ইন্টারনেট-শিশুর জমকালো জীবন
বয়স মাত্র পাঁচ। এরি মধ্যে তারকা বনে গেছে ব্রেয়ানা। ছোটখাটো তারকা নয়, বিশ্বজুড়ে তার ভক্তের সংখ্যা ১.১ মিলিয়ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্ট্যাগ্রামের পেজে প্রতিদিন যোগ হচ্ছে ৬০ হাজার ফলোয়ার। এর সবই ওর মিষ্টি চেহারার জন্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্ট্যাগ্রামে তার ফলোয়ার সংখ্যা বিশ্বজুড়ে। এদের অনেকেই তাকে নিজেদের মেয়ের চেয়েও বেশি পছন্দ করে। এই পছন্দটাই তার ভাগ্যের চাকাকে ঘুরিয়ে মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত নিয়ে গেলো। দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়ে ব্রেয়ানা এখন পরিবারসহ আছে আরব আমিরাতের দুবাইতে। গত মে মাস থেকে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে থাকছে, খাচ্ছে। প্রয়োজন হলে লিমুজিন গাড়ি নিয়ে বাইরে বের হচ্ছে। এর জন্য ওর বাবা মায়ের এক পয়সাও খরচ হচ্ছে না। ব্রেয়ানাকে খুশি করতে এতোসব চাকচিক্য ও জাঁকজমকের আয়োজন করছে আরব আমিরাতের ধনকুবের ভক্তরাই।
ভক্তদের সাক্ষাত দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে তাকে। ঘুরে বেড়ানোটাকে ভার্চুয়াল পরিভাষায় বলা হয় ‘জেটসেট লাইফ স্টাইল’।
ব্রেয়ানার বাবার নাম জুঙহাউন। ৩৪ বছর বয়সি জুঙহাউনের বাড়ি দক্ষিণ কোরিয়াতে। তবে তার মা জোসেলেনের (২৭) বাড়ি ফিলিপাইনে।
তার খ্যাতি নিয়ে বাবা ও মাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হলেও দু’জনেই মেয়েকে নিয়ে গর্বিত। অবশ্য অনেক সমালোচক তাদেরকে পরজীবি বলে খুঁচাও দিয়েছেন।
ভক্তদের সাক্ষাত দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে তাকে। ঘুরে বেড়ানোটাকে ভার্চুয়াল পরিভাষায় বলা হয় ‘জেটসেট লাইফ স্টাইল’।
ব্রেয়ানার বাবার নাম জুঙহাউন। ৩৪ বছর বয়সি জুঙহাউনের বাড়ি দক্ষিণ কোরিয়াতে। তবে তার মা জোসেলেনের (২৭) বাড়ি ফিলিপাইনে।
তার খ্যাতি নিয়ে বাবা ও মাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হলেও দু’জনেই মেয়েকে নিয়ে গর্বিত। অবশ্য অনেক সমালোচক তাদেরকে পরজীবি বলে খুঁচাও দিয়েছেন।
এই পুঁচকে মেয়ের খ্যাতির শুরুটা কিভাবে?
মা জোসেলেন শখ করে ইনস্ট্যাগ্রামে মেয়ের নামে একটি পেজ খুলেছিলেন। সেখানে প্রথম একটি ছবিও পোস্ট করেন। ছবিটির বিপুল সাড়া পেয়ে অবাক হন তিনি। এর পর থেকেই শুরু। আশ্চর্য্য গতিতে পেজটির ফলোয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে। এবং আজকের অবস্থানে এসে দাঁড়ায়।
এখনকার অবস্থাটা কেমন?
তার মা বলেন, আমরা কেনাকাটা করতে গেলেও লোকজন ব্রেয়ানার সাথে ছবি তুলতে দাঁড়িয়ে যায়।
এ তো গেলো সাধারণ হিসেব। আর অসাধারণ হিসেবটা হলো, তার বর্তমান ফলোয়ার সংখ্যা আমেরিকানঅভিনেতা ক্যামেরন ডিয়াজের সমান।
সে এখন এ দেশে ওদেশে উড়ে বেড়ায় বিজনেস কাস সুবিধা নিয়ে। সাজ গোজের পেছনে শত হাজার পাউন্ড উড়ায়। ছোট্ট এ মেয়েটা এখন চাইলে নিজেকে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে নিতে পারে। চকলেট, কুকিজসহ খাবার দাবারের প্রতি ওর ঝুঁক বেশি। সাথে থাকে একটি হাত ব্যাগ। যখন যেখানে প্রয়োজন হয় ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিযে দাঁড়িয়ে যায় ছবির পোজ দিতে। একেবারে পাকা মডেলদের মতো।
ব্রেয়ানার আদুরে চেহারার কারণেই ওর প্রতি এক ধরনের ঝোঁক তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। এমন কোনো দিন নেই যে, তার দরজায় দামি দামি উপহার হাজির না হয়। সেও ভক্তদের খুশি করতে অঙ্গভঙ্গি দেখায়। দুষ্টুমি করে। শাকিরা ও দক্ষিণ কোরিয়ার পপ তারকাদের গানের তালে নাচে।
মধ্যপ্রাচ্যে তার এই জনপ্রিয়তাটা শুরু হয় ছয় মাস আগে। তখন আরব আমিরাতের ভক্তরা তার পোস্টগুলোকে রিপোস্ট করতে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের ইন্টারনেট ব্যবহারের হার অনেক, ৭৭ শতাংশ।
ওর বাবা মা ইংরেজি, কোরিয়ান, ট্যাগ্যালগ এবং আরবিতে কথা বলতে পারেন। এখন ব্রেয়ানাকেও শেখাচ্ছেন। আধো আধো আরবি বুলি দিয়েই সে বেশ মানিয়ে নিতে পেরেছে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে।
একটি শর্ট ভিডিওতে দেখা যায় চারটি ভাষারই অনুশীলন করছে ব্রেয়ানা। আবার পপ তারকাদের গানের সাথে নাচ তুলছে। মাঝে মাঝে আইসক্রিম ও চকলেট চেয়ে নাচের ছন্দও ছেড়ে দিচ্ছে। এই শর্ট ভিডিওর ওয়েবসাইট ভিনেতেও তার তিন লাখ ৫০ হাজার ফলোয়ার আছে। ফেসবুকের ফ্যান পেজে ভক্তের সংখ্যা দুই লাখ ১০ হাজার। ভক্তদের বেশিরভাগই মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং মধ্য প্রাচ্যের।
ব্রেয়ানার মা সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে বলেন, লোকজন কেন ব্রেয়ানাকে এতো পছন্দ করে আমি জানি না। তার অতিরিক্ত তেমন যোগ্যতা নেই। সে ভালো নাচতে পারে। তবে ক্যামেরার সামনে ভঁচকে যায়। কিন্তু তার ভেতরে এমন কিছু আছে, যে কারণে লোকজন এতো পছন্দ করে। সে দেখতে খুবই মিষ্টি। সম্ভবত এটাই আকর্ষণের কারণ। যখন আমি ওকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে বলি, সে স্বাভাবিকভাবেই আকর্ষণীয় পোজ নিয়ে দাঁড়ায়।
এই তো ব্রেয়ানার গল্প। এক কথায় বলা যায়, সে ভালোই আছে। ফ’র্তিতে আছে। পেজে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়লে ফ’র্তিটা আরো বেড়ে যায়। চিৎকার করতে করতে বলে, আই অ্যাম জাস্ট সো হ্যাপি।
ভালো আছে সবাই। বাবা, মা এমনকি ছোট্ট ভাইটিও। ও বলে, আমি স্মার্ট। তবে ব্রেয়ানা সুন্দর।
No comments