রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন পাসপোর্টের ডিজি by দীন ইসলাম
ডেডলাইন ২০১৫ সালের ২৪শে নভেম্বর। বিদেশে বাসরত ৬০ লাখ বাংলাদেশীকে এ সময়ের মধ্যে এমআরপি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই এ নিয়ে চলছে অস্থিরতা। এরই মধ্যে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন পাসপোর্ট-এর ডিজি আবদুল মাবুদ। দফায় দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে ইতিমধ্যেই ৫ম মেয়াদ শেষ করেছেন। যেনতেন উপায়ে ৬ষ্ঠ দফায়ও তিনি নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন এমন আলোচনা সর্বত্র। ঘনিষ্ঠজনদের আবদুল মাবুদ জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোন মূল্যে ডিজির কন্ট্রাক্ট তিনিই পেতে যাচ্ছেন। আগামী বছরের ২৪শে নভেম্বরের মধ্যে হাতে লেখা পাসপোর্টের বদলে সবাইকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (এমআরপি) নিয়ে বিদেশে যেতে হবে। এটাই জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান এসোসিয়েশনের (আইকাও) বেঁধে দেয়া নিয়ম। এ সময়ের মধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ৬০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশীকে এমআরপি সরবরাহ করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, এমআরপি পাসপোর্ট ছাড়া তাদের দেশে যাতায়াত বা ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। এ কারণে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও মালয়েশিয়াতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। এদিকে সারা দুনিয়াতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে এমআরপি দেয়া নিয়ে চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। কোন কোন দেশে এমআরপি দেয়ার কার্যক্রম শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ব্যক্তিকে সরবরাহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন দূতাবাসে এমআরপি কার্যক্রম উদ্বোধনের নামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা চালাচ্ছেন প্রমোদভ্রমণ। সরকারি খরচে এ সব কার্যক্রমে গিয়ে অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রী ও সন্তানদেরও নিয়ে যাচ্ছেন। উদ্দেশ্য সরকারি প্রভাব খাটিয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রতিষ্ঠিত করা। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিয়ে এত সব কাহিনীর পরও প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক আবদুল মাবুদের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ ষষ্ঠ দফা বাড়তে যাচ্ছে। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তার হাতে কি জাদুর কাঠি আছে। যে জাদুর কাঠির বলে এবারও চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পাচ্ছেন তিনি। এদিকে আগে যারা তাকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন এবারও তারা আশ্বস্ত করেছেন শতভাগ। ঘনিষ্ঠজনদের কাছে ডিজি মাবুদ বলেছেন, আমার বিকল্প নেই। যে কোন মূল্যে আমি ডিজি’র কন্ট্রাক্ট পেতে যাচ্ছি। তার এসব কথাবার্তা নিয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে শুরু হয়েছে নানা কানাঘুষা। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বললেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আউটসোর্সিং কোম্পানি নিয়োগ-বাণিজ্য শুরু হয়েছে। এ বাণিজ্য ঠিকভাবে শেষ করে যেতেই এবারও নিয়োগ পাবেন। পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে এমআরপি দেয়ার কাজ শুরু হয়। এরপর ৭০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশীর মধ্যে মাত্র সাড়ে ১১ লাখ প্রবাসীকে নতুন পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয়েছে। তাই আগামী বছরের নভেম্বরের মধ্যে প্রতি মাসে চার লাখের বেশি এমআরপি ইস্যু করতে হবে প্রবাসীদের মধ্যে। অন্যদিকে গত চার বছরে এক কোটি এমআরপি ইস্যু করা হয়েছে। এ কারণে প্রতিদিন ১৩ হাজার এমআরপি ইস্যু করছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। প্রবাসীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এমআরপি দিতে চাইলে অতিরিক্ত আরও ২২ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু করতে হবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রথম বার এমআরপি প্রকল্পের আওতায় পাসপোর্টের জন্য বাংলাদেশকে সফটওয়্যার সংক্রান্ত সহায়তা দিয়েছিল আইরিশ করপোরেশন বারহাড। তখন প্রতিষ্ঠানটি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সিস্টেম স্থাপন করে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়। তখন আইরিশের সিস্টেম ব্যবহার করে সরকার আরও ৩০টি পাসপোর্ট অফিস থেকে এমআরপি ইস্যু করেছিল। কিন্তু এমআরপি’র কাজ যুক্তরাজ্যের একটি কোম্পানি পাওয়ার পর থেকেই মালয়েশীয় আইরিশ করপোরেশন তাদের কারিগরি ত্রুটি দেখাতে শুরু করে। অভিযোগ রয়েছে, এ কোম্পানিটিকে ডিজি আলাদা চোখে দেখেন। এ কোম্পানির সহায়তায় এক শীর্ষ কর্মকর্তার মেয়ে মালয়েশিয়াতে পড়াশোনা করছে। ওই দেশে থাকা-খাওয়াসহ সব কিছু বন্দোবস্ত করেছে ওই কোম্পানি। কেউ কেউ বলছেন, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তাটির মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম রয়েছে। তাই সরকারি খরচে কোন দেশে গেলে মালয়েশিয়া একদিন না থেকে আসেন না। এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ওই শীর্ষ কর্মকর্তাটির পাসপোর্ট পরীক্ষা করলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।
মালয়েশিয়াতে এমআরপি কার্যক্রম চলছে ঢিমে তালে: মালয়েশিয়াতে বসবাসরত ছয় লাখ বাংলাদেশীকে এমআরপি দিতে গত ফেব্রুয়ারিতে ডাটাএজ-আইপিপল কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। গত ১২ই ফেব্রুয়ারি সই করা চুক্তিতে বলা হয়, তারা মালয়েশিয়ার আটটি প্রদেশে পাসপোর্ট দেয়ার জন্য আবেদন ও বিতরণ কেন্দ্র খুলবে। সেখান থেকেই এমআরপি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের সুবিধার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রতি কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে ৩০০ আবেদনকারীকে এমআরপি দেয়ার কথা বলা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন প্রদেশে আবেদন জমা নেয়ার পর ওই সব আবেদনের একটি কপি অনলাইনের মাধ্যমে ঢাকার বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু ঢাকায় এমআরপি দেয়ার কাজটি করছে ডি লা রুই ইন্টারন্যাশনাল নামে পোল্যান্ড ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। আর সফটওয়্যার তৈরির কাজটি করার কথা আইরিশ নামের একটি কোম্পানির। কিন্তু তারা ঠিক সময়ে সফটওয়্যার তৈরি করে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে দিচ্ছে না। তাই এমআরপি তৈরিতে সফটওয়্যার সংক্রান্ত সহায়তা দেয়ার প্রতিষ্ঠান মালয়েশীয় আইরিশ করপোরেশনের গাফিলতির কারণে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ কারণে ঢাকায় মালয়েশিয়ার আউটসোর্সিং কোম্পানির ডাটা ট্রান্সফার করে ঢাকায় প্রিন্ট দেয়া অনেক দিন বন্ধ ছিল। এদিকে মালয়েশিয়াতে দূতাবাস কর্মকর্তারা প্রায় ৬০ হাজার এমআরপি এ পর্যন্ত নিজেরা ইস্যু করতে পেরেছে। দূতাবাসের এমআরপি কার্যক্রম সরকার নির্ধারিত ফি ১১৬ রিঙ্গিতেই চালু থাকবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি আউট সোর্সিং হিসেবে তথ্য সংগ্রহ ও পাসপোর্ট বিতরণের কাজ করবে সারা মালয়েশিয়ার বাংলাদেশী অধ্যুষিত ৮টি স্থানে। বাকি কাজ করবে কুয়ালালামপুর দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর। ওদিকে দূতাবাসের মাধ্যমে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ইস্যুর জন্য বর্তমানে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলাদা টিম মালয়েশিয়াতে রয়েছে। এসব কর্মকর্তা পাঠিয়েও পাসপোর্ট কার্যক্রম জোরদার করা যাচ্ছে না।
সৌদি আরবে এমআরপি নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড: সৌদি আরবে প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশী কর্মরত। তাদের মধ্যে ২০১০ সালে এমআরপি দেয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পেয়েছেন মাত্র দুই লাখ কর্মী। বিভিন্ন টিম পাঠিয়ে পাসপোর্ট দেয়ার কার্যক্রম চালালেও তার অগ্রগতি ভাল নয়। অন্যান্য দেশে পরিস্থিতি আরও খারাপ। এমন অবস্থায় কয়েকটি দেশে বাংলাদেশী কর্মীদের আউটসোর্সিং করে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। এসব দেশ হলো মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন ও কাতার। এর আগে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি টিম পাসপোর্ট দেয়ার কাজ করতে সৌদি আরবে যান। ওই সময় পাসপোর্ট দেয়ার কাজে কিছুটা গতি পেলেও এখন আবার ধীর অবস্থা শুরু হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসীরা টেনশনে: সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন রাজ্যে সব মিলিয়ে ২৩ লাখ ১৭ হাজার বাংলাদেশী রয়েছেন। সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী আছেন দেশটিতে। এ কারণে রেমিট্যান্স আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ইউএই। সেখানে শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন রকম পেশায় কর্মরত মানুষের সংখ্যা বেশি হলেও অনেক বাংলাদেশীর বড় রকমের ব্যবসাও রয়েছে। বর্তমানে এমআরপি ও ভিসা জটিলতার কারণে তারা গুরুতর সমস্যায় পড়েছেন। ইতিমধ্যেই তাদের ব্যবসার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশী নাগরিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের মালিকানাধীন এয়ারলাইনসের (এমিরেটস, ফ্লাই দুবাই বা ইতিহাদ) যাত্রী হিসেবে বৃটেন, আমেরিকা বা কানাডা ভ্রমণ করলে, তাদের শর্তসাপেক্ষে ৯৬ ঘণ্টার ট্রানজিট ভিসা দেয়া হতো। এরই মধ্যে এ ভিসাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসব নানা সংকেতের কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টেনশন দিন দিন বাড়ছে।
মালয়েশিয়াতে এমআরপি কার্যক্রম চলছে ঢিমে তালে: মালয়েশিয়াতে বসবাসরত ছয় লাখ বাংলাদেশীকে এমআরপি দিতে গত ফেব্রুয়ারিতে ডাটাএজ-আইপিপল কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। গত ১২ই ফেব্রুয়ারি সই করা চুক্তিতে বলা হয়, তারা মালয়েশিয়ার আটটি প্রদেশে পাসপোর্ট দেয়ার জন্য আবেদন ও বিতরণ কেন্দ্র খুলবে। সেখান থেকেই এমআরপি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের সুবিধার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রতি কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে ৩০০ আবেদনকারীকে এমআরপি দেয়ার কথা বলা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন প্রদেশে আবেদন জমা নেয়ার পর ওই সব আবেদনের একটি কপি অনলাইনের মাধ্যমে ঢাকার বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু ঢাকায় এমআরপি দেয়ার কাজটি করছে ডি লা রুই ইন্টারন্যাশনাল নামে পোল্যান্ড ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। আর সফটওয়্যার তৈরির কাজটি করার কথা আইরিশ নামের একটি কোম্পানির। কিন্তু তারা ঠিক সময়ে সফটওয়্যার তৈরি করে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে দিচ্ছে না। তাই এমআরপি তৈরিতে সফটওয়্যার সংক্রান্ত সহায়তা দেয়ার প্রতিষ্ঠান মালয়েশীয় আইরিশ করপোরেশনের গাফিলতির কারণে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ কারণে ঢাকায় মালয়েশিয়ার আউটসোর্সিং কোম্পানির ডাটা ট্রান্সফার করে ঢাকায় প্রিন্ট দেয়া অনেক দিন বন্ধ ছিল। এদিকে মালয়েশিয়াতে দূতাবাস কর্মকর্তারা প্রায় ৬০ হাজার এমআরপি এ পর্যন্ত নিজেরা ইস্যু করতে পেরেছে। দূতাবাসের এমআরপি কার্যক্রম সরকার নির্ধারিত ফি ১১৬ রিঙ্গিতেই চালু থাকবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি আউট সোর্সিং হিসেবে তথ্য সংগ্রহ ও পাসপোর্ট বিতরণের কাজ করবে সারা মালয়েশিয়ার বাংলাদেশী অধ্যুষিত ৮টি স্থানে। বাকি কাজ করবে কুয়ালালামপুর দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর। ওদিকে দূতাবাসের মাধ্যমে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ইস্যুর জন্য বর্তমানে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলাদা টিম মালয়েশিয়াতে রয়েছে। এসব কর্মকর্তা পাঠিয়েও পাসপোর্ট কার্যক্রম জোরদার করা যাচ্ছে না।
সৌদি আরবে এমআরপি নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড: সৌদি আরবে প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশী কর্মরত। তাদের মধ্যে ২০১০ সালে এমআরপি দেয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পেয়েছেন মাত্র দুই লাখ কর্মী। বিভিন্ন টিম পাঠিয়ে পাসপোর্ট দেয়ার কার্যক্রম চালালেও তার অগ্রগতি ভাল নয়। অন্যান্য দেশে পরিস্থিতি আরও খারাপ। এমন অবস্থায় কয়েকটি দেশে বাংলাদেশী কর্মীদের আউটসোর্সিং করে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। এসব দেশ হলো মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন ও কাতার। এর আগে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি টিম পাসপোর্ট দেয়ার কাজ করতে সৌদি আরবে যান। ওই সময় পাসপোর্ট দেয়ার কাজে কিছুটা গতি পেলেও এখন আবার ধীর অবস্থা শুরু হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসীরা টেনশনে: সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন রাজ্যে সব মিলিয়ে ২৩ লাখ ১৭ হাজার বাংলাদেশী রয়েছেন। সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী আছেন দেশটিতে। এ কারণে রেমিট্যান্স আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ইউএই। সেখানে শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন রকম পেশায় কর্মরত মানুষের সংখ্যা বেশি হলেও অনেক বাংলাদেশীর বড় রকমের ব্যবসাও রয়েছে। বর্তমানে এমআরপি ও ভিসা জটিলতার কারণে তারা গুরুতর সমস্যায় পড়েছেন। ইতিমধ্যেই তাদের ব্যবসার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশী নাগরিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের মালিকানাধীন এয়ারলাইনসের (এমিরেটস, ফ্লাই দুবাই বা ইতিহাদ) যাত্রী হিসেবে বৃটেন, আমেরিকা বা কানাডা ভ্রমণ করলে, তাদের শর্তসাপেক্ষে ৯৬ ঘণ্টার ট্রানজিট ভিসা দেয়া হতো। এরই মধ্যে এ ভিসাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসব নানা সংকেতের কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টেনশন দিন দিন বাড়ছে।
No comments