অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার পথে ১০ হাজার যাত্রী by গোলাম আজম খান
বঙ্গোপসাগরের সীতারদ্বীপ এলাকায় নোঙর করে আছে ২০টির বেশি কার্গোজাহাজ। এসব জাহাজে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ অপেক্ষা করছে। এদের বেশির ভাগের বাড়ি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে। সেন্টমার্টিনের ৩০-৩৫ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সীতারদ্বীপটির অবস্থান। এই সীতারদ্বীপ এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করে ফেরত যাওয়া প্রায় ২০টি কার্গো জাহাজে করে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া পাড়ি জমাতে জড়ো করা হয়েছে ১০ সহস্রাধিক যাত্রী।
এসব জাহাজে টেকনাফ উপকূলীয় এলাকার কয়েকটি ঘাট ছাড়াও মহেশখালী এবং চট্টগ্রাম হয়ে ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত বোটে তুলে নেয়া হয়। জাহাজগুলোতে শুধু বাংলাদেশী নয়, মিয়ানমারেরও বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে।
চকরিয়া ডুলহাজারা মালুমঘাট এলাকার একটি জাহাজ হতে কৌশলে টেকনাফ ফিরে আসা যুবক রহমত উল্লাহ গতকাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
রহমত উল্লাহ আরো জানান, ১০-১২ দিন আগে চকরিয়া মালুমঘাট এলাকা থেকে দিনমজুরি কাজ করতে তিনি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং এলাকায় আসেন। গত ১৪ নভেম্বর কাজ শেষ করে সন্ধ্যায় সাবরাং বাজারে এলে স্থানীয় দালালের হাতে অপহৃত হন তিনি। ওইদিন রাতে একটি ছোট নৌকায় তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। একই রাতে সেখানে আরো প্রায় ৪০ জনকে আনা হয়। নৌকায় চেচামেচি করলে দালালরা তাদের কিলঘুষি দেয়। ওই অজ্ঞাত স্থান থেকে তাদের নেয়া হয় মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি সীতা পাহাড় এলাকায়। এরপর থেকে তাদের সেখানেই রাখা হয়। প্রতিদিন তাদের দুই বেলা ভাত, ছোলার ডাল আর আলু খেতে দেয়া হতো।
রহমত উল্লাহ জানান, সীতা পাহাড় এলাকা থেকে দালালরা আটককৃতদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতো। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেয়া হবে বলে জানায় দালালরা।
তিনি বলেন, তার চাচাতো ভাই আমান চুক্তি অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা নিয়ে সোমবার বিকেলে টেকনাফ নয়াপাড়া বাজার এলাকায় গিয়ে ধরে ফেলেন টাকা নিতে আসা দালালকে। পরে মঙ্গলবারের মধ্যে তাকে (রহমত উল্লাহ) ফেরত দেয়ার শর্তে ওই দালালকে ছেড়ে দেয়া হয়। সোমবার রাতে ৩৫ যাত্রী নিয়ে গভীর সাগরে ভাসমান ট্রলারে আসে ছোট নৌকা। ওই নৌকায় মঙ্গলবার দুপুরে কাটাবনিয়া ঘাটে নামিয়ে দেয়া হয় রহমত উল্লাহকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানবপাচারে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড নিয়ে গড়ে উঠেছে চার দেশীয় শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের গডফাদারদের অধীনে কাজ করছে অজস্র দালাল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সেসব দালাল অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে মালয়েশিয়া যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে কক্সবাজার অঞ্চলে জড়ো করছে। তারা জানে না কাদের মাধ্যমে বা কোন পথে তাদের মালয়েশিয়া যাত্রা। তারা শুধু জানে যাত্রাপথ যতই দুর্গম হোক মালয়েশিয়ায় তারা পৌঁছবে।
অবৈধপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ও মালয়েশিয়ায় পৌঁছে পুলিশের হাতে আটকের পর বন্দিজীবন কাটিয়ে দেশে আসা কক্সবাজার অঞ্চলের অনেকের বক্তব্য এখন মুখে মুখে। মালয়েশিয়ার জেল ছাড়াও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন জঙ্গলের বন্দিশিবিরে অনেক বাংলাদেশী মানবেতর জীবন যাপন করছে। এসব বন্দিশিবিরে দিনের পর দিন আটক থেকে অনেকেই মারা গেছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের নাজিরার টেক, পেশকারপাড়া, টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ, বাহারছড়া ও উখিয়ার উপকূল সাগর পথ মালয়েশিয়াগামীদের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে দালাল চক্র। গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে শতাধিক দালালের তালিকা থাকলেও তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। যার ফলে মালয়েশিয়া আদম পাচারকারী চক্র দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
এসব জাহাজে টেকনাফ উপকূলীয় এলাকার কয়েকটি ঘাট ছাড়াও মহেশখালী এবং চট্টগ্রাম হয়ে ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত বোটে তুলে নেয়া হয়। জাহাজগুলোতে শুধু বাংলাদেশী নয়, মিয়ানমারেরও বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে।
চকরিয়া ডুলহাজারা মালুমঘাট এলাকার একটি জাহাজ হতে কৌশলে টেকনাফ ফিরে আসা যুবক রহমত উল্লাহ গতকাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
রহমত উল্লাহ আরো জানান, ১০-১২ দিন আগে চকরিয়া মালুমঘাট এলাকা থেকে দিনমজুরি কাজ করতে তিনি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং এলাকায় আসেন। গত ১৪ নভেম্বর কাজ শেষ করে সন্ধ্যায় সাবরাং বাজারে এলে স্থানীয় দালালের হাতে অপহৃত হন তিনি। ওইদিন রাতে একটি ছোট নৌকায় তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। একই রাতে সেখানে আরো প্রায় ৪০ জনকে আনা হয়। নৌকায় চেচামেচি করলে দালালরা তাদের কিলঘুষি দেয়। ওই অজ্ঞাত স্থান থেকে তাদের নেয়া হয় মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি সীতা পাহাড় এলাকায়। এরপর থেকে তাদের সেখানেই রাখা হয়। প্রতিদিন তাদের দুই বেলা ভাত, ছোলার ডাল আর আলু খেতে দেয়া হতো।
রহমত উল্লাহ জানান, সীতা পাহাড় এলাকা থেকে দালালরা আটককৃতদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতো। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেয়া হবে বলে জানায় দালালরা।
তিনি বলেন, তার চাচাতো ভাই আমান চুক্তি অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা নিয়ে সোমবার বিকেলে টেকনাফ নয়াপাড়া বাজার এলাকায় গিয়ে ধরে ফেলেন টাকা নিতে আসা দালালকে। পরে মঙ্গলবারের মধ্যে তাকে (রহমত উল্লাহ) ফেরত দেয়ার শর্তে ওই দালালকে ছেড়ে দেয়া হয়। সোমবার রাতে ৩৫ যাত্রী নিয়ে গভীর সাগরে ভাসমান ট্রলারে আসে ছোট নৌকা। ওই নৌকায় মঙ্গলবার দুপুরে কাটাবনিয়া ঘাটে নামিয়ে দেয়া হয় রহমত উল্লাহকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানবপাচারে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড নিয়ে গড়ে উঠেছে চার দেশীয় শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের গডফাদারদের অধীনে কাজ করছে অজস্র দালাল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সেসব দালাল অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে মালয়েশিয়া যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে কক্সবাজার অঞ্চলে জড়ো করছে। তারা জানে না কাদের মাধ্যমে বা কোন পথে তাদের মালয়েশিয়া যাত্রা। তারা শুধু জানে যাত্রাপথ যতই দুর্গম হোক মালয়েশিয়ায় তারা পৌঁছবে।
অবৈধপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ও মালয়েশিয়ায় পৌঁছে পুলিশের হাতে আটকের পর বন্দিজীবন কাটিয়ে দেশে আসা কক্সবাজার অঞ্চলের অনেকের বক্তব্য এখন মুখে মুখে। মালয়েশিয়ার জেল ছাড়াও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন জঙ্গলের বন্দিশিবিরে অনেক বাংলাদেশী মানবেতর জীবন যাপন করছে। এসব বন্দিশিবিরে দিনের পর দিন আটক থেকে অনেকেই মারা গেছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের নাজিরার টেক, পেশকারপাড়া, টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ, বাহারছড়া ও উখিয়ার উপকূল সাগর পথ মালয়েশিয়াগামীদের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে দালাল চক্র। গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে শতাধিক দালালের তালিকা থাকলেও তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। যার ফলে মালয়েশিয়া আদম পাচারকারী চক্র দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
No comments