মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সনদ নিয়েছেন মাহবুব!
শুধু অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই এলজিইডির সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন। প্রকৃত তথ্য গোপন করে ব্যবসায়ী পরিচয়ে এ সনদ নেয়ায় পরে তা বাতিল করে দেয়া হয়। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় তিনি সনদ পেতে সক্ষম হন। তার এই মুক্তিযোদ্ধা সনদকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর গোপনীয় প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দেয়া এ প্রতিবেদনের এক স্থানে বলা হয়, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে ২০১০ সালের ২২ ফেব্র“য়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র নেন। কিন্তু চাকরির মূল পরিচয় গোপন করায় ওই বছর ১৩ এপ্রিল তার মুক্তিযোদ্ধা সনদটি বাতিল করা হয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বর্ধিত সময় চাকরি করার সুযোগ নেয়ার জন্য তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ ফিরে পেতে চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গত বছর ২০ নভেম্বর পুনরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিতে সক্ষম হন। তবে স্থানীয়ভাবে খুলনা আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাহবুবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। স্থানীয়ভাবে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়া হয়নি।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান দ্বিতীয় দফায় সাময়িক সনদপত্র গ্রহণ করায় তা চ্যালেঞ্জ করে শেরপুরের ঝিনাইগাতির জনৈক মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহ হাইকোর্টে রিট করেন। ২০ জুলাই এ রিটের শুনানিতে আদালত রুলনিশি জারি করেন। রিট পিটিশনটি বিচারাধীন রয়েছে।
এ প্রতিবেদনে মাহবুবুর রহমান সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি সুবিধাবাদী রাজনৈতিক মানসিকতার লোক। একসময় বিএনপি-সমর্থিত পেশাজীবী সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এইবি) সহসভাপতি ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। উচ্চপর্যায়ের এ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে মন্তব্যের কলামে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র নেয়ার ক্ষেত্রে তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রতীয়মান হয়। শুধু চাকরির বয়স বৃদ্ধির সুবিধা নেয়ার জন্য তিনি চাকরির শেষ জীবনে এসে এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তবে তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে একাধিক রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকায় এবং নতুন করে কোনো মামলার উদ্ভব হলে পরে আইনের মারপেঁচে তার অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
এ ছাড়া প্রতিবেদনের শেষদিকে বলা হয়, মাহবুবুর রহমানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান যে অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এলজিইডির সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গেছে। আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমার মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া কিনা তা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন। আসলে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর গোপনীয় প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দেয়া এ প্রতিবেদনের এক স্থানে বলা হয়, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে ২০১০ সালের ২২ ফেব্র“য়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র নেন। কিন্তু চাকরির মূল পরিচয় গোপন করায় ওই বছর ১৩ এপ্রিল তার মুক্তিযোদ্ধা সনদটি বাতিল করা হয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বর্ধিত সময় চাকরি করার সুযোগ নেয়ার জন্য তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ ফিরে পেতে চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গত বছর ২০ নভেম্বর পুনরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিতে সক্ষম হন। তবে স্থানীয়ভাবে খুলনা আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাহবুবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। স্থানীয়ভাবে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়া হয়নি।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান দ্বিতীয় দফায় সাময়িক সনদপত্র গ্রহণ করায় তা চ্যালেঞ্জ করে শেরপুরের ঝিনাইগাতির জনৈক মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহ হাইকোর্টে রিট করেন। ২০ জুলাই এ রিটের শুনানিতে আদালত রুলনিশি জারি করেন। রিট পিটিশনটি বিচারাধীন রয়েছে।
এ প্রতিবেদনে মাহবুবুর রহমান সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি সুবিধাবাদী রাজনৈতিক মানসিকতার লোক। একসময় বিএনপি-সমর্থিত পেশাজীবী সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এইবি) সহসভাপতি ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। উচ্চপর্যায়ের এ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে মন্তব্যের কলামে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র নেয়ার ক্ষেত্রে তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রতীয়মান হয়। শুধু চাকরির বয়স বৃদ্ধির সুবিধা নেয়ার জন্য তিনি চাকরির শেষ জীবনে এসে এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তবে তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে একাধিক রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকায় এবং নতুন করে কোনো মামলার উদ্ভব হলে পরে আইনের মারপেঁচে তার অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
এ ছাড়া প্রতিবেদনের শেষদিকে বলা হয়, মাহবুবুর রহমানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান যে অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এলজিইডির সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গেছে। আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমার মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া কিনা তা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন। আসলে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
No comments