ভরণপোষণ না দেওয়ায় সন্তানদের বিরুদ্ধে বাবার মামলা
কৌশলে ভিটেবাড়ি নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার পর বাবাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন সন্তানেরা। তাঁর ভরণপোষণ দিতেও তাঁরা নারাজ। উপায় না দেখে চার সন্তানের বিরুদ্ধে ভরণপোষণের দাবিতে আজ মঙ্গলবার মামলা করেছেন বাবা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সন্তানদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন। ভুক্তভোগী এই বৃদ্ধের নাম হাসেম আলী। বাড়ি সাভারে।
ঢাকা জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক কাজী শহীদুল ইসলাম বাদীর আরজি গ্রহণ করে আগামী ৩০ ডিসেম্বর তাঁর সন্তানদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাভার থানার ভাটপাড়া এলাকায় হাসেম আলী (৭০) বসবাস করেন। ২০০৮ সালে তাঁর স্ত্রী মারা যান। পরে সেখানে তিনি ৬ শতাংশ বাড়িতে তিন ছেলে আমজাদ হোসেন, আবুল হোসেন, আলমগীর হোসেন ও একমাত্র মেয়ে রাশিদা আক্তারকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু সন্তানেরা সুকৌশলে তাঁর সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নেন। বাড়ি রেজিস্ট্রির পর সন্তানেরা গত সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে এ বাড়ি থেকে বের করে দেন। ফলে, বৃদ্ধ বয়সে অসহায় হয়ে তিনি গ্রাম্য সালিসের আয়োজন করেন, সেখানেও সন্তানেরা জানিয়ে দেয় তারা বাবার ভরণপোষণ দিতে পারবে না।
বর্তমান সরকার ভরণপোষণ আইন প্রণয়ন করায় তিনি এ আইনে সন্তানদের আসামি করে মামলাটি করেন। মা-বাবাকে ভরণপোষণ না দিলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে গত বছর সরকার এ আইন প্রণয়ন করে। এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের বিরুদ্ধে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে বা নিকট আত্মীয় এ দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে তাঁরাও একই অপরাধে দণ্ডিত হবেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সন্তানদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন। ভুক্তভোগী এই বৃদ্ধের নাম হাসেম আলী। বাড়ি সাভারে।
ঢাকা জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক কাজী শহীদুল ইসলাম বাদীর আরজি গ্রহণ করে আগামী ৩০ ডিসেম্বর তাঁর সন্তানদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাভার থানার ভাটপাড়া এলাকায় হাসেম আলী (৭০) বসবাস করেন। ২০০৮ সালে তাঁর স্ত্রী মারা যান। পরে সেখানে তিনি ৬ শতাংশ বাড়িতে তিন ছেলে আমজাদ হোসেন, আবুল হোসেন, আলমগীর হোসেন ও একমাত্র মেয়ে রাশিদা আক্তারকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু সন্তানেরা সুকৌশলে তাঁর সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নেন। বাড়ি রেজিস্ট্রির পর সন্তানেরা গত সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে এ বাড়ি থেকে বের করে দেন। ফলে, বৃদ্ধ বয়সে অসহায় হয়ে তিনি গ্রাম্য সালিসের আয়োজন করেন, সেখানেও সন্তানেরা জানিয়ে দেয় তারা বাবার ভরণপোষণ দিতে পারবে না।
বর্তমান সরকার ভরণপোষণ আইন প্রণয়ন করায় তিনি এ আইনে সন্তানদের আসামি করে মামলাটি করেন। মা-বাবাকে ভরণপোষণ না দিলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে গত বছর সরকার এ আইন প্রণয়ন করে। এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের বিরুদ্ধে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে বা নিকট আত্মীয় এ দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে তাঁরাও একই অপরাধে দণ্ডিত হবেন।
No comments