জঙ্গি-সন্ত্রাসীর তালিকা বিনিময় দুই দেশের
জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দুটি তালিকা বিনিময় করা হয়েছে। ভারত সে দেশে লুকিয়ে থাকা ১১ জঙ্গির একটি তালিকা বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ১০ জঙ্গি ও ৪১ সন্ত্রাসীর তালিকা দেয়া হয়েছে। তালিকা ধরে সন্দেহভাজন জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করবে দুই দেশ। এ লক্ষ্যে দুই দেশ নিবিড় যোগাযোগ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভারতের দেয়া তথ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনীর তথ্যের অনেক গরমিল রয়েছে বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে। ২ অক্টোবর ভারতের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ সফর করছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) ৪ সদস্য। সফররত ভারতীয় গোয়েন্দা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বৈঠক করছে। মঙ্গলবার পুলিশ, র্যাব ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরে বৈঠক করেছে তারা।
এনআইএ মহাপরিচালক শারদ কুমারের নেতৃত্বে চার সদস্যের দলটি মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় পুলিশ সদর দফতরে যায়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংস্থাটির উপ-মহাপরিদর্শক সজীব ফরিদ, আইজি (তদন্ত) সঞ্জীব কুমার সিং ও ডিআইজি (তদন্ত) অনুরাগ তানখা। তারা বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে পুলিশ সদর দফতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে অংশ নেয়া বাংলাদেশের ছয় সদস্যের কমিটির নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। পুলিশ সদর দফতরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থানের পর এনআইএ প্রতিনিধি দলটি সরাসরি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দফতরে যায়। সেখানে তারা র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
এর আগে সোমবার ঢাকা পৌঁছার পর এনআইএর প্রতিনিধি দলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করে। ভারতীয় জাতীয় তদন্ত সংস্থাকে সহায়তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ভারতীয় গোয়েন্দা প্রতিনিধি দল মোট ১১ ব্যক্তির নামের তালিকা বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এদের সবাইকে সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
এদের মধ্যে ত্রিশালে ছিনতাইকৃত তিন জঙ্গির মধ্যে সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান রয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব জঙ্গি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদীনসহ (জেএমবি) বিভিন্ন জঙ্গি ও উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্য। তাদের ধারনা, এরা ভারতে আÍগোপন করে আছে। এদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। তালিকার সঙ্গে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের নাম, বয়স, সম্ভাব্য অবস্থান, ছবি ও প্রতিকৃতিও (স্কেচ) দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি তালিকা ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে দেয়া হয়েছে। এই তালিকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত ৫১ সন্দেহভাজনের নাম রয়েছে। এদের সবাই ভারতে পলাতক। এই তালিকার মধ্যে ১০ জন জেএমবি ও হুজিবি সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ২ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ও একজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া জেএমবি সদস্য। চারজন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি) সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, এদের সবাই ভারতে আত্মগোপন করে জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে কিছু জঙ্গি জেল থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। জেল পলাতক এসব জঙ্গি ভারতে আত্মগোপন করেছে। এসব জঙ্গিকে গ্রেফতারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের দেয়া তালিকার সঙ্গে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট) পাঠাতে বলা হয়েছে। র্যাব জানিয়েছে, তালিকার সঙ্গে ফিঙ্গার প্রিন্ট পাওয়া গেলে এসব জঙ্গি সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। কারণ র্যাবের কাছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার রয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, ভারতের বর্ধমান বিস্ফোরণ ঘটনার মূলহোতা বাংলাদেশের জেএমবি সদস্য সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান। আর মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশের আরেক জেএমবি নেতা মাওলানা ফারুক হোসেন। বর্ধমান বিস্ফোরণের পর গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এনআইএ এ তিনজনের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দু’জনসহ তিনজনকে চলতি বছরের ফেব্র“য়ারির শেষদিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশ হত্যা করে ছিনিয়ে নেয় তাদের সহযোগীরা। তখন থেকেই সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজানকেও হন্নে হয়ে খুঁজছে বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনী।
বর্ধমান বিস্ফোরণের পর বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড এ তিনজনের নাম পেলেও তাদের অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাচ্ছে না ভারতের তদন্ত সংস্থাগুলো। সফররত ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) মোস্ট ওয়ান্টেড ওই তিন জঙ্গির অবস্থান ও তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর এনআইএ কর্মকর্তারা সন্দেহভাজনদের যে তালিকা দিয়েছেন, তাতেও সানি, মিজান ও ফারুকের নাম রয়েছে। বাংলাদেশের তদন্ত সংস্থাগুলোও তাদের খুঁজছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, বর্ধমান বিস্ফোরণের পর ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ’র হাতে গ্রেফতার হওয়া শেখ রহমতুল্লাহ ওরফে সাজিদ যে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের মাসুম, সে বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত হতে পেরেছে। তবে বাংলাদেশের দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে হত্যায় জঙ্গি ষড়যন্ত্রের বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমে এলেও ঢাকা সফররত এনআইএ প্রতিনিধিরা এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দেননি।
ভারতের তালিকা : ভারতীয় গোয়েন্দাদের দেয়া তালিকার প্রথমে কাউসার নামের একজন সন্দেহভাজন জঙ্গির নাম রয়েছে। তার সম্ভাব্য অবস্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরে। তালিকার সঙ্গে কাউসারের একটি প্রতিকৃতিও দেয়া হয়েছে। র্যাব জানিয়েছে, এই কাউসারই সম্ভবত কুখ্যাত জঙ্গি বোমারু মিজান। সে জেএমবির বোমা বিশেষজ্ঞ দলের নেতা। গত বছর ২০ এপ্রিল পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেয়া জঙ্গিদের অন্যতম এ বোমারু মিজান।
তালিকার দ্বিতীয় নামটি হচ্ছে মাওলানা ইউসুফ শেখ ওরফে বাক্কার মোহাম্মদ ইউসুফ। তার সম্ভাব্য অবস্থান বর্ধমান জেলার মোঙ্গলকোট থানার কেস্টোবাতি গ্রাম। এর পরে আছে তালহা শেখ ওরফে জয়নাল আবেদীন শেখ। তার সম্ভাব্য অবস্থান বীরভূমের কীরানহার। এর পরে আছে রেজাউল করিম। তার বাবার নাম আবদুল লতিব। তার সম্ভাব্য অবস্থান মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের কোদারামপুরে। পঞ্চম নাম আমজাদ আলী শেখ ওরফে কাজল। বাবার নাম শুকুর শেখ। সম্ভাব্য অবস্থান বীরভূমের কীরানহার কাজী মার্কেট। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দেয়া তালিকায় ষষ্ঠ নাম আবুল কালাম ওরফে আজাদ। বাবার নাম শওকত আলী শেখ। তার সম্ভাব্য অবস্থান বর্ধমানের মোঙ্গলকোট। সপ্তম নামটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ- নাসিরুল্লাহ। র্যাবের ধারণা এই নাসিরুল্লাহ হচ্ছে জেএমবি প্রধান সোহেল মাহফুজ। সে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে পলাতক। সোহেল মাহফুজ বর্তমানে পলাতক অবস্থায় জেএমবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করছে। তালিকার পরের নামগুলো হচ্ছে শাহেনূর আলম ওরফে ডাক্তার, বাবা : মজিবুর রহমান। বুরহান শেখ, বাবা আবদুর রহমান শেখ। হাবিবুর রহমান শেখ, বাবা মন্টু শেখ এবং জহিরুল শেখ বাবা জয়েদ আলী শেখ।
বাংলাদেশের তালিকা : বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মোট ৫১ জনের নামের দুটি তালিকা ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এই প্রথম ১০ জন কুখ্যাত পলাতক জঙ্গির একটি তালিকা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে দেয়া হল। এই ১০ জঙ্গির মধ্যে ৬ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া। এদের মধ্যে ২ জন জেএমবি সদস্য। তারা হলেন- সালাউদ্দীন ওরফে শালেহীন ওরফে সজীব, বাবা রফিকুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। অপরজন হলেন আবু সাঈদ শেখ ওরফে হুসাইন। বাবার নাম শহিদুল্লাহ শেখ। তার গ্রামের কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শ্রীকোল। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া পলাতক ৪ হুজি সদস্য হল মাওলানা তাজ উদ্দীন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি শফিকুর রহমান ও মুফতি আবদুল হাই। এ ছাড়া হস্তান্তরকৃত তালিকায় জেএমবির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জাহেদুল ইসলাম সুজন ওরফে বোমারু মিজান ওরফে হারুন ওরফে কামরুলের নাম রয়েছে।
এছাড়া ভারতে পলাতক ৪১ জন সন্ত্রাসীর একটি পৃথক তালিকাও র্যাবের পক্ষ থেকে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে দেয়া হয়েছে। এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহদাৎ হোসেন, মুকুল ওরফে আমিনুল ইসলাম মুকুল, শাহীন ওরফে রুমী, নরোত্তম সাহা ওরফে আশিক ওরফে রবিন ওরফে আশিষ, জিসান ওরফে নয়াটোলার জিসান ওরফে মন্টু, শাহীন শিকদার, খন্দকার তানভীর ইসলাম ওরফে জয়, নবীন হোসেন ওরফে নবী, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু, কালু, আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন, অমল কৃষ্ণ মণ্ডল, তৌফিকুল আলম খান ওরফে তৌফিক আলম ওরফে পিয়াল খান, মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন, সুনিল কান্তি দে, দৌতম চন্দ্র শীলাল ওরফে গৌতম, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, মোল্লা মাসুদ, শামীম আহমেদ ওরফে আগা শামীম, চপল, মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মুকুল, বাবু ওরফে মিরপুর বাবু, মিন্টু, আতাউর রহমান ওরফে আতা, হারিছ আহম্মেদ, হালিম, জাফর আহম্মেদ ওরফে মানিক, কালা চাঁন ওরফে চাঁন, মিনহাজ উদ্দীন ওরফে দুখু, এনামুল হক ওরফে এনা, সিদ্দিক, তৈয়ব ওরফে আবু তৈয়ব ওরফে এইচএম আবু তৈয়ব, মোর্শেদ খান, নূরুল আলম ওরফে এতিম আলম, রাজিব দত্ত ওরফে রিংকু, সাজ্জাদ খান, শহিদুল ইসলাম ওরফে সুব ওরফে সব্বা, বিকাশ কুমার বিশ্বাস, ইব্রাহিম খলিল, সামাদ মোল্লা ওরফে সামাদ মেম্বার ওরফে আজিজ কমান্ডার, ত্রিমতি সুব্রত বাইন ওরফে সুভ্র ওরফে ফতেহ আলী।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে এর আগেও ভারতে অবস্থানকারী সন্ত্রাসীদের তালিকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেফতারে কোনো উদ্যোগ ভারতের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি।
জানতে চাইলে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান যুগান্তরকে বলেন, ভারতের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের পরপরই সম্ভাব্য জঙ্গিদের বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে তথ্য দেয়া হয়েছিল। এছাড়া ভারতে পলাতক বাংলাদেশী জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিষয়ে একাধিকবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওপেন সোর্স থেকে অনেক সময় অনেক তথ্য পাওয়া যায়। তবে এগুলো তথ্য-প্রমাণ ছাড়া কোনো সংস্থা বলতে পারে না। সফররত ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার প্রতিনিধিদল সোমবার বাংলাদেশে আসার পর বাংলাদেশে জঙ্গি বিষয়ে কাজ করা র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।’
তিনি বলেন, এনআইএ প্রতিনিধিরা অনেক তথ্য দিচ্ছেন, আবার আমাদের কাছ থেকেও জানতে চাচ্ছেন। তবে এনআইএর দেয়া তথ্যের সঙ্গে আমাদের তথ্যের অনেক গরমিল রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভারতের দেয়া তথ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনীর তথ্যের অনেক গরমিল রয়েছে বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে। ২ অক্টোবর ভারতের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ সফর করছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) ৪ সদস্য। সফররত ভারতীয় গোয়েন্দা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বৈঠক করছে। মঙ্গলবার পুলিশ, র্যাব ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরে বৈঠক করেছে তারা।
এনআইএ মহাপরিচালক শারদ কুমারের নেতৃত্বে চার সদস্যের দলটি মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় পুলিশ সদর দফতরে যায়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংস্থাটির উপ-মহাপরিদর্শক সজীব ফরিদ, আইজি (তদন্ত) সঞ্জীব কুমার সিং ও ডিআইজি (তদন্ত) অনুরাগ তানখা। তারা বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে পুলিশ সদর দফতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে অংশ নেয়া বাংলাদেশের ছয় সদস্যের কমিটির নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। পুলিশ সদর দফতরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থানের পর এনআইএ প্রতিনিধি দলটি সরাসরি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দফতরে যায়। সেখানে তারা র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
এর আগে সোমবার ঢাকা পৌঁছার পর এনআইএর প্রতিনিধি দলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করে। ভারতীয় জাতীয় তদন্ত সংস্থাকে সহায়তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ভারতীয় গোয়েন্দা প্রতিনিধি দল মোট ১১ ব্যক্তির নামের তালিকা বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এদের সবাইকে সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
এদের মধ্যে ত্রিশালে ছিনতাইকৃত তিন জঙ্গির মধ্যে সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান রয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব জঙ্গি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদীনসহ (জেএমবি) বিভিন্ন জঙ্গি ও উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্য। তাদের ধারনা, এরা ভারতে আÍগোপন করে আছে। এদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। তালিকার সঙ্গে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের নাম, বয়স, সম্ভাব্য অবস্থান, ছবি ও প্রতিকৃতিও (স্কেচ) দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি তালিকা ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে দেয়া হয়েছে। এই তালিকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত ৫১ সন্দেহভাজনের নাম রয়েছে। এদের সবাই ভারতে পলাতক। এই তালিকার মধ্যে ১০ জন জেএমবি ও হুজিবি সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ২ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ও একজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া জেএমবি সদস্য। চারজন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি) সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, এদের সবাই ভারতে আত্মগোপন করে জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে কিছু জঙ্গি জেল থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। জেল পলাতক এসব জঙ্গি ভারতে আত্মগোপন করেছে। এসব জঙ্গিকে গ্রেফতারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের দেয়া তালিকার সঙ্গে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট) পাঠাতে বলা হয়েছে। র্যাব জানিয়েছে, তালিকার সঙ্গে ফিঙ্গার প্রিন্ট পাওয়া গেলে এসব জঙ্গি সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। কারণ র্যাবের কাছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার রয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, ভারতের বর্ধমান বিস্ফোরণ ঘটনার মূলহোতা বাংলাদেশের জেএমবি সদস্য সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান। আর মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশের আরেক জেএমবি নেতা মাওলানা ফারুক হোসেন। বর্ধমান বিস্ফোরণের পর গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এনআইএ এ তিনজনের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দু’জনসহ তিনজনকে চলতি বছরের ফেব্র“য়ারির শেষদিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশ হত্যা করে ছিনিয়ে নেয় তাদের সহযোগীরা। তখন থেকেই সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজানকেও হন্নে হয়ে খুঁজছে বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনী।
বর্ধমান বিস্ফোরণের পর বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড এ তিনজনের নাম পেলেও তাদের অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাচ্ছে না ভারতের তদন্ত সংস্থাগুলো। সফররত ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) মোস্ট ওয়ান্টেড ওই তিন জঙ্গির অবস্থান ও তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর এনআইএ কর্মকর্তারা সন্দেহভাজনদের যে তালিকা দিয়েছেন, তাতেও সানি, মিজান ও ফারুকের নাম রয়েছে। বাংলাদেশের তদন্ত সংস্থাগুলোও তাদের খুঁজছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, বর্ধমান বিস্ফোরণের পর ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ’র হাতে গ্রেফতার হওয়া শেখ রহমতুল্লাহ ওরফে সাজিদ যে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের মাসুম, সে বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত হতে পেরেছে। তবে বাংলাদেশের দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে হত্যায় জঙ্গি ষড়যন্ত্রের বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমে এলেও ঢাকা সফররত এনআইএ প্রতিনিধিরা এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দেননি।
ভারতের তালিকা : ভারতীয় গোয়েন্দাদের দেয়া তালিকার প্রথমে কাউসার নামের একজন সন্দেহভাজন জঙ্গির নাম রয়েছে। তার সম্ভাব্য অবস্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরে। তালিকার সঙ্গে কাউসারের একটি প্রতিকৃতিও দেয়া হয়েছে। র্যাব জানিয়েছে, এই কাউসারই সম্ভবত কুখ্যাত জঙ্গি বোমারু মিজান। সে জেএমবির বোমা বিশেষজ্ঞ দলের নেতা। গত বছর ২০ এপ্রিল পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেয়া জঙ্গিদের অন্যতম এ বোমারু মিজান।
তালিকার দ্বিতীয় নামটি হচ্ছে মাওলানা ইউসুফ শেখ ওরফে বাক্কার মোহাম্মদ ইউসুফ। তার সম্ভাব্য অবস্থান বর্ধমান জেলার মোঙ্গলকোট থানার কেস্টোবাতি গ্রাম। এর পরে আছে তালহা শেখ ওরফে জয়নাল আবেদীন শেখ। তার সম্ভাব্য অবস্থান বীরভূমের কীরানহার। এর পরে আছে রেজাউল করিম। তার বাবার নাম আবদুল লতিব। তার সম্ভাব্য অবস্থান মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের কোদারামপুরে। পঞ্চম নাম আমজাদ আলী শেখ ওরফে কাজল। বাবার নাম শুকুর শেখ। সম্ভাব্য অবস্থান বীরভূমের কীরানহার কাজী মার্কেট। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দেয়া তালিকায় ষষ্ঠ নাম আবুল কালাম ওরফে আজাদ। বাবার নাম শওকত আলী শেখ। তার সম্ভাব্য অবস্থান বর্ধমানের মোঙ্গলকোট। সপ্তম নামটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ- নাসিরুল্লাহ। র্যাবের ধারণা এই নাসিরুল্লাহ হচ্ছে জেএমবি প্রধান সোহেল মাহফুজ। সে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে পলাতক। সোহেল মাহফুজ বর্তমানে পলাতক অবস্থায় জেএমবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করছে। তালিকার পরের নামগুলো হচ্ছে শাহেনূর আলম ওরফে ডাক্তার, বাবা : মজিবুর রহমান। বুরহান শেখ, বাবা আবদুর রহমান শেখ। হাবিবুর রহমান শেখ, বাবা মন্টু শেখ এবং জহিরুল শেখ বাবা জয়েদ আলী শেখ।
বাংলাদেশের তালিকা : বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মোট ৫১ জনের নামের দুটি তালিকা ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এই প্রথম ১০ জন কুখ্যাত পলাতক জঙ্গির একটি তালিকা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে দেয়া হল। এই ১০ জঙ্গির মধ্যে ৬ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া। এদের মধ্যে ২ জন জেএমবি সদস্য। তারা হলেন- সালাউদ্দীন ওরফে শালেহীন ওরফে সজীব, বাবা রফিকুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। অপরজন হলেন আবু সাঈদ শেখ ওরফে হুসাইন। বাবার নাম শহিদুল্লাহ শেখ। তার গ্রামের কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শ্রীকোল। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া পলাতক ৪ হুজি সদস্য হল মাওলানা তাজ উদ্দীন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি শফিকুর রহমান ও মুফতি আবদুল হাই। এ ছাড়া হস্তান্তরকৃত তালিকায় জেএমবির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জাহেদুল ইসলাম সুজন ওরফে বোমারু মিজান ওরফে হারুন ওরফে কামরুলের নাম রয়েছে।
এছাড়া ভারতে পলাতক ৪১ জন সন্ত্রাসীর একটি পৃথক তালিকাও র্যাবের পক্ষ থেকে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে দেয়া হয়েছে। এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহদাৎ হোসেন, মুকুল ওরফে আমিনুল ইসলাম মুকুল, শাহীন ওরফে রুমী, নরোত্তম সাহা ওরফে আশিক ওরফে রবিন ওরফে আশিষ, জিসান ওরফে নয়াটোলার জিসান ওরফে মন্টু, শাহীন শিকদার, খন্দকার তানভীর ইসলাম ওরফে জয়, নবীন হোসেন ওরফে নবী, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু, কালু, আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন, অমল কৃষ্ণ মণ্ডল, তৌফিকুল আলম খান ওরফে তৌফিক আলম ওরফে পিয়াল খান, মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন, সুনিল কান্তি দে, দৌতম চন্দ্র শীলাল ওরফে গৌতম, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, মোল্লা মাসুদ, শামীম আহমেদ ওরফে আগা শামীম, চপল, মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মুকুল, বাবু ওরফে মিরপুর বাবু, মিন্টু, আতাউর রহমান ওরফে আতা, হারিছ আহম্মেদ, হালিম, জাফর আহম্মেদ ওরফে মানিক, কালা চাঁন ওরফে চাঁন, মিনহাজ উদ্দীন ওরফে দুখু, এনামুল হক ওরফে এনা, সিদ্দিক, তৈয়ব ওরফে আবু তৈয়ব ওরফে এইচএম আবু তৈয়ব, মোর্শেদ খান, নূরুল আলম ওরফে এতিম আলম, রাজিব দত্ত ওরফে রিংকু, সাজ্জাদ খান, শহিদুল ইসলাম ওরফে সুব ওরফে সব্বা, বিকাশ কুমার বিশ্বাস, ইব্রাহিম খলিল, সামাদ মোল্লা ওরফে সামাদ মেম্বার ওরফে আজিজ কমান্ডার, ত্রিমতি সুব্রত বাইন ওরফে সুভ্র ওরফে ফতেহ আলী।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে এর আগেও ভারতে অবস্থানকারী সন্ত্রাসীদের তালিকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেফতারে কোনো উদ্যোগ ভারতের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি।
জানতে চাইলে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান যুগান্তরকে বলেন, ভারতের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের পরপরই সম্ভাব্য জঙ্গিদের বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে তথ্য দেয়া হয়েছিল। এছাড়া ভারতে পলাতক বাংলাদেশী জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিষয়ে একাধিকবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওপেন সোর্স থেকে অনেক সময় অনেক তথ্য পাওয়া যায়। তবে এগুলো তথ্য-প্রমাণ ছাড়া কোনো সংস্থা বলতে পারে না। সফররত ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার প্রতিনিধিদল সোমবার বাংলাদেশে আসার পর বাংলাদেশে জঙ্গি বিষয়ে কাজ করা র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।’
তিনি বলেন, এনআইএ প্রতিনিধিরা অনেক তথ্য দিচ্ছেন, আবার আমাদের কাছ থেকেও জানতে চাচ্ছেন। তবে এনআইএর দেয়া তথ্যের সঙ্গে আমাদের তথ্যের অনেক গরমিল রয়েছে।
No comments