পাকিস্তান-ভারত ছায়াযুদ্ধ হবে আফগানিস্তানে : মোশাররফ
আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফ। করাচিতে নিজ বাসভবনে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার এএফপি এক প্রতিবেদনে জানায়, আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহারের পরপরই ভারত-পাকিস্তান ছায়াযুদ্ধে জড়াবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন মোশাররফ। পারভেজ মোশাররফ বলেন, আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে প্রতিবেশী দুদেশ নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাবে। ভারত যদি আফগানিস্তানে আধিপত্য অর্জন করে তা পাকিস্তানের জন্য বিপজ্জনক হবে। আর এ বিষয়টি নিয়েই ভারত ও পাকিস্তান ছায়াযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি বলেন, এটা পুরো এ অঞ্চলের জন্য বিপজ্জনক।
আফগানিস্তানে ভারতের সম্পৃক্ততা মানেই তারা সেখানে পাকিস্তানবিরোধী প্রচারণা চালাবে। ভারত আফগানিস্তানকে পাকবিরোধী বানাতে চায়। মোশাররফ অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে ভারত। উত্তর আফগানিস্তানের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ব্যবহার করে এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। একই ধরনের অভিযোগ পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রায়ই করে থাকেন। সাবেক সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফ ১৯৯৯ সালে এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। ৭১ বছর বয়সী এই মোশাররফের বিরুদ্ধে এখন দেশদ্রোহিতার মামলা চলছে এবং তিনি গৃহবন্দি আছেন। মোশাররফের মতে, ন্যাটোর ৩৪ হাজার শক্তিশালী সেনাসদস্য আফগানিস্তানে থাকার ফলে একটা ভারসাম্য ছিল। তাদের অনুপস্থিতিতে একটা শূন্যতা তৈরি হবে, যা বিপর্যয়কর হতে পারে। আগামী মাসের মধ্যে ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহার করা হচ্ছে। দুই দেশের চলমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, এ মুহূর্তে সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারত ও পাকিস্তান দুপক্ষই আফগানিস্তানে তাদের প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। আফগানিস্তানের উত্তরের তাজিক নামের প্রভাবশালী নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে মদদ দিচ্ছে ভারত। অপরদিকে দক্ষিণ ও পূর্বের পশতুনদের ব্যবহার করতে চাচ্ছে পাকিস্তান।
মোশাররফ বলেন, যদি ভারত আফগানিস্তানের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে ব্যবহার করতে চায় তখন পাকিস্তানও নিজেদের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে বেশি করে কাজে লাগাবে। আর তারা অবশ্যই পশতুন। পাকিস্তানের পরিবর্তে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আফগান সেনারা প্রশিক্ষণ নেয়ায় আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন তিনি।
আফগানিস্তানে ভারতের সম্পৃক্ততা মানেই তারা সেখানে পাকিস্তানবিরোধী প্রচারণা চালাবে। ভারত আফগানিস্তানকে পাকবিরোধী বানাতে চায়। মোশাররফ অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে ভারত। উত্তর আফগানিস্তানের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ব্যবহার করে এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। একই ধরনের অভিযোগ পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রায়ই করে থাকেন। সাবেক সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফ ১৯৯৯ সালে এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। ৭১ বছর বয়সী এই মোশাররফের বিরুদ্ধে এখন দেশদ্রোহিতার মামলা চলছে এবং তিনি গৃহবন্দি আছেন। মোশাররফের মতে, ন্যাটোর ৩৪ হাজার শক্তিশালী সেনাসদস্য আফগানিস্তানে থাকার ফলে একটা ভারসাম্য ছিল। তাদের অনুপস্থিতিতে একটা শূন্যতা তৈরি হবে, যা বিপর্যয়কর হতে পারে। আগামী মাসের মধ্যে ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহার করা হচ্ছে। দুই দেশের চলমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, এ মুহূর্তে সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারত ও পাকিস্তান দুপক্ষই আফগানিস্তানে তাদের প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। আফগানিস্তানের উত্তরের তাজিক নামের প্রভাবশালী নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে মদদ দিচ্ছে ভারত। অপরদিকে দক্ষিণ ও পূর্বের পশতুনদের ব্যবহার করতে চাচ্ছে পাকিস্তান।
মোশাররফ বলেন, যদি ভারত আফগানিস্তানের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে ব্যবহার করতে চায় তখন পাকিস্তানও নিজেদের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে বেশি করে কাজে লাগাবে। আর তারা অবশ্যই পশতুন। পাকিস্তানের পরিবর্তে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আফগান সেনারা প্রশিক্ষণ নেয়ায় আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন তিনি।
No comments