সংশোধন হচ্ছে এডিপি
বৈদেশিক ঋণপ্রবাহে শ্লথগতির কারণে অর্থবছরের অর্ধেক শেষ হওয়ার আগেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এ লক্ষ্যে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে তাদের প্রস্তাব কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে। সংশোধিত এডিপিতে নতুন প্রকল্প গ্রহণের চেয়ে চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। তা ছাড়া আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনের জন্য গৃহীত
প্রকল্পগুলোকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) প্রণয়নের জন্য তৈরি করা নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকার আগামী জানুয়ারির মধ্যেই আরএডিপি চূড়ান্ত করতে চায়। গত বছর এডিপি সংশোধন করা হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দের শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য এবার সময় এক মাস এগিয়ে আনা হয়েছে বলে কমিশনের কর্মকর্তারা জানান।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, বৈদেশিক উৎস থেকে আশানুরূপ ঋণ না পাওয়ায় সরকার এডিপির আকার ছোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে এডিপিতে কম প্রয়োজনীয় প্রকল্প চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছে। প্রকল্প কাটছাঁট করে সরকারি অর্থ ও বিদেশি ঋণের সমন্বয় করে বাস্তবায়নের হার বাড়ানোর জন্য আগাম সংশোধনের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান। সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক ঋণ সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে আনা হতে পারে বলেও তাঁদের ধারণা। চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক সূত্র থেকে ১৮ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা পাওয়ার প্রত্যাশা করা হয়েছিল। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে বৈদেশিক ঋণ খরচ হয়েছে মাত্র এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে পাঠানো আরএডিপি নীতিমালায় বলা হয়েছে, সংশোধিত এডিপিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা শীর্ষক প্রকল্প এবং সফটওয়্যার ও আইসিটি খাতের প্রকল্প সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। চলতি অর্থবছরের মধ্যে শেষ হওয়া প্রকল্প ও বৈদেশিক ঋণ চুক্তি হওয়া প্রকল্প সংশোধিত এডিপিতে গুরুত্ব পাবে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল ধারণার আলোকে সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্প গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পের সংখ্যা সীমিত রাখা ও নতুন প্রকল্প নেওয়ার চেয়ে চলমান প্রকল্প শেষ করার ওপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। তবে নতুন প্রকল্প নিতে হলে অবশ্যই দেশজ সম্পদের সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করতে হবে। একই সঙ্গে অনুমোদনহীন প্রকল্পের ডিপিপি ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থ বরাদ্দ প্রদানের নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যে অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকা প্রণয়ন করেছে, তা বিবেচনায় রেখে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। চলতি বছরে শেষ করার জন্য নির্ধারিত প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি ধীরগতিসম্পন্ন প্রকল্পের অর্থ কেটে দ্রুত বাস্তবায়ন গতিসম্পন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ ছাড়া আঞ্চলিক বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে নেওয়া প্রকল্পগুলোতে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, বৈদেশিক উৎস থেকে আশানুরূপ ঋণ না পাওয়ায় সরকার এডিপির আকার ছোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে এডিপিতে কম প্রয়োজনীয় প্রকল্প চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছে। প্রকল্প কাটছাঁট করে সরকারি অর্থ ও বিদেশি ঋণের সমন্বয় করে বাস্তবায়নের হার বাড়ানোর জন্য আগাম সংশোধনের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান। সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক ঋণ সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে আনা হতে পারে বলেও তাঁদের ধারণা। চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক সূত্র থেকে ১৮ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা পাওয়ার প্রত্যাশা করা হয়েছিল। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে বৈদেশিক ঋণ খরচ হয়েছে মাত্র এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে পাঠানো আরএডিপি নীতিমালায় বলা হয়েছে, সংশোধিত এডিপিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা শীর্ষক প্রকল্প এবং সফটওয়্যার ও আইসিটি খাতের প্রকল্প সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। চলতি অর্থবছরের মধ্যে শেষ হওয়া প্রকল্প ও বৈদেশিক ঋণ চুক্তি হওয়া প্রকল্প সংশোধিত এডিপিতে গুরুত্ব পাবে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল ধারণার আলোকে সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্প গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পের সংখ্যা সীমিত রাখা ও নতুন প্রকল্প নেওয়ার চেয়ে চলমান প্রকল্প শেষ করার ওপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। তবে নতুন প্রকল্প নিতে হলে অবশ্যই দেশজ সম্পদের সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করতে হবে। একই সঙ্গে অনুমোদনহীন প্রকল্পের ডিপিপি ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থ বরাদ্দ প্রদানের নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যে অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকা প্রণয়ন করেছে, তা বিবেচনায় রেখে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। চলতি বছরে শেষ করার জন্য নির্ধারিত প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি ধীরগতিসম্পন্ন প্রকল্পের অর্থ কেটে দ্রুত বাস্তবায়ন গতিসম্পন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ ছাড়া আঞ্চলিক বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে নেওয়া প্রকল্পগুলোতে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে।
No comments