অবরোধের প্রতিবাদে আসাদ সমর্থকদের বিক্ষোভ
আরব লিগের অবরোধের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সিরিয়ায় বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছে প্রেসিডেন্ট আসাদের সমর্থকরা। অবরোধের সিদ্ধান্তকে 'নজিরবিহীন পদক্ষেপ' বলে উল্লেখ করেছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। এ অবরোধের মাধ্যমে আরব লিগ সিরিয়ার সংকটকে 'আন্তর্জাতিক রূপ' দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা বন্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের ওপর চাপ তৈরির জন্য
সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা বন্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের ওপর চাপ তৈরির জন্য
আরব লিগ কয়েক দফা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। সর্বশেষ ৫০০ সদস্যের একটি পর্যবেক্ষকদলকে সিরিয়ায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় আসাদ সরকারের ওপর অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। গত রবিবার সংস্থার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অবরোধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন। সিরিয়া ও এর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে অবিলম্বে সব লেনদেন বন্ধ, আরব দেশগুলোতে সিরিয়ার সম্পদ জব্দ, সিরীয় কর্মকর্তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, দেশটির বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরব লিগ এই প্রথম কোনো দেশের ওপর এ ধরনের অবরোধ দিল।
আরব লিগের ২২ সদস্যের ১৯টিই অবরোধের পক্ষে ভোট দেয়। ইরাক ও লেবানন ভোটদানে বিরত থাকে। সিরিয়ার রপ্তানি পণ্যের ৫২ শতাংশেরও বেশি যায় ইরাকে।
উল্লেখ্য, বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমননীতির কারণে এ মাসের শুরুতে সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করে আরব লিগ। তবে আরব লিগের দাবি মেনে নেওয়া হলে অবরোধের সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আরব লিগের মহাসচিব নাবিল আল-আরাবি। আর আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জাসিম আল-থানি সিরিয়া সরকারকে হত্যাকাণ্ড বন্ধ, আটক বিক্ষোভকারীদের মুক্তি এবং শহরগুলো থেকে সেনা ট্যাংক সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে আরব লিগের অবরোধের প্রতিবাদে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ বেশ কয়েকটি শহরে গতকাল হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ করেছে। আসাদ সরকারের সমর্থনে স্লোগান দিয়েছে তারা। 'জনতা বাশার আল আসাদকে চায়', 'আমরা তোমার লোক বাশার' ইত্যাদি লেখা পোস্টার বহন করে তারা। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই বিক্ষোভের ছবি প্রচার করা হয়। আরব লিগের অবরোধকে 'সিরিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব ও আমেরিকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি উপায়' বলে মন্তব্য করা হয়। ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির পত্রিকা আল-বাথে বলা হয়, 'নিজেদের অবস্থানের জন্য আরব লিগ সিরিয়ার জনগণকে শাস্তি দিচ্ছে।'
রাশিয়ার রণতরীবহর : রাশিয়া আগামী বছরের শুরুতে সিরিয়ার তারতুস বন্দরে অবস্থিত নৌঘাঁটিতে যুদ্ধজাহাজের বহর পাঠাচ্ছে। রাশিয়ার দৈনিক ইজভেসতিয়া গতকাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। তারতুসের নৌঘাঁটি থেকেই এ বহরকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। রাশিয়ার একমাত্র সক্রিয় বিমানবাহী রণতরী অ্যাডমিরাল কুজনেতসভ এ বহরের নেতৃত্বে থাকবে। তবে রাশিয়ার চলমান সংকটের সঙ্গে নৌবহরের এ যাত্রার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান রাশিয়ার নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র। সূত্র : এএফপি, আল-জাজিরা।
আরব লিগের ২২ সদস্যের ১৯টিই অবরোধের পক্ষে ভোট দেয়। ইরাক ও লেবানন ভোটদানে বিরত থাকে। সিরিয়ার রপ্তানি পণ্যের ৫২ শতাংশেরও বেশি যায় ইরাকে।
উল্লেখ্য, বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমননীতির কারণে এ মাসের শুরুতে সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করে আরব লিগ। তবে আরব লিগের দাবি মেনে নেওয়া হলে অবরোধের সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আরব লিগের মহাসচিব নাবিল আল-আরাবি। আর আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জাসিম আল-থানি সিরিয়া সরকারকে হত্যাকাণ্ড বন্ধ, আটক বিক্ষোভকারীদের মুক্তি এবং শহরগুলো থেকে সেনা ট্যাংক সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে আরব লিগের অবরোধের প্রতিবাদে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ বেশ কয়েকটি শহরে গতকাল হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ করেছে। আসাদ সরকারের সমর্থনে স্লোগান দিয়েছে তারা। 'জনতা বাশার আল আসাদকে চায়', 'আমরা তোমার লোক বাশার' ইত্যাদি লেখা পোস্টার বহন করে তারা। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই বিক্ষোভের ছবি প্রচার করা হয়। আরব লিগের অবরোধকে 'সিরিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব ও আমেরিকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি উপায়' বলে মন্তব্য করা হয়। ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির পত্রিকা আল-বাথে বলা হয়, 'নিজেদের অবস্থানের জন্য আরব লিগ সিরিয়ার জনগণকে শাস্তি দিচ্ছে।'
রাশিয়ার রণতরীবহর : রাশিয়া আগামী বছরের শুরুতে সিরিয়ার তারতুস বন্দরে অবস্থিত নৌঘাঁটিতে যুদ্ধজাহাজের বহর পাঠাচ্ছে। রাশিয়ার দৈনিক ইজভেসতিয়া গতকাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। তারতুসের নৌঘাঁটি থেকেই এ বহরকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। রাশিয়ার একমাত্র সক্রিয় বিমানবাহী রণতরী অ্যাডমিরাল কুজনেতসভ এ বহরের নেতৃত্বে থাকবে। তবে রাশিয়ার চলমান সংকটের সঙ্গে নৌবহরের এ যাত্রার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান রাশিয়ার নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র। সূত্র : এএফপি, আল-জাজিরা।
No comments