্য চট্টগ্রামে একই পরিস্থিতি তৈরি করে যাচ্ছি। এ সত্য সরকার মানে না। সত্য যে কঠিন, কঠিনকে অনেকে মানতে পারে না, ভালোবাসে না। জুম চাষ ছাড়া যাদের কোনো উপায় নেই, তাদের জুম চাষের অপকারিতার সুভাষণ দিলে কি পেট ভরবে!
বাঘাইহাট চেকপোস্টে আর কোনো প্রশ্ন বা দাঁড় করিয়ে দেরি করল না। আকাশের শস্যক্ষেতে মেঘ জমছে। কে জানে কী দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে সামনে। এসে পড়লাম হাজাছড়া ঝরনাতলার নির্জনতার দ্বারপ্রান্তে। উইলিস জিপের চালক ধীমান হাতের চাপে গর্জন থামিয়ে দিল। কান ও শরীর এক মুহূর্তে শব্দহীন ঝিমঝিম শব্দের শিল্পকলায় চেপে ধরল। ধীমান বলল, 'জুতো খুলে গাড়িতে রাখুন।' রাখলাম। ওর পিছু নিয়ে ছোট্ট স্রোতস্বিনীতে নেমে পড়লাম। আহা! শীতল তরল পরশ পাথর সুধা। কূলে কূলে, ফের একই স্রোতস্বিনী বারবার ডিঙিয়ে, ঢেঁকিশাকের দুর্দান্ত যৌবন দেখে, বুলবুলি ও টুনটুনির গান শুনে চলেছি। কখনো মাথার ওপর গাছের ডালপালা। দিনের শেষে তার প্রধান অন্ধকার। বৃষ্টিস্নাত শরীরের মতো তার শীতল পরশ। পাহাড়ি মা ও তরুণীর জমি আবাদের সচল চিত্রের দৃশ্য দেখে আমরা ছয়জন চলেছি ঝরনা সঙ্গমে। কখনো তৈলাক্ত পিচ্ছিল স্রোতস্বিনীর পাড়, কখনো পাথুরে আধা সুরঙ্গ ও বাধা। তপ্ত শরীর শীতল হয়ে যাচ্ছে তৃপ্তির সুরতে।
অকস্মাৎ কানে ধরা দিল ঝরনার রুনুঝুনু আমন্ত্রণ। ও ময়ূর, আমি পাগল হয়ে যাব। ও কেকা, তুমি আর শব্দশিল্প হয়ে থেকো না। তুমি দেখা দাও। ময়ূর ও কেকা নেই তবুও।
অমনি ফুটে ফুটে উঠল জলস্রোতের রভস বিলাস। ৬০-৭০ ফুট উঁচু থেকে স্খলিত হচ্ছে স্বচ্ছতোয়া জল। পাললিক পিচ্ছিল শৈল শিখর থেকে নামছে আমাদের আরাধ্য ঝরনা-বঁধু। বিকেলের শেষ আলোটুকু কমিয়ে দিচ্ছে মেঘ এসে। ঝরনার দুই পাশ থেকে গাছ উঠে প্রত্নপুরাণ আবেশ ও দৃশ্য সৃষ্টি করেছে। ধীমান নেমে গেল। জাকির শরীর মেলে ধরেছে ঝরনাতলায়। শেখ হাসান ও প্রদীপ চলল শব্দময় নীরব ধারাতলে। আমি যে স্নান জমাব এখানে। দেবাশীষ ও দাউদও স্নান জমাবে? ওরা কোথায় শিখল আমার মতো স্নান জমাতে। আমি কুয়াকাটায় গিয়ে প্রথম জমিয়েছি। অনেকে টাকা, সোনা, জমিজমা বা শাড়ি জমায়। জমাক। আমি ঘুম ও স্বপ্ন জমাই। আর ভালোবাসা।
'রবি ঐ অস্তে নামে শৈলতলে,/ বলাকা কোন্ গগনে উড়ে চলে_/ আমি এই করুণ ধারার কলকলে/ নীরবে কান পেতে রই আনমনে/ তোমারি ঝরনাতলার নির্জনে'
এই যাত্রায় আমার অর্ধেক বাসনা পূর্ণ হলো। বাকি আধখানা? ও দাউদ, ও প্রদীপ, ও জাকির এসো!
পাহাড়ে অরণ্য-শোভা না দেখে, পাখির কলহাস্য শুনতে না পেয়ে, অর্থাৎ ওরা নেই বলেই কি আধখানা অপূর্ণ থেকে গেল বলব? নাকি জনমদুখী সরল পার্বত্যবাসী পথে পথে অভিযোগ করল বলে। আমি যতবার এই ভূস্বর্গে এসেছি প্রত্যেক বার তাদের সরব ও নীরব অভিযোগ শুনেছি। প্রত্যেক বার ঢাকায় ফিরে এসে ওদের ঘরবাড়ি তছনছ করার খবরে নির্বাক থেকেছি। না, আর নয়, এবার ফিরতে হবে। ঝরনা-শব্দ ছাপিয়ে পাতার মর্মর শুনতে পেলাম মনে হলো। হ্যাঁ, তাই। বনের আকুলতা ছুটছে হাওয়ার সঙ্গে।
অমনি বুকের জেব থেকে পড়ে যাওয়া স্বপ্ন কুড়িয়ে নেওয়ার মতো ছুটলাম উইলিস সাহেবের প্রত্নপুরাণ জিপের কাছে। বৃষ্টি ধেয়ে আসছে গাছের পাতায় মর্মর তুলে। কী তার ঐশ্বর্য!
'দিনে মোর যা প্রয়োজন বেড়াই তারি খোঁজ করে,/ মেটে বা নাই মেটে তা ভাববো না আর তার তরে।/ সারা দিন অনেক ঘুরে দিনের শেষে/ এসেছি সকল চাওয়ার বাহির-দেশে।' উঠে বসলাম জিপে, মাথা নিচু করে জিপের উইন্ডশিল্ড দিয়ে দেখি সুনামি ক্ষুধার্ত বৃষ্টি ছুটে আসছে সম্মুখ সমর আহ্বান করে।
No comments