ডন বুঝেছিলেন ৩২ বছর আগে!

মূল্যবোধ বদলাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে নৈতিকতাও'_আজ থেকে ৩২ বছর আগে এক সতীর্থকে লেখা একটি চিঠিতে ক্রিকেট নিয়ে এমনই এক শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। মহান যাঁরা তাঁরা সবাই নাকি কিছুটা দার্শনিক ধরনের হন। নিজেদের প্রজ্ঞা আর মেধা দিয়ে সময়ের আগেই যাচাই করে ফেলেন ভবিষ্যৎটাকে। ব্র্যাডম্যানও হয়তো করেছিলেন। নইলে কেমন করে লিখেছিলেন এমন সত্যি কথা! পাতানো ম্যাচ, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, স্পট


ফিঙ্ংি, জেল-জরিমানা একের পর এক ক্রিকেটে এসব 'অক্রিকেটীয়' ও অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো দেখে তাই প্রশ্ন জাগতেই পারে_কেমন করে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎটা এভাবে বলে দিয়েছিলেন স্যার ডন?
বছর দশেক আগে চিরতরে না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় এ প্রশ্নের উত্তর জানা আর সম্ভব নয়। তবে বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই প্রশ্নটা শোনা মাত্র লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যেত তাঁর। এমন তো তিনি চাননি। চাননি বলেই নিজের আন্দাজ করা ভয়ংকর এ শঙ্কার কথাটা দুনিয়াসুদ্ধ মানুষকে জানানওনি। শুধু খুব কাছের কিছু বন্ধু আর সতীর্থকে লেখা চিঠিতে মাঝে মাঝে জানিয়েছিলেন উদ্বেগের কথা। ক্রিকেট কিংবদন্তির লেখা এমন কিছু চিঠি নিয়েই গত পরশু এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় নিউ সাউথ ওয়েলসের বওরালে, ইন্টারন্যাশনাল হল অব ফেম গ্যালারিতে। এর মধ্যে যে চিঠিটা সবার মনোযোগ কেড়েছে সেটা ব্র্যাডম্যানের পেশাগত জীবনে সহকর্মী ও দারুণ ক্রিকেট অনুরাগী একজনকে লেখা। ১৯৭৯ সালে 'অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া' খেতাব পাওয়ার পর সেই সহকর্মীর দেওয়া অভিনন্দনবার্তার জবাবে ব্র্যাডম্যান জানিয়েছিলেন ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর এ শঙ্কার কথা, 'বন্ধু, আমি গত ৫০ বছর ধরে চেষ্টা করেছি এ খেলাটার সম্মান আর গৌরব ধরে রাখতে। এটা সহজ কাজ নয়, কারণ দুনিয়াটা বদলে যাচ্ছে। এমনকি ক্রিকেটেও যখন দেখি কোনো স্লিপ ছাড়া বাউন্ডারিতে ছয়জন ফিল্ডিং করছে তখন নিজেই বিস্মিত হয়ে যাই। মূল্যবোধ বদলাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে নৈতিকতাও। আমাদের ভাবনার জগৎটা তাই অন্য রকম হয়ে যাচ্ছে...।'
অন্য রকম যে হয়ে যাচ্ছে সেটা বেঁচে থাকতেই কিছুটা দেখে গিয়েছিলেন ডন। কিন্তু মূল্যবোধের চূড়ান্ত অধঃপতন সাম্প্রতিককালে, যখন নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে দেওয়ার কারণে আমরা জেল খাটতেও দেখছি অনেক ক্রিকেটারকে। স্বচক্ষে এটা দেখলে কি চিঠি লেখার ভাষাও হারিয়ে ফেলতেন না সর্বকালের সেরা এ ব্যাটসম্যান? ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.